bdstall.com

মোটরসাইকেল ব্যাটারি এর দাম

আইটেম ১-৯ এর ৯

জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে দৈনন্দিন যাতায়াতে কাজে ব্যবহারের জন্য বাইক বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। আর বাইক মসৃণভাবে অপারেট করার পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে বাইক ব্যাটারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাইক ব্যাটারি সাধারণত মোটর বাইক ব্যাটারি বা মোটরসাইকেল ব্যাটারি নামেও বেশি পরিচিত। এছাড়াও, ইলেকট্রিক বাইক, ইজি বাইকের ইঞ্জিন চালু করা এবং  বৈদ্যুতিক সিস্টেমগুলোতে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে বাইক ব্যাটারি। বর্তমানে, লুকাস, শিগা, হামকো, অ্যামরন, অ্যামকো, ইয়ুসার মত জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশে বাইক ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। ফলে, বাংলাদেশে কম দামে মোটরসাইকেল ব্যাটারি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে কি কি ধরনের বাইক ব্যাটারির পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে সাধারণত ওয়েট লিড-এসিড যুক্ত বাইক ব্যাটারি এবং সিল বাইক ব্যাটারি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে, সিল মোটরসাইকেল ব্যাটারি উন্নত টেকনোলজির সমন্বয়ে তৈরির পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা মুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই ধরনের ব্যাটারি সিল করা থাকে এবং রিফুয়েলিং করার কোনো প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি মোটরবাইকে সোজা বা কাত করে যেকোনো অবস্থায় সেটআপ করা যায়। বর্তমানে, মোটরসাইকেলে ব্যবহার উপযোগী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিও বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়, যা উন্নত টেকনোলোজিতে তৈরি, ছোট সাইজ, হালকা ওজনের এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে। তবে, এই ধরনের ইলেকট্রিক বাইক ব্যাটারির দাম তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

বাইকের ব্যাটারি পাওয়ার আউটপুট কি এম্পিয়ার এবং ভোল্টের উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হয়?

অ্যাম্পিয়ার এবং ভোল্টের সমন্বয়ে মোটরসাইকেলের ব্যাটারির পাওয়ার আউটপুট পরিমাপ প্রদান করে। অ্যাম্পিয়ার মূলত কারেন্টের ফ্লো পরিমাপ করে, অন্যদিকে ভোল্ট বৈদ্যুতিক চাপ বা সম্ভাব্য পার্থক্য পরিমাপ করে থাকে। ব্যাটারির পাওয়ার আউটপুট গণনা করা হয় মূলত ভোল্টকে অ্যাম্পিয়ার দ্বারা গুণ করে। তাছাড়া, অ্যাম্পিয়ার বা ভোল্ট বেশি হলে বাইক ব্যাটারির পাওয়ার আউটপুটও বেশি হয়ে থাকে। তাই, বাইকের ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যাম্পিয়ার এবং ভোল্ট উভয়ই বিবেচনা করতে হবে। তাহলে, ইলেকট্রিক বাইক চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাবে।

বাইক ব্যাটারি ব্যবহারে সুবিধা

১। বাইক ব্যাটারি সাধারণত মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন স্টার্ট করার ক্ষেত্রে পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে।

২। রাতে স্বাভাবিক রাইডিং সুবিধা প্রদান করার ক্ষেত্রে মোটরবাইকের হেডলাইটে আলো সরবরাহ করার জন্য পাওয়ার প্রদান করে।

৩। এছাড়াও, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্র্যাঙ্কিংয়ের সময় ইগনিশন সিস্টেমে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে।

৪। ইজি বাইকে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের ফলে চার্জ ওঠানামার ক্ষেত্রে বাইক ব্যাটারি ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে কাজ করে।

৫। ইলেকট্রিক বাইকে ইগনিশন বন্ধ থাকা অবস্থায় সুরক্ষা সিস্টেম এবং ইসিইউ মেমোরিজ সাপোর্ট করে থাকে।

বাইক ব্যাটারির দাম

বাংলাদেশে বাইক ব্যাটারির দাম ৭০০ টাকা থেকে শুরু, যা কোরিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টেকনোলোজিতে তৈরি, ছোট বাচ্চাদের বাইকে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। বর্তমানে, বাংলাদেশে বাইক ব্যাটারির দাম সাধারণত ব্র্যান্ড, মডেল, ব্যাটারি টাইপ, পাওয়ার ক্যাপাসিটি এবং গুনমানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, বাংলাদেশে ১২ ভোল্ট মোটরসাইকেল ব্যাটারি ৯০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, ভোল্ট একই হলেও অ্যাম্পিয়ার কম বা বেশি হওয়ার জন্য বাইক ব্যাটারির দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে। ইজি বাইকে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বাইক ব্যাটারির দাম ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু।

কোন বাইকের জন্য কেমন বাইক ব্যাটারি বাছাই করবেন?

বাংলাদেশে টিভিএস, পালসার, হোন্ডা, ইয়ামাহা জিক্সার সহ প্রায় সকল মোটরসাইকেলের জন্য সাশ্রয়ী দামে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বাইক ব্যাটারি পাওয়া যায়। তবে, বাইক ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইঞ্জিনের সিসি লিমিট, পাওয়ার আউটপুট এবং রাইডের সময়কাল যাচাই করতে হবে। তাছাড়া, ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি কেনার আগে গুণমান, কর্মক্ষমতা যাচাই করে নেওয়া উত্তম। ফলে, পরবর্তীতে মোটরবাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পাওয়ার আউটপুট পাওয়া যাবে।

বাইক ব্যাটারি ব্যবহারে সতর্কতা

  • ইজি বাইক এবং সাধারণত বাইকের ব্যাটারি সাধারণত একরকম হয় না পাশাপাশি পাওয়ার ক্যাপাসিটি ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই বাইক ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই ব্যাটারি টাইপ এবং পাওয়ার ক্যাপাসিটি যাচাই করতে হবে।
  • ইজি বাইক বা ইলেকট্রিক বাইক ব্যাটারির তুলনায় মোটরসাইকেল ব্যাটারি কম দামে পাওয়া যায়। তাই, বাইক ব্যাটারি কেনার আগে পাওয়ার ক্যাপাসিটির পাশাপাশি দামও যাচাই করতে হবে।ফলে, মোটরবাইক ব্যবহারে যথাযথ পাওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।
  • মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করানোর পাশাপাশি প্রতিমাসে অন্তত একবার মোটরবাইক ব্যাটারি চেক করা উচিত, তাহলে দীর্ঘ সময় ব্যবহার কার্যকর পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাবে।
  • তাছাড়া, বাইক ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত অন্যান্য পার্টসে জং রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
  • মোটরসাইকেল পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বাইক ব্যাটারি অবশ্যই পানি থেকে নিরাপদ রাখতে হবে।
  • এছাড়াও, মোটরবাইকে যদি হেডলাইট বেশি পাওয়ারফুল সেক্ষেত্রে বাইক শেল্ফ স্টার্ট করার সময় অবশ্যই হেডলাইট বন্ধ করতে হবে। ফলে, বাইক ব্যাটারির উপর চাপ অনেক কম পড়বে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহার উপযোগী থাকবে।