ডাহুয়া শীর্ষস্থানীয় চিনা প্রস্তুতকারক আইপি এবং এইচডিসিভিআই সিসি ক্যামেরার জন্য যা বিশ্বে জনপ্রিয়। ডাহুয়া সিসি ক্যামেরার ভাল মান এবং সস্তা দামের জন্য বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। বিভিন্ন রকমের ক্যামেরা মোড, উচ্চ মানের রেজুলেশন, উন্নত মানের কালার, সেন্সর, লেন্স, সিগন্যাল সিস্টেম এবং বিভিন্ন বিশেষত্বের জন্য ডাহুয়া সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হয় বাংলাদেশের সর্বত্র।
ডাহুয়া সিসি ক্যামেরা কেন কেনা উচিৎ?
ডাহুয়া সিসি ক্যামেরাতে ব্যতিক্রমী কিছু বিশেষত্ব আছে যা অন্যান্য সকল সিসি ক্যামেরা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। নিচে ডাহুয়া সিসি ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হলোঃ
রেজুলেশনঃ ডাহুয়া ক্যামেরাতে খুব কম টাকার মধ্যে ফুল এইচডি রেজুলেশন সুবিধা পাওয়া যায়। ভিডিওর কোয়ালিটি খুব উচ্চ মানের থাকে তাই যেকোন জিনিস শনাক্ত করা যায় খুব সহজেই।
সেন্সরঃ ডাহুয়া ক্যামেরাতে সেন্সর ৫ মেগাপিক্সেল এবং আরও বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ডাহুয়া ক্যামেরার সেন্সর খুব উন্নত মানের থাকে বলে কিছু মডেলে এতে ডিটেকশন সুবিধাও পাওয়া যায়। আর এর সেন্সর ভাল বলে বাংলাদেশে দাহুয়া ক্যামেরা ব্যপক ভাবে জনপ্রিয়।
সিগন্যাল সিস্টেমঃ ডাহুয়া ক্যামেরাতে সিগন্যাল সিস্টেম খুবই আধুনিক মানের। ডাহুয়া ক্যামেরাতে আছে ওয়াইফাই, ল্যান, কক্সিয়াল সিগন্যাল সিস্টেম। তাই সুবিধা ও নিজের পছন্দ মতো নির্বাচিন করা যায় যেকোনো সিগন্যাল সিস্টেমের ডাহুয়া ক্যামেরা।
লেন্সঃ ডাহুয়া ক্যামেরার লেন্স সচারচর ১ এমএম থেকে ৪ এমএম হয়ে থাকে। তবে বর্তমানের কিছু ডাহুয়া ক্যামেরাতে আরও বেশি এমএম এর লেন্স পাওয়া যায়। উন্নত মানের লেন্সের কারণে ডাহুয়া ক্যামেরা দিনে, রাতে, বৃষ্টিতে, রৌদ্রে স্পষ্ট ভাবে ইমেজ ক্যাপচার করতে পারে। ডাহুয়া ক্যামেরার লেন্সে এমএম এর পাশাপাশি লেন্স টাইপেরও ভিন্নতা থাকে যেমনঃ ফিশআই লেন্স ও আইবল লেন্স।
ডাহুয়া ক্যামেরা কীভাবে কানেক্ট করতে হয়?
ডাহুয়া ক্যামেরা কানেক্ট করা খুবই সহজ। দাহুয়া ক্যামেরা গুলোতে ল্যান, ওয়াইফাই, কক্সিয়াল কানেক্টিভিটি আছে।
ওয়াইফাই কানেক্টিভিটিঃ ওয়াইফাই কানেক্টিভিটির ডাহুয়া ক্যামেরা কানেক্ট করা খুবই সহজ। এগুলো আইপি প্রযুক্তিতে পরিচালিত হয়। ক্যামেরাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মোবাইল, ল্যাপটপ, পিসি বা অন্যান্য ডিভাইসে লাইভ দেখা যায়।
ল্যান কানেক্টিভিটিঃ ডাহুয়া ক্যামেরাতে ল্যান কানেক্টিভি আছে বলে ইথারনেট ক্যাবল দ্বারা এটি পরিচালন হয়। ল্যান কানেক্টিভিটির দাহুয়া ক্যামেরা গুলো আকারে কিছুটা বড় হয়।
কক্সিয়াল কানেক্টিভিটিঃ কক্সিয়াল কানেক্টিভির ডাহুয়া ক্যামেরা গুলো কতটুকু এড়িয়ার ফুটেজ দেখা হবে তার উপর ভিত্তি করে কক্সিয়াল তারের সাহায্যে এড়িয়া অনুযায়ী সংযোগ করতে হয়। যেকোনো সাধারণ মনিটরে কক্সিয়াল কানেক্টিভির ডাহুয়া ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায় খুব সহজেই। কক্সিয়াল কানেক্টিভিটির দাহুয়া ক্যামেরা খুব কম দামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
ডাহুয়া ক্যামেরায় টু ওয়ে অডিও এবং টু ওয়ে টক আসলে কি?
বর্তমানে ডাহুয়া ক্যামেরায় খুব কম খরচে টু ওয়ে অডিও এবং টু ওয়ে টক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ডাহুয়া ক্যামেরার মতো এই সুবিধা অন্যান্য ক্যামেরাতে পেতে হলে খরচ বেশি হবে। টু ওয়ে অডিও এবং টু ওয়ে টক কি সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
টু ওয়ে অডিওঃ ডাহুয়া ক্যামেরায় টু ওয়ে অডিও হলো ভিডিও ফুটেজ দেখার পাশাপাশি অডিও শোনা যাবে স্পষ্ট ভাবে। ফলে ভিডিও রেকর্ডের পাশাপাশি অডিও রেকর্ড হবে।
টু ওয়ে টকঃ ডাহুয়া ক্যামেরার একটি বিশেষ বিশেষত্বের নাম হলো টু ওয়ে টক। ডাহুয়া এই ক্যামেরাতে ভিডিও রেকর্ড এবং অডিও রেকর্ডের পাশাপাশি সরাসরি কথাও বলা যাবে ক্যামেরাতে দেখতে পাওয়া ব্যক্তির সাথে। অসাধারণ এই বিশেষত্বের জন্য ডাহুয়া ক্যামেরা বাংলাদেশে সবচেয়ে সেরা।
বাংলাদেশে ডাহুয়া ক্যামেরার দাম কত?
বাংলাদেশে ডাহুয়া ক্যামেরার দাম মাত্র ৩,৩০০ টাকা থেকে শুরু হয়। ৩.৬ এমএম ফিক্সড লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর, ইউম্যান ডিটেকশন, ৩৬০ ডিগ্রী করাভেজ, টু ওয়ে অডিও এবং টু ওয়ে টক এর মতো দারুণ বিশেষত্ব রয়েছে ডাহুয়া এই ক্যামেরাটিতে। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রযুক্তির বিভিন্ন রকমের ডাহুয়া ক্যামেরা আছে। বাংলাদেশে ডাহুয়া ক্যামেরার দাম নির্ভর করে এদের সাইজ, কানেক্টিভিটি, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য সুবিধার উপর নির্ভর করে।