bdstall.com

টিভির দাম ২০২৩ & ২০২৪

বাংলাদেশের একাধিক বিক্রেতার তুলনা করে Bdstall-এ সবচেয়ে কম দামের টিভি কিনুন। Bdstall আপনার বাড়ির বিনোদন এবং অফিসের প্রদর্শনের জন্য সেরা টিভি অফার করে। বর্তমানে, বাংলাদেশের ১৩টি টিভি বিক্রেতা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য অফার করছে তাই এই সুযোগটি মিস করবেন না। Read more

আইটেম ১-২০ এর ৪০৭
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট টিভি এর দাম

একটি টিভি আপনার বাড়িতে বিনোদনের মাত্রা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বাজারে এত এত টিভির মধ্যে আপনার মনের মতো টিভিটি খোঁজে পেতে হলে আপনাকে টিভির ফিচার এবং বাংলাদেশে টিভির দাম সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকা আবশ্যক। নিচে টিভি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হল যা আপনার বাসার জন্য কাঙ্ক্ষিত টিভিটি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।

বিনোদন ছাড়াও আর কি কাজে টিভি ব্যবহৃত হয়?

১। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে টিভির ব্যবহার  বেশ বাড়ছে করেন এটি মনিটরের তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

২।  তুলনামূলক কম দামের কারনে অনেক অফিসে মিটিং রুমের জন্য  প্রজেক্টরের  পরিবর্তে টিভি ব্যবহার করা হয়।

৩।  বিভিন্ন সুপারমার্কেট, সুপার শপ, রেঁস্তোরা ইত্যাদি স্থানে বিজ্ঞাপনের জন্য টিভি ব্যবহার করা হয়।

৪।  গেমিংয়ের জন্য এখন বড় স্ক্রিনের টিভির বেশ চাহিদা আছে।

বাংলাদেশে টিভির দাম কত?

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশেষত ২০২৩ সালে, ১০,০০০ টাকার কম বাজেটের টিভিতে অনেক উন্নত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ এবং মৌলিক বিনোদনের জন্য এই টিভিগুলোই যথেষ্ট। তবে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ব্র্যান্ডের টিভির দাম কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা যেগুলোতে ওয়াইফাই, এইচডি+ এবং অ্যান্ড্রয়েড সুবিধা রয়েছে। টিভি কেনার সময় মনে রাখবেন সাধারণত ব্র্যান্ড, স্ক্রিনের আকার, রেজোলিউশন এবং স্মার্ট বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্যানেল ওয়ারেন্টি এবং টিভির দাম এতে অনেক পরিবর্তিত হতে পারে যা বিডিস্টলে পার্টস ওয়ারেন্টি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় সমস্ত টিভিতে সার্ভিস ওয়ারেন্টি রয়েছে তবে এটি বিবেচনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বাজেট যাই হোক না কেন, বাংলাদেশে টিভি কেনার সময় এমন একটি টিভি কেনা উচিত যা ভালো মানের ছবি প্রদর্শন করে।

টিভির দাম কি স্ক্রিন প্রযুক্তির ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়?

টেলিভিশনে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন সিআরটি, প্লাজমা, এলসিডি, এলইডি, আইপিএস, কিউএলইডি এবং ওএলইডি। বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্যানেল প্রযুক্তি হল এলইডি, ওএলইডি, এবং কিউএলইডি।

১। এলইডি টিভিতে "লাইট এমিটিং ডায়ডস" বা এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা পর্দাকে বেশি আলোকিত করে থাকে। এলইডি টিভি স্লিম, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং অধিকতর উজ্জ্বল আলো প্রদান করে। বর্তমানে, সর্বনিম্ন ৬,০০০ টাকার মধ্যে এলইডি টিভি পাওয়া যায়। তবে, বাংলাদেশে স্মার্ট এলইডি টিভি কিনতে কমপক্ষে ৭,৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।

২। ওএলইডি হল সর্বশেষ আবিষ্কৃত এইচডি প্রযুক্তি যা অধিকতর উজ্জ্বল আলোর সাহায্যে বাস্তবধর্মী ছবি প্রদর্শন করে। ওএলইডি টিভি এর কন্ট্রাস্ট রেশিও অনেক বেশি। বর্তমানে, বাংলাদেশে ওএলইডি টিভির সাইজ এবং বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ১৫০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। 

৩। কিউএলইডি টিভি ওএলইডি এর তুলনায় অনেক সস্তা এবং এর আয়ুষ্কাল দীর্ঘ, উজ্জ্বল, চোখের জন্য ভালো এবং গেমিংয়ের জন্য ভালো। তাছাড়া, বাংলাদেশে কিউএলইডি টিভির কিনতে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২৫০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।

সাইজ এবং দাম অনুসারে বাংলাদেশে কোন টিভি দরকার?

বর্তমানে ৩২” ইঞ্চি থেকে ৮৫” ইঞ্চির টেলিভিশন পাওয়া যায়। মূলত টিভির সঠিক সাইজ নির্ভর করে আপনার রুমের সাইজ এবং দেখার দূরত্বের উপর। আপনার টিভি যদি রুম এর তুলনায় অত্যধিক ছোট বা বড় হয়, তাহলে আপনার টিভি দেখে ভালো অভিজ্ঞতা হবে না। উদাহরণস্বরূপ, এইচডি মানের চিত্রের জন্য ৩২ ইঞ্চি টিভি ৫ ফুট দূর থেকে এবং ৬৫-ইঞ্চি টিভি ৭.৫ ফুট দূর থেকে দেখা উচিত। আরও উচ্চতর রেজোলিউশনে ভাল দেখার জন্য অধিক দূরত্বের প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া, বাংলাদেশে ৮৫-ইঞ্চি টিভি পাওয়া যায় যেগুলোর দাম আগের তুলনায় বেশ কম। আর ১৪ ইঞ্চির থেকে ছোট সাইজের কিছু টিভি পাওয়া যায় যেগুলো পোর্টেবল টিভি বলে এবং ছোট দোকানে এগুলোর ব্যবহার কিছুটা দেখা যায়। বাংলাদেশে ৩২-ইঞ্চি থেকে ৪৩-ইঞ্চি টিভির দাম কমপক্ষে ৭,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু। অন্যদিকে, ৫০-ইঞ্চি থেকে ৫৫-ইঞ্চি টিভি সর্বনিম্ন ২৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু। টিভির সাইজ যত বৃদ্ধি পাবে এর দাম অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে। তবে, বাংলাদেশে বড় স্ক্রিন প্যানেল সম্পন্ন টিভির সহজলভ্যতার কারনে এর দাম অচিরেই নিচে নামবে।

স্মার্ট টিভির সুবিধা কি এবং দাম কেমন?

সাধারণ টিভিতে কেবল টিভি স্টেশন থেকে পাঠানো শব্দ ও ছবি দেখা যায়। টেলিভিশন এখন  শুধুমাত্র সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। টিভি ইন্টারনেটে যুক্ত করে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স প্রভৃতি ভিডিও নেটওয়ার্ক উপভোগ করা যায়। তবে কিছু টিভিতে ইউএসবি সুবিধা থাকে ফলে পেন ড্রাইভ অথবা হার্ডডিস্কের সাহায্যে ভিডিও ফাইল চালানো যায়। আর স্মার্ট টিভি ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে স্মার্ট কানেকটিভিটির সাহায্যে যেমন ওয়াইফাই, ইউএসবি, ল্যান, এবং স্মার্ট ওএস যার ফলে ওয়েব ব্রাউজিং, ইউটিউবের মতো ওয়েব ভিডিও, সামাজিক নেটওয়ার্কিং, এবং অনলাইন গেমিং উপভোগ করা যায়। তবে আপনি যদি ইতিমধ্যে সাধারণ টিভি কিনে থাকেন তবে আপনার টিভি পরিবর্তন করার দরকার নেই আপনি আপনার নিয়মিত টিভিটিকে স্মার্ট টিভিতে রূপান্তর করতে স্মার্ট টিভি বক্স ব্যবহার করতে পারেন। মাত্র ৮,০০০ টাকা খরচ করে বাংলাদেশে স্মার্ট টিভি কেনা যায় তবে, উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন স্মার্ট টিভি কিনতে ১৫,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। এছাড়া, স্মার্ট বৈশিষ্ট্য এবং প্যানেল প্রযুক্তি ভিত্তিতে ৩ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দামের বড় সাইজের স্ক্রিন সম্পন্ন স্মার্ট টিভি বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

টিভিতে কোন ধরণের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়?

অ্যান্ড্রয়েড, তিজেন, ওয়েবওএস প্রায়শই টিভি অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড টিভি বেশি জনপ্রিয়।

কত রেজোলিউশন হলে ভাল হয়?

রেজোলিউশন যত বেশি হবে তত ভাল ছবি পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ৩ ধরণের রেজোলিউশনের টিভি সাশ্রয়ী মূল্যের কারনে সর্বত্র পাওয়া যায় যেগুলো হল  ৭২০ পি, ১০৮০ পি এবং ৪-কে। এগুলি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পিক্সেল বহন করে এবং  পিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মান তত ভাল হবে। এখন ৪কে টিভি সবার কাছে বেশি জনপ্রিয়। যাইহোক, ৮কে টিভি বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে যে কিছু দিনের মধ্যে দাম প্রায় সবার সাধ্যের মধ্যে থাকবে।

টিভির কেনার ক্ষেত্রে আর কি বিবেচনা করলে ভাল হয়?

একটি টিভি কেনার সময় আপনার দেখার অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য নীচের অংশগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।

  • সাউন্ড কোয়ালিটিঃ অডিও আউটপুট কতটা স্পষ্ট তা বিবেচনায় টিভি নির্বাচন কবলে ভাল হয়। বর্তমানে, টিভির মডেল অনুযায়ী ডলবি সাউন্ড, ডুয়াল স্পিকার, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে সাউন্ড যেন পরিষ্কার হয় সেটিই প্রধান বিবেচনায় রাখতে হবে।
  • রিফ্রেশ রেটঃ রিফ্রেশ রেট সাধারণত এলসিডি এবং এলইডি টিভিতে দেয়া হয়। এটি যত বেশি হবে ভাল।  রিফ্রেশ রেট হল প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ইমেজ চালনা করতে সক্ষম বা দেখাতে সক্ষম তার পরিমান। সুতরাং, ৬০এইচজেড ফ্রেম রেট মানে প্রতি সেকেন্ডে ৬০টি ইমেজ দেখানোকে বোঝানো হয়। এটি তখনই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যখন আপনি কোনও ফাস্ট অ্যাকশান দেখেন। যেমন গেমস, অথবা অ্যাকশান মুভি।
  • ৩ডি ভিডিওঃ সামঞ্জস্যপূর্ণ ৩ডি চশমা পরে ত্রিমাত্রিক ভিডিও দেখা যায়। তবে ভিডিওটিকে অবশ্যই ৩ডি ছবি সমর্থন করতে হবে। তবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার এখন একটু কমে গিয়েছে।
  • কার্ভড স্ক্রীনঃ কার্ভড টিভিতে বাঁকা ডিজাইনের স্ক্রিন রয়েছে যা সমস্ত কোণ থেকে দেখতে দুর্দান্ত দেখায়।
  • পোর্টঃ আপনার টিভিটিতে এইচডিএমআই পোর্ট প্রয়োজন হতে পারে বিভিন্ন ডিভাইস সংযুক্ত করার জন্য যেমন এ / ভি রিসিভার, ব্লু-রে প্লেয়ার বা গেমিং কনসোলে। কাজেই এইচডিএমআই সুবাধাযুক্ত টিভি কিনুন।

টিভি কেনার পরে কি কি প্রয়োজন হতে পারে?

টিভি কেনার পর কিছু বাড়তি খরচ বিবেচনা করা উচিত যেমন

১. বর্তমানের টিভিগুলো ফ্ল্যাট প্যানেল প্রজুক্তির হওয়ায় বেশ স্লিম এবং বেশির ভাগ ব্যবহারকারীরা টিভি দেওয়ালে সেট করে ব্যবহার করে। তাই, টিভির সাথে ওয়াল ব্রেকেট আছে কিনা তা দেখতে হবে আর যদি না থাকে সেক্ষেত্রে টিভির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন একটি ওয়াল ব্রেকেট কিনতে হবে।

২. টিভি ওয়ালে সেট করে ব্যবহারের পরিবর্তে টিভি ট্রলির উপর টিভি সেট করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই, টিভিরুমের অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ টিভি ট্রলি কিনতে হবে।

৩. ল্যাপটপ বা কম্পিটারের সাথে টিভি সংযুক্ত করার প্রয়োজন হলে টিভির রেজোলিউশন অনুসারে এইচডিএমআই ক্যাবল সংগ্রহ করতে হবে।

বাংলাদেশের সেরা টিভি এর মূল্য তালিকা March, 2024

টিভি মডেল বাংলাদেশে দাম
Sony Plus 32" Android Double Glass HD LED TV ৳ ১০,৪৯০
Sky View 43" FHD Smart LED TV ৳ ১৯,০০০
LG LK510B 32" IPS HD Television ৳ ১৬,৯৯৯
Sky View FHDSP32G 32-Inch FHD Flat Screen LED TV ৳ ১১,০০০
Sky View 32" Voice Control Smart LED TV ৳ ১২,০০০
Samsung Q65C 2023 43" QLED 4K Tizen TV ৳ ৫৩,০০০
Sony Bravia XR-55-X90L 55" Full Array LED 4K HDR TV ৳ ১৮৬,৫০০
Haier K800UX 43" 4K Voice Control Android Google TV ৳ ৩৭,৯০০
LG UQ7500 55" 4K Smart LED TV ৳ ৭৪,৯৯৯
Xiaomi Mi A Pro 55" Ultra HD Android Google TV ৳ ৫৬,৯৯০