bdstall.com

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

ডেঙ্গু - এডিস মশা

ডেঙ্গু হচ্ছে বর্তমান সময়ের সব থেকে পীড়াদায়ক রোগের একটি। ডেঙ্গু একটা ভাইরাস জ্বর। ডেঙ্গু জ্বরের আদি স্থান ছিল আফ্রিকাতে। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস আমাদের শরীরে এডিস মশার মাধ্যেমে প্রবেশ করে। এডিস মশা অন্যান্য মশার থেকে একটু ছোট এবং দেখতে একটু লাইট ডার্ক। সাধারণ মশা নোংরা পানি, নোংরা ড্রেনের মধ্যে, নোংরা জায়াগাতে বংশবিস্তার করে কিন্তু এডিস মশা পরিস্কার পানি কিছুদিন জমে থাকলে এইসব স্থানে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।

 

ডেঙ্গু জ্বরের ধরনঃ দুই ধরনের ডেঙ্গু জ্বর দেখা যায়ঃ

 

              ১।  ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার

 

              ২ । ডেঙ্গু শক সিনড্রোম

 

 

ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারঃ জ্বর আসবে ১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি শরীরে তাপমাত্রা। জ্বরের সাথে শরীর অনেক ব্যথা হবে যেমন মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমি বমি হতে পারে, শরীরে ক্লান্তি চলে আসবে।

 

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বা রক্ত ক্ষরণ ঃ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হলে শরীরে প্লাটিলেট কমে যায়। প্লাটিলেট আমাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যেহেতু শরীরের প্লাটিলেট কমে যায় যার ফলে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে যেমন দাঁতের নিচ থেকে, নাক দিয়ে, বমির সাথে রক্ত খরণ হয়। চামড়ার নিচে লাল গুটি গুটি দেখা যায়। যদি কোন রোগীর এই সব লক্ষন দেখা যায় তবে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর অনেক ব্যথা হয় যার ফলে অনেকেই না বুঝে পেইনকিলার বা ব্যথার ওষুধ খায় এতে রোগীর শরিরের প্লাটিলেট আরও কমে যায়, যার ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

 

কখন ডাক্টার দেখাবেনঃ ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই তবে কিছু উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্টারের পরামর্শ নিতে হবে

 

  • অতিরিক্ত মাথা ব্যথা সাথে শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্যথা অনুভব করলে

  • চোখের নিচে অনেক ব্যথা করলে

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বল লাগলে

  • প্রচন্ড পেট ব্যথা করলে এবং সাথে বমি হলে

  • জ্বর ১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি থাকলে

 

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারঃ ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধের মুল হল এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। বাড়ির আশে পাশে পরিস্কার রাখতে হবে। বাসা বাড়িতে ফুলের টব, বালতি, বোতল, ডাবের খোসা, খোলা পানির ট্যাংক ইত্যাদিতে বৃষ্টির পানি জমতে দেয়া যাবে না। সাধারণত এডিস মশা সকালে ও সন্ধ্যার সময় বেশি কামড়ায় তবে অন্যান্য সময়ও কামড়াতে পারে তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় মশাড়ি টাঙ্গিয়ে বা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে। ঘরের চারিদিকে দরজা জানালাতে নেট লাগাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যয় সব সময় মশাড়ির মধ্যে রাখতে হবে। একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যেমেই ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।

 

 

কিছু দরকারি মেডিকেল আইটেম এবং মূল্য

 

 

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: September 03, 2019
Reviews (0) Write a Review