bdstall.com

ড্রাইভিং লাইসেন্স

যে কোন গাড়ির ড্রাইভারদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকাটা অত্যন্ত জরুরী, হোক সে পেশাদার বা অপেশাদার। ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো আপনি যে গাড়ি চালানো শিখেছেন বা নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারেন তার দলিল বা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। তাই প্রতিটি গাড়ি চালকের অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা উচিত এবং গাড়ি চালানোর সময় তা সাথে রাখা উচিত। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, এটি এক দিন বা দুই দিনে করা সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজনের আগে কমপক্ষে ৩মাস সময় হাতে রেখে এটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করুন।


ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর যেসকল যোগ্যতা থাকতে হবে :-

  • মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির আগে গাড়ি চালানো শিখার জন্য একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হয় সেটা ব্যবহার করে গাড়ি চালানো শিখতে হবে এবং সেটি নিজের কাছেই রাখতে হবে।
  • আবেদন কারীর বয়স অপেশাদার হলে কমপক্ষে ১৮ এবং পেশাদার হলে কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাশ।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই মানসিক ও শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে।

 

ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়া:-

 

আবেদনকারীকে প্রথমে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার ঠিকানা বিআরটিএর যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। তার আবেদনটি সঠিক হলে বিআরটির অফিস থেকে তাকে একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রধান করা হবে। যেটি ব্যবহার করে সে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষ হলে তাকে নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স মূল কপি ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:-

 

  • নির্ধারিত ফরমটি সঠিকভাবে স্পষ্ট করে পূরণ করা ফরম (ফরমটি বিআরটিএর অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে অথবা বিআরটিএর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন)।
  • রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডিকার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • সদ্য তোলা ৩কপি স্ট্যাম্প ও ১কপি পার্সপোট সাইজের ছবি।
  • নির্ধারিত ফি, বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রসিদ। (কোন ভাবেই কারো সাথে হ্যান্ডক্যাশ লেনদেন করবেন না। সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে রসিদ বুজে নিবেন।)

 

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিষ্ট বিআরটি সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন করার পর মূল লাইসেন্সটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সটি তৈরি সম্পন্ন হলে আবেদনকারীকে মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং এই এসএমএসটি দেখেই আবেদনকারী বুজতে পারে তার লাইসেন্সটি সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্ধারিত তারিখে সে তার সার্কেলের বিআরটি অফিস থেকে মূললাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে পারে।


মূল বা স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :-

 

  • নিধারিত ফরমটি সঠিক ভাবে পূরণ করা অবস্থায়।
  • রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  • নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
  • সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।


পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই আবেদনকরীকে সবার প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন নিতে হবে। তারপর কমপক্ষে তিন বছর পর সে পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে তিন বছর পর সে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।

 

আর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে গেলে আপনি আপনার পছন্দ মত গাড়ি বা বাইক কিনে নিজেই চালাতে পারবেন।

 

গাড়ির বর্তমান দাম

 

বাইকের বর্তমান দাম

 

 

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: May 07, 2020
Reviews (0) Write a Review