bdstall.com

বাইনোকুলার এর দাম

আইটেম ১-১২ এর ১২

বাইনোকুলার কেনাকাটা

বাইনোকুলার কারো কাছে খেলনা আবার কারো কাছে দূরের জিনিস দেখার জন্য দরকারি সামগ্রী। তবে বাইনোকুলার নিয়ে অনেকের মাঝেই থাকে নানান রকমের প্রশ্ন। তার মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি আলোচিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর এবং বাইনোকুলার নিয়ে পর্যাপ্ত ধারণা ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।

বাইনোকুলার কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?

বাইনোকুলার সাধারণত দূরের জিনিসকে স্পষ্ট ভাবে দেখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ বাইনোকুলার একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র যার সাহায্যে স্বাভাবিক দৃষ্টির চাইতে দৃষ্টিসীমার বাইরে অবস্থিত বস্তু দেখার জন্য ব্যবহার হয়। ভ্রমণে গেলে বা কোনো অ্যাডভেঞ্চারে গেলে লক্ষ্য বা গন্তব্যকে নিখুঁত ভাবে দেখতে বাইনোকুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও বাইনোকুলার ব্যবহার করতে দেখা যায় বাংলাদেশে বহুলাংশে। তাছাড়া বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানিগণও মহাকাশের বিভিন্ন জিনিস দেখতে উন্নত প্রযুক্তির বাইনোকুলার ব্যবহার করে থাকেন।

কি কি জেনে বাইনোকুলার কেনা আবশ্যক?

বাইনোকুলার কেনার আগে কয়েকটি বিষয় জানা আবশ্যক। এগুলো জানা না থাকলে সঠিক ভাবে বাইনোকুলার কেনা যাবে না। তাই বাইনোকুলার কেনার আগে নিম্নক্তো বিষয় গুলো জেনে নিনঃ

ব্যবহারের ধরণঃ

বাইনোকুলার কেনার আগে যে কাজে ব্যবহার করবেন সে অনুযায়ী বাইনোকুলার পছন্দ করুন। ভ্রমণে বা অ্যাডভেঞ্চারে ব্যবহার করার জন্য ভাল মানের একটি বাইনোকুলার কেনা ভাল। কেননা ভ্রমণে বা অ্যাডভেঞ্চারে দুরবর্তি জিনিস গুলোকে স্পষ্ট ভাবে দেখতে হয়। ভাল মানের একটি বাইনোকুলার এ কাজটিকে সহজ করতে পারে। আবার যদি কোনো বাচ্চাকে উপহার হিসেবে বাইনোকুলার দিতে চান তবে অনেক খেলনা বাইনোকুলার আছে সেগুলো দিতে পারেন। এগুলো অনেক রঙ এবং ডিজাইনের হয়ে থাকে। কিন্তু আকারে ছোট হলেও এগুলো দিয়ে অনেক দূরের বস্তুকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।

লেন্সঃ

লেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাইনোকুলারের জন্য। মূলত লেন্সের কারণেই নির্দিষ্ট কোনো বস্তুকে দূর থেকেই স্পষ্ট দেখা যায়। বেশির ভাগ বাইনোকুলারে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় তবে কিছু বাইনোকুলারে আবার অবতল লেন্সের দেখা মিলে। উত্তল লেন্স দূরের উঁচু স্থানের বস্তুকে দেখতে সাহায্য করে এবং অবতল লেন্স দূরের নিচু স্থানের বস্তুকে দেখতে সাহায্য করে। তাই স্থানের উপর ভিত্তি করে সঠিক লেন্স অনুযায়ী বাইনোকুলার কিনুন।

জুমিং লেন্থঃ

জুমিং লেন্থ বাইনোকুলারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি বাইনোকুলারের সাহায্যে কতদূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখতে চান সে সম্পর্কে একটা ধারণা রেখে বাইনোকুলারের জুমিং লেন্থ যাচাই করুন। জুমিং লেন্থ যাচাই না করলে সঠিক বাইনোকুলারটি কেনা যাবে না। পরবর্তিতে দেখা যাবে কাঙ্খিত লক্ষ্য বাইনোকুলারে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাই অবশ্যই বাইনোকুলার কেনার আগে জুমিং লেন্থ সম্পর্কে জেনে নিন।

নাইট মোডঃ

বাইনোকুলারে নাইট মোড একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ভ্রমণের সময় রাতের অন্ধকারেও দূরবর্তি জিনিস গুলো দেখতে হয়। কিন্তু বাইনোকুলারে যদি নাইট মোড না থাকে তাহলে স্পষ্ট ভাবে কিছুই দেখা যাবে না। বাংলাদেশে এমন অনেক নাইট মোড বাইনোকুলার পাওয়া যায় যাতে ফ্লাশ লাইটের মতো সুবিধা পাওয়া যায়। তাই নাইট মোড আছে এমন বাইনোকুলার কেনা ভাল।

কীভাবে বাইনোকুলার ব্যবহার করতে হয়?

বাইনোকুলার ব্যবহার করা সাধারণ মনে হলেও কিছু জিনিস মাথায় রেখে ব্যবহার করা উচিৎ। বাইনোকুলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে মুহুর্তের মধ্যেই লক্ষ্য বস্তুকে দেখা যাবে না এবং চোখেরও ক্ষতি হতে পারে ব্যপকভাবে। তাই বাইনোকুলারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা তুলে ধরা হলোঃ

  • প্রথমে বাইনোকুলারের লেন্স গুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে ভালো ভাবে। কারণ বাইনোকুলারে সরাসরি চোখ রাখতে হয়। এমতাবস্থায় যদি লেন্স পরিষ্কার না থাকে তাহলে চোখের ব্যপক ক্ষতি পারে।
  • বাইনোকুলার দিয়ে কখনও সূর্যের দিকে বা কোনো আলোর দিকে তাকানো যাবে না। বাইনোকুলারের লেন্স গুলো অনেকটা ম্যাগনিফাইং গ্লাসের ন্যায়। ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস যেমন সূর্যের আলোতে ধরলে অনেক তাপের সৃষ্টি হয় তেমনি বাইনোকুলার দিয়ে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকালেও তাপের সৃষ্টি হয় ফলে চোখ অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • বাইনোকুলার ব্যবহারের সময় জুমিং হুইল আস্তে আস্তে ঘুরাতে হবে নতুবা কাঙ্খিত বস্তুকে নিখুঁত ভাবে দেখতে কষ্ট হবে।
  • বাইনোকুলার ব্যবহারের পরে অবশ্যই জুম আউট করে রাখতে হবে। অন্যথায়, পরবর্তি ব্যবহারের সময় লক্ষ্য বস্তুকে দেখতে অসুবিধা হতে পারে।

বাংলাদেশে বাইনোকুলারের দাম কত?

বাংলাদেশে বাইনোকুলার খুবই সস্তা দামে পাওয়া যায়। মাত্র ৫৮০ টাকা থেকে শুরু হয় বাংলাদেশে বাইনোকুলারের দাম এবং এতে বিভিন্ন রকমের সুবিধাও রয়েছে। সুবিধা গুলো হলো এই বাইনোকুলার দিয়ে রাতের অন্ধকারেও বিভিন্ন জিনিস দেখার জন্য এতে রয়েছে শক্তিশালী আলো সম্পন্ন ফ্লাশ লাইট। এই ফ্লাশ লাইট ২৫ ফিট পর্যন্ত আলো ছড়াতে সক্ষম। ফলে ২৫ ফিট পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই বাইনোকুলারের সাহায্যে। এটি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বাইনোকুলার রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে বাইনোকুলারের দাম নির্ভর করে বাইনোকুলারের ব্র্যান্ড, সাইজ, লেন্স, জুমিং লেন্থ এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর।

বাইনোকুলার দিয়ে মহাকাশের সবকিছু দেখা যাবে?

বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০০০ ফুট পর্যন্ত জুমিং ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু বাইনোকুলার পাওয়া যায় যা দিয়ে আমাদের পৃথিবীর নিকটে থাকা মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহ দেখা যায় মোটামুটি ভাবে। তবে এই বাইনোকুলার গুলো বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে যেমন উপযোগী তেমনি জোতির্বিজ্ঞানীদের জন্যও তেমন উপযোগী। জরুরী মুহুর্তে কিছু দেখার জন্য এই বাইনোকুলার গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর শিক্ষার্থীরা এই বাইনোকুলার গুলো দিয়ে মহাকাশ সম্পর্কে বইয়ের পাশাপাশি বাস্তবিক ধারণা গুলো পেতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাইনোকুলার গুলো অনেক বেশি উপযোগী।

বাংলাদেশের সেরা বাইনোকুলার এর মূল্য তালিকা June, 2025

2024 & June, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা বাইনোকুলার এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের বাইনোকুলার ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা বাইনোকুলার এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বাইনোকুলার মডেল বাংলাদেশে দাম
Bushnell 10 x 42 Power View Roof Prism Binocular ৳ ৩,৫০০
Bushnell 20x50 Binocular Power View ৳ ২,৭৯৯
Kid's Binocular Toy ৳ ২৯০
Borwolf 20-280 x 200 Night Vision Binocular ৳ ৯,০০০
Bushnell 30-380X300 Binocular Zoom ৳ ৯,৫০০
Binocular 20 x 180 x 100 Telescope ৳ ৭,৫০০
Bossdun (10 x 42mm) HD Vision Binocular ৳ ৪,৫০০
Svbony SV14 Birdwatching Spotting Scope ৳ ৮,৫০০
Celestron Skymaster (20 x 80mm) Multi-Coated Binocular ৳ ২৮,০০০
Celestron Outland X (10 x 42mm) Roof Binocular ৳ ১৩,০০০