RJ45 সংযোগকারী কেনাকাটা
ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিক অর্থনীতিতে সাফল্যের জন্য নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক সংযোগ অপরিহার্য। আর এক্ষেত্রে আরজে৪৫ কানেক্টর সেই সংযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আরজে৪৫ কানেক্টর মূলত আধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ডিভাইসগুলোকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া আরজে৪৫ কানেক্টর বিডিতে ইথারনেট কানেক্টর নামেও পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশে বাসা, অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার, রাউটার, সুইচ এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক-সক্ষম ডিভাইসগুলোতে সংযুক্ত করতে আরজে৪৫ কানেক্টর ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে আরজে ৪৫ কানেক্টরের দাম কত?
বর্তমানে, বিডিতে আরজে৪৫ কানেক্টরের দাম ব্র্যান্ড, গুণগতমান, ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে আরজে৪৫ কানেক্টরের দাম ৯ টাকা থেকে শুরু যা হলো সিংগেল কানেক্টর এবং ক্যাট৬ তারের সাথে সামঞ্জস্য। এছাড়াও, বাংলাদেশে মডুলার আরজে৪৫ কানেক্টর পাওয়া যায় যা দামে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
আরজে৪৫ কানেক্টর কেনার আগে কি কি দেখতে?
নেটওয়ার্ক এবং সংযোগকারী ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, টেকসই এবং নির্ভরযোগ্যতার পাশাপাশি দ্রুত ডেটা স্থানান্তর হার এবং ন্যূনতম ডাউনটাইম সহ মসৃণ এবং দক্ষ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে, প্রয়োজন আরজে৪৫ কানেক্টর। তাই, আরজে৪৫ কানেক্টর কেনার আগে প্রয়োজনের জন্য সঠিক কানেক্টর নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১। ডিভাইস সামঞ্জস্যতাঃ আরজে৪৫ কানেক্টর কেনার আগে সংযোগকারী ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা তা বিবেচনা করা উচিত। কারণ আরজে৪৫ কানেক্টর সংযোগকারী ডিভাইসের সাথে ক্যাট৫, ক্যাট৫ই এবং ক্যাট৬ এর মত নির্দিষ্ট ইথারনেট তারের সাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
২। কানেক্টরের গুণগত মানঃ সংযোগ সমস্যা, ধীর গতি ডেটা স্থানান্তর এবং অন্যান্য ধরণের সমস্যা দেখা যায় নিম্নমানের কানেক্টর ব্যবহারের ফলে। তাই, নেটওয়ার্ক মসৃণ এবং নির্ভরযোগ্যভাবে চলার জন্য উচ্চ-মানের সংযোগ নিশ্চিত করতে আরজে৪৫ কানেক্টরের মান যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৩। শিল্ডিংঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর চারপাশে প্রচুর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টারফারেন্স থাকে ফলে নেটওয়ার্ক সংযোগে অনেক বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে শিল্ডেড আরজে৪৫ কানেক্টর বিবেচনা করা উচিত। ফলে নতুন সংযোগে বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করবে।
৪। পিওই সামঞ্জস্যতাঃ ব্যবহারকারী যদি পাওয়ার ওভার ইথারনেট ডিভাইস ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে তাহলে আরজে৪৫ কানেক্টর অবশ্যই পিওই এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে৷ কারণ পিওই ডিভাইস চালানোর জন্য অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হবে।
৫। ব্র্যান্ড যাচাইঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ডি-নেট, সিস্টিম্যাক্স, মাইক্রোনেট এবং সেফনেট সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং গুনমান সম্পন্ন আরজে ৪৫ কানেক্টর পাওয়া যায়। তাই, ব্যবহারের মাধ্যম এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সঠিক আরজে ৪৫ কানেক্টর বাছাই করা উচিত।