bdstall.com

প্রিন্টার পেপারের দাম

আইটেম ১-৮ এর ৮

প্রিন্টারের কাগজ কেনাকাটা

প্রিন্টার পেপার মূলত প্রিন্টিং শিল্পে ব্যবহৃত অপরিহার্য উপাদান যা উচ্চ-মানের প্রিন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে বাসা-বাড়ি, অফিস এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রিন্টারের ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে প্রিন্টার পেপারের চাহিদাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফটো পেপার থেকে ফটোকপি পেপার সহ বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টিং চাহিদা মেটাতে বিডিতে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার পেপার পাওয়া যায়। ফটো, ডকুমেন্ট, গ্রাফিক্স, পোস্টকার্ড এবং ব্যবসায়িক কার্ডসহ বিভিন্ন ধরণের কাজে প্রিন্টার পেপার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বর্তমানে প্রিন্টিং কাজের ধরণ অনুযায়ী বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মুল্যে বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টিং পেপার পাওয়া যায়।

বিডিতে কি কি ধরণের প্রিন্টার পেপার পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার পেপার পাওয়া যায় যা প্রিন্টিংয়ের প্রয়োজনের সাথে মানানসই এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিয়ে থাকে। বর্তমানে বিডিতে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য প্রিন্টার পেপার হচ্ছেঃ

ফটোকপি পেপারঃ সাধারণত ডকুমেন্ট, রিপোর্ট এবং অন্যান্য ধরণের প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ প্রিন্ট করার জন্য ফটোকপি পেপার ব্যবহার করা হয়। এই ধরণের পেপার বিডিতে এ৪ সাইজে পাওয়া যায় যা বিভিন্ন ওজন এবং উজ্জ্বলতার হয়ে থাকে।

ফটো প্রিন্টিং পেপারঃ বিশেষভাবে উচ্চমান সম্পন্ন ছবি প্রিন্ট করার জন্য মূলত ফটো প্রিন্টিং পেপার ডিজাইন করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ফটো প্রিন্টিং পেপার চকচকে বা ম্যাট ফিনিশিংয়ে তৈরি এবং ৪ x ৬, ৫ x ৭ এবং ৮ x ১০ সহ বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়।

গ্লসি পেপারঃ ফটোগ্রাফ এবং গ্রাফিক্সের মতো উচ্চ মানের ছবি প্রিন্ট করার জন্য উন্নত ফিনিশিং দিয়ে গ্লসি পেপার ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরণের পেপার বিডিতে বিভিন্ন আকার এবং ওজনে পাওয়া যায় যা মূলত ব্যাবসায়িক পন্য, পণ্যের ম্যাগাজিন এবং বিজ্ঞাপন প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ম্যাট পেপারঃ এই ধরনের পেপার সাধারণত নন-রিফ্লেক্টিভস ফিনিসে তৈরি যা ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এবং গ্রাফিক্স প্রিন্ট করা জন্য আদর্শ। বর্তমানে বাংলাদেশে ম্যাট পেপার বিভিন্ন ওজন এবং সাইজে পাওয়া যায় যা বায়োডাটা, ব্যবসায়িক প্রতিবেদন এবং প্রস্তাবনা সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রিন্ট করে থাকে।

হার্ড পেপারঃ পোস্টকার্ড, ব্যবসায়িক কার্ড এবং অন্যান্য উপকরণ মুদ্রণের জন্য টেকসই ভাবে হার্ড পেপার তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের পেপার বিভিন্ন ওজন এবং সাইজে পাওয়া যায় যা বিডিতে ব্যবসায়িক পণ্য এবং পণ্য প্রচারণা প্রিন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তাছাড়া, বিডিতে লেজার পেপার, ইঞ্জেক্ট পেপার সহ বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টিং পেপার পাওয়া যায়। পাশাপাশি উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনের সাথে মানানসই এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের উপর নির্ভর করে সঠিক ফটো পেপার / প্রিন্টার পেপার বেছে নেওয়া উচিত।

প্রিন্টার পেপারের দাম কত?

বাংলাদেশে প্রিন্টার পেপারের দাম কাগজের ধরন, ওজন, আকার এবং ব্র্যান্ড ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সাধারণত বিডিতে ফটোকপি পেপারের দাম ৭০ টাকা থেকে শুরু যা এ৪ সাইজের, সাদা পেপার, ৭০ জিএসএম ওজন এবং প্রতি রিমে ৫০ পিস থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ফটো পেপারের দাম ৮৫ টাকা থেকে শুরু,  যা এ৪ সাইজের, প্রতি প্যাকে ২০ পিস ফটো পেপার থাকে। এছাড়াও উন্নত গুণমানের প্রিন্টার পেপার, অধিক ওজন, ধরণের ভিন্নতা কিংবা সাইজের উপর নির্ভর করে বিডিতে ফটো প্রিন্ট পেপারের দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

প্রিন্টার পেপার কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

প্রিন্টার পেপার কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ধরনের কাগজ বাছাই করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। প্রিন্টার পেপার কেনার আগে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়গুলো যাচাই করতে হবে:

  • পেপারের ধরনঃ প্রিন্টিংয়ের প্রয়োজনে উপযুক্ত কাগজের ধরন যাচাই করতে হবে। যেমন ছবি প্রিন্ট করার জন্য ফটো প্রিন্টিং পেপার, ডকুমেন্ট প্রিন্টের জন্য ফটোকপি পেপার বা ম্যাট পেপার বাছাই করে নিতে হবে।
  • পেপারের ওজন: প্রিন্টার পেপারের ওজন মূলত প্রিন্টিং ডকুমেন্টের ধরণের উপর নির্ভর করে। যেমন ব্যবসায়িক কার্ড কিংবা পণ্য প্রচারণার জন্য ভারী ওজনের পেপার বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভারী ওজনের প্রিন্টিং পেপার টেকসই এবং উন্নত প্রিন্ট প্রদান করে থাকে। বিডিতে প্রিন্টার পেপারের ওজন সাধারণত জিএসএম এককে পরিমাপ করা হয়।
  • পেপারের উজ্জ্বলতাঃ পেপারের উজ্জ্বলতা মূলত ছবি কিংবা তথ্য সমূহ উজ্জ্বল ও আরো তীক্ষ্ণ করে থাকে। উচ্চ উজ্জ্বলতার স্তরের পেপার সমূহ প্রাণবন্ত প্রিন্ট প্রদান করে থাকে। তাই বাংলাদেশে প্রিন্টার পেপার বাছাই করার সময়, কমপক্ষে ৯০ বা তার বেশি উজ্জ্বলতার স্তর সহ একটি সন্ধান করুন।
  • পেপার সাইজঃ প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজের সাইজ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত প্রিন্টিং পেপারের সাইজ এ৪, এ৫, লেটার এবং লিগ্যালসহ বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। তাই প্রিন্টারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রিন্টিং পেপার যাচাই করতে হবে।
  • প্রিন্টার সামঞ্জস্যতাঃ বর্তমানে বিডিতে বিশেষ কিছু প্রিন্টার রয়েছে যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরণের কাগজের সাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তাই প্রিন্টিং পেপার কেনার আগে প্রিন্টারে সাথে ম্যানুয়ালি পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
  • পেপারের পরিমাণঃ প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে তথ্য, ছবি কিংবা পণ্য প্রচারণা প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে খরচ সাশ্রয়ের জন্য একসাথে বেশি পরিমাণে প্রিন্টার পেপার কেনা উচিত।

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সঠিক প্রিন্টিং পেপার নির্বাচন করার ফলে উচ্চ-মানের এবং পেশাদার প্রিন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিডিতে কি কি সাইজের প্রিন্টার পেপার পাওয়া যায়?

বর্তমানে বিডিতে এ১,এ২, এ৩, এ৪, এ৫, এ৬, লেটার, লিগ্যাল, এনভেলাপ, ট্যাবলয়েডসহ বিভিন্ন সাইজের প্রিন্টার পেপার রয়েছে। এসব সাইজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রিন্টার পেপার হচ্ছে এ৪ যা সাধারণত স্টুডেন্টদের বিভিন্ন নোট, এসাইনমেন্ট প্রিন্টের ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এ৫ সাইজের পেপার বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে, দলিল কিংবা চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রিন্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে ছবি প্রিন্টের জন্য ৪ x ৬ ইঞ্চি, ৫ x ৭ ইঞ্চি, ৮ x ১০ ইঞ্চি সাইজের ফটো প্রিন্ট পেপার পাওয়া যায়।

গ্লসি এবং ম্যাট পেপারের মধ্যে পার্থক্য কি?

গ্লসি এবং ম্যাট কাগজের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে পেপার ফিনিশিং এবং আলোর রিফ্লেকশন।  গ্লসি পেপার চমৎকার ফিনিশিং এ তৈরি এবং বেশি পরিমানে আলো রিফ্লেক্ট করে থাকে। অন্যদিকে ম্যাট পেপার নন-রিফ্লেক্টিভস এবং নিস্তেজ ফিনিশিং এ তৈরি। গ্লসি পেপার প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে রঙকে আরও প্রাণবন্ত দেখায়, অন্যদিকে ম্যাট পেপার প্রকৃত রঙ প্রদান করে থাকে। তাছাড়া বিডিতে গ্লসি পেপার দিয়ে শুধুমাত্র ছবি প্রিন্ট করা যায়, কিন্তু ম্যাট পেপার টেক্সট, চার্ট এবং ডায়াগ্রাম প্রিন্টের জন্য সেরা প্রিন্ট প্রদান করে থাকে। তাই চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে পছন্দসই প্রিন্ট পেপার যাচাই করে নেওয়া উচিত।

প্রিন্ট করার জন্য কত ওজনের প্রিন্টার পেপার ব্যবহার করা উচিত?

প্রিন্টের জন্য ব্যবহৃত পেপারের ওজন প্রিন্টিং বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রিন্টার পেপারের ওজন সাধারণত গ্রাম পার স্কয়ার মিটারে পরিমাপ করা হয় এবং পেপারের ওজন যত বেশি হবে, কাগজ তত মোটা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিডিতে ৬০-৯০, ৯০-১২০, ১২০-১৮০, ১৮০-৩০০ জিএসএম সহ বিভিন্ন ওজনের প্রিন্টিং পেপার পাওয়া যায়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ওজনের ফটো পেপার যাচাই করে নেওয়া উচিত।

ইঙ্কজেট এবং লেজার প্রিন্টার পেপারের মধ্যে তফাৎ কি?

ইঙ্কজেট এবং লেজার প্রিন্টার কাগজের মধ্যে তফাৎ হচ্ছে পেপার আবরণ, শোষণ ক্ষমতা, ওজন, পেপার ফিনিশিং এবং দামের মধ্যে রয়েছে। ইঙ্কজেট পেপারে প্রলেপ দেওয়া থাকে যাতে কালি না ছড়ায় এবং ঝাপসা না হয়, অন্যদিকে লেজার পেপার আনকোটেড থাকে কারণ টোনার কালির মতো একইভাবে ছড়ায় না। পাশাপাশি ইঙ্কজেট পেপার সাধারণত লেজার পেপারের চেয়ে হালকা হয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে বিডিতে লেজার পেপারের দাম ইঙ্কজেট পেপারের তুলনায় কম।

প্রিন্টার পেপার কি উভয় পাশে প্রিন্ট করা যায়?

হ্যাঁ, বিডিতে অনেক ধরনের প্রিন্টার পেপার রয়েছে যা দুই পাশেই প্রিন্ট করা যায়। তবে তা নির্ভর করে কাগজের ধরন এবং ওজনের উপর। ফটো পেপার দিয়ে শুধুমাত্র একপাশে প্রিন্ট করা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে প্লেইন সাদা প্রিন্টিং পেপার পাওয়া যায় যা উভয় পাশে প্রিন্ট করা যায়। 

বাংলাদেশের সেরা প্রিন্টারের কাগজ এর মূল্য তালিকা June, 2025

2024 & June, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা প্রিন্টারের কাগজ এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের প্রিন্টারের কাগজ ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা প্রিন্টারের কাগজ এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রিন্টারের কাগজ মডেল বাংলাদেশে দাম
Fuji Film Photo Paper 20 Pcs ৳ ১,৯০০
Quaff A4 Sublimation Transfer Paper ৳ ৩৫০
Fujifilm Photo Paper ৳ ৭০
HiTi P520L 4 x 6 Inch Printer Ribbon and Paper Case ৳ ৬,৪৯৯
Security Seal Tape for Carton Box ৳ ১,৬০০
Fujifilm Premium Plus Photo Paper ৳ ৩৯০
100gsm A4 Sublimation Paper ৳ ৩০০