bdstall.com

গামবুট এর দাম

আইটেম ১-৪০ এর ৪০

গামবুট কেনাকাটা

গামবুট বিভিন্ন শিল্পে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরণের জুতা শুধুমাত্র পায়ের সুরক্ষা প্রদান করে না বরং বিপজ্জনক পরিবেশ, ধারালো বস্তু, বৈদ্যুতিক শক, স্লিপ এবং ট্রিপের কারণে সৃষ্ট আঘাত প্রতিরোধে সহায়তা করে। ম্যানুফ্যাকচারিং, কন্সট্রাকশন, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলসহ অনেক ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে গামবুটর গুরুত্ব অপরিসীম। পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশে গামবুটর চাহিদা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাটা সেফটি জুতা, অ্যাপেক্স সেফটি জুতা, হানিওয়েল সেফটি জুতা, রানার সেফটি জুতা, কিংস সেফটি জুতা, এবং চায়না ব্র্যান্ডের সেফটি জুতা বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, এই ধরণের জুতা বাংলাদেশে গামবুট হিসেবে অধিক পরিচিত। 

বাংলাদেশে কি কি ধরণের গামবুট পাওয়া যায়?

স্টিল-টো জুতাঃ স্টিল-টো জুতা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত গামবুটের মধ্যে অন্যতম। এই ধরণের জুতায় প্রতিরক্ষামূলক ইস্পাত ক্যাপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নির্মাণ, উত্পাদন এবং ভারী শিল্পে ব্যবহার করা হয়।

কম্পোজিট-টো জুতাঃ কম্পোজিট-টো জুতা স্টিল-টো জুতার চেয়ে হালকা হয়ে থাকে যা সাধারণত ইস্পাতের পরিবর্তে কার্বন ফাইবার, কেভলার বা ফাইবারগ্লাসের মতো অ-ধাতু উপাদানে তৈরি। এই ধরণের গামবুট বিমানবন্দর কর্মী বা নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যবহার করে।

বৈদ্যুতিক রেসিস্ট্যান্স জুতাঃ বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করার জন্য মূলত বৈদ্যুতিক রেসিস্ট্যান্ট জুতা ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরণের গামবুট সাধারণত বৈদ্যুতিক এবং ইউটিলিটি শিল্পে ব্যবহার হয়।

স্লিপ-প্রতিরোধী জুতাঃ স্লিপ, ট্রিপ এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে উন্নত ট্র্যাকশনে তৈরি আউটসোল রয়েছে স্লিপ-প্রতিরোধী জুতায়। যা অ্যান্টি-স্লিপ বা নন-স্লিপ জুতা নামেও পরিচিত। এই ধরণের গামবুট কর্মক্ষেত্রে বিশেষভাবে হাসপাতাল এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিক-প্রতিরোধী জুতাঃ এই ধরণের গামবুট সাধারণত রাসায়নিক এবং ক্ষয়কারী পদার্থের সংস্পর্শে প্রতিরোধ প্রদান করে। রাসায়নিক রেসিস্ট্যান্ট গামবুট সাধারণত ল্যাবরেটরি এবং ওষুধ শিল্পে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও ময়েশ্চার প্রটেকশন, ওয়াটার প্রুফ ইত্যাদি গামবুট বাংলাদেশে কম দামে পাওয়া যায়।

গামবুটের সুবিধা কি?

গামবুট বাংলাদেশে ওয়ার্ক বুট বা ওয়ার্ক সুস নামেও পরিচিত যা পেশাগত বিভিন্ন কাজে নিরাপত্তা প্রদান করে।

১। গামবুট কুশন ইনসোল এবং এরগোনমিক ডিজাইনে তৈরি ফলে দীর্ঘ সময় কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ থাকতে সহায়তা করে।

২। গামবুট বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বিশেষভাবে ভারী বস্তুর আঘাতের ঝুঁকি হ্রাস করে পা রক্ষা করে।

৩। সাধারণত স্লিপ-প্রতিরোধী আউটসোল দিয়ে তৈরি গামবুট। ফলে পিচ্ছিল পৃষ্ঠে উন্নত ট্র্যাকশন সরবরাহ করে যা স্লিপ, ট্রিপ এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

৪। বৈদ্যুতিক সার্কিট বা কন্ডাক্টরের সংস্পর্শে কাজ করার ক্ষেত্রে গামবুট বৈদ্যুতিক শক থেকে কর্মীদের নিরাপদ রাখে।

৫।  গামবুট বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বিপজ্জনক রাসায়নিক, তেল বা তরলের মত ক্ষয়কারী পদার্থ থেকে শ্রমিকদের পা রক্ষা করে।

৬। সাধারণত চামড়া, সিন্থেটিক টেক্সটাইল বা রাবার মত টেকসই উপকরণ দিয়ে গামবুট তৈরি করা হয় যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করে।

গামবুটের দাম কত?

ব্র্যান্ড, গুণমান, বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহৃত উপকরণ, ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে গামবুটের দাম পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশে গামবুটের দাম সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণত ওয়াটারপ্রুফ এবং ডাস্টপ্রুফ হয়ে থাকে। শিল্পকারখানায় তেল, এসিড কিংবা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে ব্যবহার উপযোগী গামবুট ৪০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। কন্সট্রাকশন, গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল এরিয়াতে ব্যবহার উপযোগী গামবুট কেনার জন্য কমপক্ষে ১১০০ টাকা খরচ করতে হবে । তাছাড়া, অ্যান্টি-স্কিড, অ্যান্টি-স্ট্যাটিক এবং বৈদ্যুতিক শক প্রতিরোধী গামবুটের দাম ২০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের সেরা গামবুট এর মূল্য তালিকা September, 2025

2024 & September, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা গামবুট এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের গামবুট ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা গামবুট এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

গামবুট মডেল বাংলাদেশে দাম
Kang Xuanan Safety shoe ৳ ২,৫০০
Runner Safety Industrial Shoes ৳ ১,৫০০
MKS101 Safe Safety Shoe ৳ ৩,৫০০
Guyisa Stylish Safety Shoes ৳ ২,৫০০
Industrial Chemical Safety Gumboot ৳ ৫০০
Honeywell Tripper Safety Shoes ৳ ৪,০০০
Haojia Safety Shoes ৳ ২,৫০০
RM220 Safety Shoes ৳ ৩,০০০
Steel PVC Safety Gumboot Shoes ৳ ৯৫০
Safety Cat Black Stylish Safety Shoe ৳ ২,৫০০