bdstall.com

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ১০টি বাইক

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বাইক উৎসাহীদের আবেগে পরিণত হয়েছে পাশাপাশি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমও বটে। প্রায় প্রতি বছরই মোটর বাইক কোম্পানীগুলো রাইডার এবং বাইক উৎসাহীদের জন্য নতুন নতুন মডেল ও ভার্শনের বাইক লঞ্চ করে থাকে। । তাছাড়া, বিগত বছরে বাংলাদেশ সরকার মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট বাড়ানোর ফলে সকলের কাছে উচ্চ সিসির বাইকগুলো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কারণ নতুন মডেলের বাইকগুলো উচ্চ সিসির ইঞ্জিন, উচ্চ কর্মক্ষমতা, উন্নত ডিজাইন, টেকনোলোজি এবং আকর্ষণীয় স্টাইলে তৈরি হওয়ায় দামও তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে নতুন এবং ব্যবহৃত বাইকের দাম ও স্পেসিফিকেশন সহ বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের বাইকের মূল্য তালিকা পেইজটি ভিজিট করতে পারেন। তাহলে চলুন বাংলাদেশে ২০২৫ সালের সেরা ১০ টি দামী বাইক সম্পর্কে জেনে নেয়, যা রাইডার এবং ব্যাক্তিগত উভয় ব্যবহারের জন্য সেরা।

 

বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ১০ টি বাইকের তালিকা 

  • ইয়ামাহা আর১৫এম বিএস৭
  • হোন্ডা সিবিআর১৫০আর (২০২৫)
  • কেটিএম আরসি ১২৫
  • হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন
  • ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪
  • ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫
  • সুজুকি জিএসএক্স-আর১৫০
  • ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ ( ইন্ডিয়ান ভার্সন)
  • রয়্যাল এনফিল্ড মেটিওর ৩৫০
  • সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০

সবচেয়ে দামি বাইক-১ঃ ইয়ামাহা আর১৫এম বিএস৭

ইয়ামাহা আর১৫এম বিএস৭ মূলত স্পোর্টবাইক, যা মোটরবাইক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অনন্য উদাহরণ। এই মডেলের বাইকটি মোটোজিপি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্টাইলিস এবং অত্যাধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই বাইকটি আকর্ষণীয় পারফরম্যান্স প্রদান করার জন্য ভিভিএ টেকনোলোজি এবং উন্নতমানের ইলেকট্রনিক্স সরবারহ করেছে। যারা গতি এবং অ্যাকুরেসি উভয় আশা করেন তাদের জন্য এই মডেলের বাইক মূলত তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ইয়ামাহা আর১৫এম বিএস৭ বাইক ৬,৭৫,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।

 

ইয়ামাহা আর১৫এম বিএস৭ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৫৫ সিসি, লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৮.৪ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪.২ এনএম - ৭,৫০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ মোটোজিপি-অনুপ্রাণিত ডিজাইন, ভিভিএ, অ্যাসিস্ট এবং স্লিপার ক্লাচ, কুইক শিফটার, টিএফটি ডিসপ্লে।

সবচেয়ে দামি বাইক-২ঃ হোন্ডা সিবিআর১৫০আর (২০২৫)

যারা শক্তিশালী এবং আরামদায়ক উভয়ের নিখুঁত মিশ্রণ খুঁজছেন, তাদের জন্য হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর একটি দুর্দান্ত পছন্দের বাইক। এই বাইকটির দাম বাংলাদেশে ৬,০০,০০০ টাকা। এটি মসৃণ ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে তৈরি, যার মধ্যে ১৪৯সিসির এডভান্স ইঞ্জিন রয়েছে। এই মডেলটি শহরের যাতায়াত এবং সাপ্তাহিক ভ্রমণের জন্যই আদর্শ।

 

হোন্ডা সিবিআর১৫০আর (২০২৫) এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৪৯.১৬ সিসি, লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৭.১ পিএস - ৯,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪.৪ এনএম - ৭,০০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস, ইনভার্টেড ফ্রন্ট ফর্ক, এলইডি লাইটিং, রিফাইন্ড এর্গোনমিক্স।

সবচেয়ে দামি বাইক-৩ঃ কেটিএম আরসি ১২৫

কেটিএম আরসি ১২৫ হচ্ছে একটি ট্র্যাক-অনুপ্রাণিত স্পোর্টবাইক যা আক্রমণাত্মক স্টাইলিশ এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদান করে। এটি হালকা ফ্রেম এবং শক্তিশালী ১২৫ সিসি ইঞ্জিনের দিয়ে তৈরি। বাইকটি সাধারণ রাস্তা এবং ট্র্যাক উভয় জায়গায়ই প্রাণবন্ত রাইডিং সুবিধা প্রদান করে। বাংলাদেশে কেটিএম আরসি বাইকটির দাম ৫,৬৬,০০০ টাকা।

 

কেটিএম আরসি ১২৫ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১২৪.৭ সিসি, লিকুইড-কুলড, ডিওএইচসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৪.৫ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১২ এনএম - ৮,০০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ রেস-অনুপ্রাণিত ডব্লিউপি অ্যাপেক্স সাসপেনশন, আক্রমণাত্মক এর্গোনমিক্স, হালকা ওজনের চ্যাসিস।

সবচেয়ে দামি বাইক-৪ঃ হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন

হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন বাইকটি নিও-রেট্রো ডিজাইন এবং আধুনিক পারফরম্যান্সের নিখুঁত মিশ্রণে তৈরি। এর শার্প আউটলুক এবং উন্নত ফিচার সাধারণত মসৃণ এবং উপভোগ্য রাইডিং সুবিধা প্রদান করে। ফলে, আপনি শহরের ভিতরে বা দীর্ঘ হাইওয়েতে আরামদায়কভাবে রাইড করতে পারবেন। এই মডেলের বাইকটি বাংলাদেশে ৫,৫০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।

 

হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৪৯.২ সিসি, লিকুইড-কুলড, ডিওএইচসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৬.৮ পিএস - ৯,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৩.৮ এনএম - ৭,০০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ নিও-স্পোর্টস ক্যাফে ডিজাইন, সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং, হাই-স্পেক সাসপেনশন, হালকা ফ্রেম।

সবচেয়ে দামি বাইক-৫ঃ ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪

ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ বাইকটি স্পোর্টি আউটলুক এবং উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি মূলত ১৫০ সিসি ইঞ্জিন সরবারহ করে। বাইকটি ভিভিএ সিস্টেম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা রেভ রেঞ্জ জুড়ে পাওয়ার ডেলিভারি অপ্টিমাইজ করে। বাংলাদেশে ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ মডেলের বাইকটি ৫,৫০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়। এটি পারফরম্যান্স প্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ এবং পছন্দনীয় বাইক।

 

ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৫৫ সিসি, লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৮.৬ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪.১ এনএম - ৭,৫০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ ভিভিএ সিস্টেম, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (টিসিএস), কুইক শিফটার, আইকনিক আর-সিরিজ ডিজাইন।

সবচেয়ে দামি বাইক-৬ঃ ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫

ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫ আধুনিক টেকনোলজির পাশাপাশি রেট্রো-অনুপ্রাণিত ডিজাইনে তৈরি। এটি  ইয়ামাহা-এর ভিভিএ সিস্টেম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা প্রতিক্রিয়াশীল এবং মজাদার রাইডিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যারা স্টাইলিশ এবং শক্তিশালী বাইক পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বাইক উপযুক্ত। এটির দাম বাংলাদেশে ৫,৪৫,০০০ টাকা।

 

ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৫৫ সিসি, লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৯.৩ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪.৭ এনএম - ৮,৫০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ স্পোর্ট এক্সএসআর ডিজাইন, ভিভিএ, ফুল এলসিডি ডিজিটাল স্পিডোমিটার।

সবচেয়ে দামি বাইক-৭ঃ সুজুকি জিএসএক্স-আর১৫০

সুজুকি জিএসএক্স-আর১৫০ মূলত  হালকা ওজনের, এবং উচ্চ-কার্যক্ষমতা সম্পন্ন বাইক যা চটপটে হ্যান্ডলিং এবং স্পোর্টি আউটলুক প্রদান করে। এই বাইকে  ১৫০সিসি ইঞ্জিন এবং কুইক এসিলারেশন সুবিধা রয়েছে। এটি শহরে রাস্তা এবং মাঝে মাঝে ট্র্যাকে রাইড করার জন্য উপযুক্ত। এই বাইকটি বাংলাদেশে ৫,২৪,৯৫০ টাকায় পাওয়া যায়।

 

সুজুকি জিএসএক্স-আর১৫০ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৪৭.৩ সিসি, লিকুইড-কুলড, ডিওএইচসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৮.৯ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪ এনএম - ৮,৫০০ আরপিএম।
  • কী ফিচারসঃ চাবিহীন ইগনিশন সিস্টেম, হালকা চ্যাসিস, শক্তিশালী ডিওএইচসি ইঞ্জিন।

সবচেয়ে দামি বাইক-৮ঃ ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ ( ইন্ডিয়ান ভার্সন)

১৫০সিসি সেগমেন্টে ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ বাইকটি প্রমাণিত পারফর্মার। এটি চমৎকার পাওয়ার ডেলিভারি এবং হ্যান্ডলিং প্রদান করে, যা বাইকটিকে রাইডারদের কাছে জনপ্রিয় পছন্দ করে তোলেছে। যারা ট্র্যাক এবং শহরের রাস্তায় উভয় ক্ষেত্রেই ভালো পারফর্মেন্স চান তাদের এই বাইকটি উত্তম। এই মডেলের বাইকটি বাংলাদেশে ৪,৮৫,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।

 

ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ ( ইন্ডিয়ান ভার্সন)  এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ১৫৫ সিসি, লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ১৯.৩ পিএস - ১০,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ১৪.৭ এনএম - ৮,৫০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ ভিভিএ টেকনোলোজি, ডেল্টাবক্স ফ্রেম, আক্রমণাত্মক এবং প্রমাণিত আর-সিরিজ ডিজাইন।

সবচেয়ে দামি বাইক-৯ঃ রয়্যাল এনফিল্ড মেটিওর ৩৫০

রয়্যাল এনফিল্ড মেটিওর ৩৫০ মডেলটি স্টাইলিশ ক্রুজার মোটরসাইকেল যা আরামদায়কভাবে দীর্ঘ দূরত্বে রাইড করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ড মেটিওর ৩৫০ বাইকটির দাম ৪,৩৫,০০০ টাকা। এটি ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি আরামদায়ক রাইডিং সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি মসৃণ পারফরম্যান্স প্রদান করে। বাইকটিতে ডিজিটাল-অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে যার সাথে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন এবং ব্লুটুথ সংযোগ রয়েছে। ক্লাসিক রেট্রো স্টাইলিং এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, এটি নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় রাইডারদের কাছেই আবেদনময় করে তুলেছে।

 

রয়্যাল এনফিল্ড মেটিওর ৩৫০ এর স্পেসিফিকেশন

ইঞ্জিনঃ ৩৪৯ সিসি, এয়ার-অয়েল কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।

পাওয়ারঃ ২০.২ বিএইচপি - ৬,১০০ আরপিএম।

টর্কঃ ২৭ এনএম - ৪,০০০ আরপিএম।

কী-ফিচারসঃ ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম, ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস, রিফাইন্ড জে-সিরিজ ইঞ্জিন, ক্রুজিংয়ের জন্য আরামদায়ক।

সবচেয়ে দামি বাইক-১০ঃ সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০

সুজিকি জিক্সার এসএফ ২৫০ মডেলটি সম্পূর্ণরূপে ফেয়ার্ড বাইক যা পারফরম্যান্স এবং আরামের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। এর ২৫০সিসি ইঞ্জিনটি রাইডিং এ শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদান করে এবং অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন স্থিতিশীল উচ্চ-গতির ক্রুজিং নিশ্চিত করে। ফলে, এই বাইকটি  শহর এবং হাইওয়ে উভয় ধরণের রাস্তায় ব্যবহারের জন্যই দুর্দান্ত। বাংলাদেশে সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০ মডেলটির দাম ৪,২৯,৯৫০ টাকা।

 

সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০ এর স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিনঃ ২৪৯ সিসি, ওয়েল-কোল্ড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার।
  • পাওয়ারঃ ২৬.৫ পিএস - ৯,০০০ আরপিএম।
  • টর্কঃ ২২.২ এনএম - ৭,৫০০ আরপিএম।
  • কী-ফিচারসঃ শক্তিশালী এবং টর্কযুক্ত ২৫০ সিসি ইঞ্জিন, ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস, ভ্রমণের জন্য অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন।

 

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বাজারে বিভিন্ন পছন্দ এবং বাজেটের অনুযায়ী বিস্তৃত পরিসরে বাইক পাওয়া যায়। তবে, বাইক কেনার সময়, পারফরম্যান্স, স্টাইল, ফিচার এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন, যা আপনাকে সন্তোষজনক মালিকানা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: July 03, 2025
Reviews (0) Write a Review