bdstall.com

কোন ধরনের জেনারেটর কিনবেন?

জেনারেটর হল এক ধরনের বৈদ্যুতিক ব্যাক আপ পাওয়ার উৎস যা বিভিন্ন ধরনের জ্বালানী শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের জেনারেটর পাওয়া যায়। জ্বালানীর উপরে ভিত্তি করে এর প্রকারভেদ নির্বাচন করা হয়। জেনারেটর এর শ্রেনিবিভাগ গুলো হ’লঃ-

 

১। ডিজেল জেনারেটর

যে সকল জেনারেটরে জ্বালানী হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় সে সকল জেনারেটরকে ডিজেল জেনারেটর বলে। এ ধরনের জেনারেটরের শক্তি তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে তা একাধারে অনেক বেশি সময় ব্যবহার করা যায়। একটি ৮কেভিএ থেকে ১০কেভিএ  জেনারেটর এক ঘন্টা চালাতে মোট ডিজেলের প্রয়োজন হবে ৬ লিটার। তবে জেনারেটরের জ্বালানী নির্ভর করে এর কার্যক্ষমতার উপরে।

 

২। গ্যাসোলিন জেনারেটর

যে সকল জেনারেটরে জ্বালানী হিসেবে পেট্রোল বা গ্যাসোলিন হিসেবে ব্যবহার করা হয় সে সকল জেনারেটরকে গ্যাসোলিন জেনারেটর বলে। গ্যাসোলিন জেনারেটর অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলে। ১ গ্যালন পেট্রোল দিয়ে প্রায় ৮ ঘন্টা চলে।

 

৩। সোলার জেনারেটর  

সোলার জেনারেট্র এমন একটি ডিভাইস যা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর শক্তি গ্রহন করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে। এ ধরনের জেনারেটরের ক্ষমতা তুলনামূলক কম ফলে এটি বাসাবাড়িতে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যাক আপ দিয়ে থাকে। সোলার জেনারেটরের সাহায্যে বিভিন্ন ধরের ডিভাইস চার্জ দেওয়া ও নিম্ন ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক ডিভাইস সচল রাখা যায়।  

 

৪। গ্যাস জেনারেটর

যে সকল যন্ত্র রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রনে চাপ তৈরি করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে তাকে গ্যাস জেনারেটর বলে। এই ধরনের জেনারেটরের ব্যবহার অনেক কম। সাধারণত রকেটে এই ধরনের জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। 

 

এসি/ ডিসি জেনারেটর কি?

সাধারণত বিদ্যুৎ দুই ধরনের হয়ে থেকে এসি এবং ডিসি। এই দুই বিদ্যুতের ধরন ও কাজ ভিন্ন হওয়ায় এর উৎপাদনকৃত যন্ত্রও ভিন্ন হয়। শুধুমাত্র একস্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ দেওয়ার জন্য যে সকল জেনারেটর ব্যবহার করা সে সকল জেনারেটরকে ডিরেক্ট কারেন্ট জেনারেটর বা ডিসি জেনারেটর বলে। এছাড়াও এক জেনারেটর ব্যবহার করে বিভন্ন স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ দেওয়ার জন্য যে সকল জেনারেটর ব্যবহার করা সেকল জেনারেটরকে অল্টারনেটিং জেনারেটর বা এসি জেনারেটর বলে। ডিসি জেনারেটরের চেয়ে এসি জেনারেটরের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি থাকে।

 

ইনভার্টার জেনারেটর কি?

ইনাভার্টার হচ্ছে প্রান্ত বদল অর্থাৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া। যে সকল জেনারেটরের উৎপাদিত বিদ্যুৎ এক মেরু থেকে অন্য মেরুতে পরিচালনা করা হয় সে সকল জেনারেটর কে ইনভার্টার জেনারেটর বলে। কাজের ধরন বা চাহিদার উপরে ভিত্তি করে এসি বা ডিসি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এই উভয় প্রয়োজন মেটানোর জন্য একাধিক জেনারেটরের পরিবর্তে ইনভার্টার জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের জেনারেটরে জ্বালানীর অপচয় কম হয় এবং অল্প পরিমান জ্বালানী দিয়ে এটি স্টার্ট করা যায়।           

 

পোর্টেবল জেনারেটরের সুবিধা

পোর্টেবল জেনারেটর আলাদা ভাবে কোন বৈশিষ্ট্য নেই। যে সকল জেনারেটর খুব সহজেই সব যায়গায় ব্যবহার করা যায় সে সকল জেনারেটরকে পোর্টেবল জেনারটর বলে। এ ধরনের জেনারেটরের ক্ষমতা তুলনামূলক কম থাকে।

 

জেনারেটরের কেনপি কেন ব্যবহার করা হয়? 

কেনপি জেনারেটরের এমন একটি ডিভাইস যা জেনারেটরকে বাহ্যিকভাবে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। কেনপি ডিভাইসটি মূলত ডিজেল জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জেনারেটরের মধ্যে কেনপি ব্যবহার করা থাকলে জেনারেটরের শব্দ তুলনামূলক কমে কমে যায়। 

 

ফ্রিকুয়েন্সি বা আরপিএম কি?  

জেনারেটরের আরপিএম বলতে সাধারণত বুঝায় যে জেনারেটরের ভিতরে থাকা মোটর প্রতি মিনিটে কতবার ঘুরবে। মোটরের এই ঘূর্ণয়নের ওপরে নির্ভর করে এর আউটপুট এবং ঘুর্ণয়ন গতিকে হার্জ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি ভাল মানের জেনারেটরের জন্য ৫০ থেকে ৬০ হার্জ থাকা আবশ্যক।

 

জেনারেটরের ফেজ সংখ্যা কত থাকে ?

জেনারেটরের পাওয়ারের উপরে নির্ভর করে এর ফেজ সংখ্যা কত হবে। জেনারেটরের ফেজ দুই ধরনের হয়ে থাকে সিঙ্গেল ফেজ ও থ্রি ফেজ। জেনারেটর দিয়ে ২২০-২৩০ ভোল্ট উৎপাদন করার জন্য সিঙ্গেল ফেজ ব্যবহার করা হয় এবং ৪০০-৪১৫ ভোল্টেজ উৎপাদন করার জন্য থ্রি ফেজ ব্যবহার করা হয়।

 

জেনারেটরের কেভিএ বলতে কি বুঝায়? 

জেনারেটরের কেভিএ হচ্ছে এর ক্ষমতার একক জেনারেটরের। জেনারেটরের কেভিএ  যত বেশি হবে এর কার্ক্ষমতাও বেড়ে যাবে। কেভিএ হচ্ছে কিলোভোল্ট আম্পিয়ারের বৃহৎ ক্ষমতার ক্ষুদ্রতম একক। এটি দিয়ে খুব সহজেই জেনারেটরের ক্ষমতা নির্নয় করা যায়।

 

জেনারেটরের সর্বশেষ দাম জানতে ভিজিট করুন 

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: September 05, 2021
Reviews (0) Write a Review