বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। কম্পিউটারের সকল অভন্তরীন ডিভাইস যে বক্সে রাখা হয় সেটি কেসিং নামে বাংলাদেশে পরিচিত। কেননা এই কেসিং-এর মধ্যেই থাকে কম্পিউটারের মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাইয়ার, ডিস্ক ড্রাইভ, কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের পিসি কেসিং পাওয়া যায় এবং এগুলো সাধারণত এটিএক্স স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে ফলে এগুলো বিডিতে এটিএক্স কেসিং নাম পরিচিত।
বিডিতে কেসিং-এর দাম কত?
বিডিতে কেসিংএর দাম ৯৫০ টাকা থেকে শুরু এবং এগুলো এটিএক্স থার্মাল কেসিং এবং একটি কুলিং ফ্যান আছে এবং অতিরিক্ত ফ্যান লাগানোর সুবিধা আছে। তাছাড়া এক্সপানশান স্লট, অডিও / মাইক্রোফোন পোর্ট আছে। কেসিংএর দাম নির্ভর করে এর বডি মেটেরিয়াল, ডিজাইন, থার্মাল সিস্টেম ও পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর। তাই পিসি কেস কেনা উচিত বাজেট এবং কম্পিউটার কনফিগারেশনের উপর।
বিডিতে আরজিবি কেসিংএর দাম কত?
বিডিতে আরজিবি কেসিংএর দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু তবে এটির ফ্রন্ট প্যনেলটি শুধু আরজিবি লাইটিং। কিছু কিছু আরজিবি কেসিংএর সাইড প্যানেলও লাইটিং থাকে তবে বিডিতে দাম একটু বেশি পড়বে। তাই বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারেন।
বিডিতে গেমিং কেসিংএর দাম কত?
বিডিতে গেমিং কেসিংএর দাম সাধারণত ২,৮০০ টাকা থেকে শুরু হয় কারন এগুলোর পাওয়ার সাপ্লাই মোটামুটি ভাল মানের। এগুলো দিয়ে গেম, ডিজাইনিং এর কাজ সহজে করা যাবে।
কম্পিউটার কেসিং কেনার আগে কি কি বিষয় জানা আবশ্যক?
পিসির জন্য কেসিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে কম্পিউটার কেসিং কেনার আগে যা যা জানা দরকার সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
১। কম্পিউটার কেসিং কেনার আগে সর্বপ্রথম যে বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো কেসিংএর আকৃতি। যারা উচ্চ কনফিগারেশনের পিসি ব্যবহার করবেন তাদের জন্য পিসি কেস বড় এবং অধিক স্থান সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। পিসি কেসিং-এর বাহ্যিক আকৃতির পাশাপাশি এর অভ্যন্তরীণ জায়গা কেমন সেটিও দেখতে হবে কারণ বাহ্যিক ভাবে কেসিং বড় কিন্তু ভিতরে জায়গা কম এমনটা হলে খুবই সমস্যা হবে। কেসিং যদি ছোট হয় তাহলে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ফিট করবে না। পরে আলাদা ভাবে বড় কেসিং কেনা লাগবে। তাই শুরুতেই বড় কেসিং কেনা ভালো। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে মিনি কেসিং পাওয়া যায় যেগুলো দেখতে সুন্দর এবং ভিতরে ভাল স্পেস আছে।
২। কম্পিউটার কেসিং-এর বডির উপাদান দেখা দরকার। কম্পিউটার কেস যদি ভালো উপাদান দিয়ে তৈরি না হয় তাহলে সেটি বেশি দিন টেকসই হবে না। তাই ভালো মানের একটি কেসিং কেনা বিশেষভাবে প্রয়োজন। আর সাধারণ এর উপর কম্পিউটার কেসিংএর দাম কিছুটা নির্ভর করে।
৩। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে অনেক আরজিবি লাইটিং কেসিং পাওয়া যায়। এই আরজিবি কেসিংগুলো এক অন্যরকম অনুভূতি এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কাজ করে। চমৎকার আরজিবি কম্পপিউটার কেসিংগুলো বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। তাই আরজিবি কেসিং কিনতে পারেন।
৪। কেসিংএর মধ্যে কুলিং সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দীর্ঘক্ষণ চলার পরে কুলিং সিস্টেম সিপিউ কেসিং গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে সমাধান করতে সাহায্য করে। কেসিং কেনার সময় দেখতে হবে কেসিং-এর ভিতর অন্তর্নির্মিত কোনো কুলিং সিস্টেম আছে নাকি এবং অতিরিক্ত আরও কুলিং সিস্টেম লাগানোর মতো জায়গা আছে কি না। তবে সর্বনিম্ন দুটি কুলিং ফ্যান হলে ভাল হয়।
৫। কেসিং কেনার সময় কি কি পোর্ট আছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা বিশেষ ভাবে দরকার। কেসিং-এ সমস্ত প্রয়োজনীয় পোর্ট আছে কিনা তা পরীক্ষা না করে কেনার ফলে অনেক সময় অতিরিক্ত সুবিধা হারাতে হতে পারে পারে। তাই কেসিং কেনার আগে অবশ্যই এই পোর্টের দিকটি মাথায় রাখতে হবে।
৬। অনেক সময় পিসিতে কাজ করার ফলে কেসিং থেকে আওয়াজ আসে যা কাজের সময়ে অনেক বিরক্ত বোধ করায়। তাই কেসিংটি সাউন্ডপ্রুফ কি না এটা দেখাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৭। কম্পিউটার কেসিং-এ যাতে কোন ধুলাবালি না ঢুকতে পারে সেদিকে দেখা দরকার। সাথে যদি ডাস্ট ফিল্টার থাকে তাহলে নিদৃস্ট সময় পর এটি পরিষ্কার করা যায়। তাহলে পিসি কেসিংএর ভিতরের সকল পার্টস ভাল থাকবে।
৮। যারা গেম খেলতে চান তারা গেমিং কেসিং কিনতে পারেন। এগুলোর পাওয়ার সাপ্লাই অনেক উন্নতমানের এবং কিছু কিছু ক্যাসিংয়ে আলাদা ওয়াটার কুলিং সিস্টেম আছে। বাংলাদেশে এখন অনেক গেমার তাই এর চাহিদা বেশি এবং গেমিং ক্যাসিংয়ের দাম বিডিতে বেশ কম।
৯। অনেক সিপিউ ক্যাসিংয়ে ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস প্যানেল থাকে ফলে ভিতরের জিনিষ দেখা যায়। আর এগুলো টেম্পার্ড গ্লাস দিয়ে তৈরী বলে অনেক শক্ত। বাংলাদেশে এগুলো এখন অনেক জনপ্রিয়।
১০। বাংলাদেশে এখন উন্নমানের ব্র্যান্ড কিছু কেসিং পাওয়া যায় যেগুলোর মান অনেক ভাল এবং সাশ্রয়ী।