bdstall.com

লকারের দাম - ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং পাসওয়ার্ড

আইটেম ১-৬ এর ৬

বর্তমানে বাংলাদেশে ডিজিটাল লকারের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। অফিস, বাসা-বাড়ি, স্কুল, কলেজ সর্বত্র জরুরি কাগজ পত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল লকার। ডিজিটাল লকারের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কেন লকার ব্যবহার করবেন?

১। লকারের সাথে স্মার্ট কি-প্যাড এর মত সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে, ফলে নির্দিষ্ট পিন বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লকার খোলা যায়।

২। অনেক ডিজিটাল লকারের সাথে ফিঙ্গার প্রিন্টের সেন্সর যুক্ত রয়েছে, ফলে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট আঙ্গুল ব্যবহার করে সহজে অ্যাক্সেস করতে পারে।

৩। যদি একাধিক বার ভুল পিন বা ভুল ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া হয় তাহলে ডিজিটাল লকার স্থায়ীভাবে লক হয়ে যায় যা পরবর্তীতে রিসেট করা যায়।

৪। এছাড়াও, ইমার্জেন্সি সময়ে দ্রুত অ্যাক্সেস করার জন্য ডিজিটাল লকারে ছোট কি এবং কি-হোল থাকে। ফলে, প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন সময় দ্রুত ডিজিটাল লকার খোলা যায়।

৫। ডিজিটাল লকারে সাধারণত ইলেকট্রিক স্মার্ট কি-প্যাডের মাধ্যমে লক সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই, ডিজিটাল লকারকে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক লকারও বলা হয়।

৬। ডিজিটাল লকার ব্যবহারের ফলে চুরি বা অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে মূল্যবান ডকুমেন্টস এবং জিনিসপত্র নিরাপদ রাখে৷

বাংলাদেশে ডিজিটাল লকারের দাম 

বাংলাদেশের লকারের দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু, যা সাধারণত শক্তিশালী স্টিল বডি এবং ডিজিটাল পাসওয়ার্ড সিকিউরিটি সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। তাছাড়া, বাংলাদেশে ডিজিটাল লকারের দাম মূলত লকারের বডি, স্টোরেজ ক্যাপাসিটি, সিকিউরিটি এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাসা-বাড়ি, অফিস, ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার উপযোগী, পাসওয়ার্ড ও ইমারজেন্সি কী সাপোর্টেড ডিজিটাল লকার ১৮,০০০ টাকা থেকে ২৬,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, কাস্টমাইজড সিকিউরিটি সিস্টেম এবং বড় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি সম্পন্ন ডিজিটাল লকারের দাম ৩২,০০০ টাকা থেকে শুরু।

ডিজিটাল লকার কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে

বডি মেটারিয়ালঃ ডিজিটাল লকার সাধারণত স্টিল এবং মেটাল দিয়ে তৈরি করা হয়, যা অন্যান্য লকারের তুলনায় বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। পাশাপাশি কিছু কিছু ডিজিটাল লকারে ফায়ার প্রুফ ও মরিচা রোধ করার জন্য প্রটেকশন থাকে। তাই, ডিজিটাল লকার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই বডি মেটারিয়াল এবং লকারের বডি প্রটেকশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।

সিকিউরিটি ফিচারঃ ডিজিটাল লকারের মূল্যবান জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং, পাসওয়ার্ড প্রটেকশন, ইমারজেন্সি কী, এবং এনক্রিপশনের মতো উন্নত সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।

স্টোরেজ সাইজ এবং ক্যাপাসিটিঃ  ডকুমেন্টস, অলংকার কিংবা টাকা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল লকারের সাইজ এবং ক্যাপাসিটি যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি, বাসা-বাড়ি, অফিসে যথাযথ ভাবে ফিট হবে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের বাজারে সাইজ এবং ক্যাপাসিটি অনুযায়ী ডিজিটাল লকারের দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

লকারের বিল্ড কোয়ালিটিঃ ডিজিটাল লকার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই টেম্পারিং বা ব্রেক-ইনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উচ্চ-মানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি কিনা তা যাচাই করতে হবে।

লকারের ইন্টারফেসঃ ডিজিটাল লকার কেনার ক্ষেত্রে ইউজার ইন্টারফেস সহজে অপারেট করা যায় কিনা তা যাচাই করতে হবে৷

ব্যাটারি ব্যাকআপঃ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ডিজিটাল লকার লক আউট হওয়া প্রতিরোধ করতে ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে ব্যাটারি যুক্ত রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে৷ ইলেকট্রিসিটি না থাকলে ডিজিটাল লকার ইমার্জেন্সি কি-হোল, কি-প্যাড ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে খোলা যায় কিনা তা যাচাই করতে হবে।

বাংলাদেশের সেরা লকার এর মূল্য তালিকা April, 2024

লকার মডেল বাংলাদেশে দাম
Xiaomi Mijia Smart Safe Deposit Box ৳ ২৬,১৯০
Password Security L64 Steel Body Digital Safe Locker ৳ ৩,৯০০
Password System L520 Digital Locker ৳ ১৮,০০০
Zymak EL-600F Fingerprint Security Safe Locker ৳ ৪৪,০০০
Zymak EL-450F Digital Plus Fingerprint Locker ৳ ৩২,০০০