bdstall.com

পানির ফিল্টারের দাম ২০২৫

আইটেম ১-৪০ এর ১৬৭

পানির ফিল্টার কেনাকাটা

একসময় বলা হতো পানির অপর নাম জীবন কিন্তু বর্তমানে সেটা কিছুটা পরিবর্তন হয়ে হয়েছে বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। কারণ বর্তমানে নানানভিদ পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে ক্রমান্নয়ে পানিও দূষিত হয়ে পরছে। কারণ বর্তমান বেশিরভাগ স্থানের পানিতেই থাকে বিভিন্ন দূষিত খনিজ পদার্থ যেমন সীসা, ক্লোরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ এছাড়াও রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থাকে অতিমাত্রায় যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমরা বাংলাদেশে অনেকেই সনাতন পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি কিন্তু পানির এসকল ক্ষতিকর পদার্থ ফুটিয়ে সবসময় দূর করা সম্ভব হয় না এর জন্য দরকার হয় আধুনিক ফিল্টারিং সিস্টেম। এখন যে কেউ বিডিস্টলে সবচেয়ে ভালো দামে পানির ফিল্টার কিনতে পারবেন।

বৈদ্যুতিক বনাম গ্র্যাভিটি

  • বৈদ্যুতিক ফিল্টারঃ বৈদ্যুতিক পানির ফিল্টার বৈদ্যুতিক পাম্প ব্যবহার করে এবং যেখানে পানির গতি কম সেখানে এটি অপরিহার্য।ইলেকট্রিক ওয়াটার ফিল্টারের দাম ৫,২০০ টাকা এবং এটির পানি বিশুদ্ধকরণ ৯৯%। অধিকন্তু, আধুনিক ফিল্টারিং সিস্টেমের বেশিরভাগের জন্যই এখন বিদ্যুতের প্রয়োজন। বিদ্যুৎ না থাকলে আর ফিল্টার করতে পারে না তাই বেশির ভাগই জলাধার থাকে এবং চাপ দিয়ে সেখান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি নেওয়া যায়।
  • গ্র্যাভিটি ফিল্টারঃ গ্র্যাভিটি ভিত্তিক পানি পরিশোধন ব্যবস্থা খুবই সহজ প্রক্রিয়া, যা বিদ্যুৎ ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, এটি সহজেই পানির স্বাদ এবং গন্ধকে প্রভাবিত করে এমন রাসায়নিকগুলি অপসারণ করতে পারে। গ্র্যাভিটি ভিত্তিক ওয়াটার ফিল্টারের দাম শুরু ২,০০০ টাকা থেকে। গ্র্যাভিটি ফিল্টার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চল সহ বহুল ব্যবহৃত ফিল্টার কারণ এতে কোনো বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না এবং দামও খুবই কম। যাইহোক, দ্রুত বিশুদ্ধকরণের জন্য কলের পানিতে পর্যাপ্ত পানির চাপ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিশোধন প্রযুক্তি

বাংলাদেশে বিভিন্ন টেকনোলোজির এবং ফিচারের সমন্বয়ে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের ওয়াটার ফিল্টার পাওয়া যায়। তবে, টেকনোলোজির ভিত্তিতে ওয়াটার ফিল্টারের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনার যদি কম বাজেট হয়ে থাকে তাহলে গ্র্যাভিটি ভিত্তিক পিউরিফায়ার নির্বাচন করুন এবং বেশি বাজেটের জন্য RO ফিল্টারেশন প্রযুক্তি নির্বাচন করুন।

  • RO ফিল্টারেরঃ পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য এটি একটি বহুল ব্যবহৃত প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে পানি থেকে যে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, অতিক্ষুদ্র কণা ও অনু, বৃহত্তম কণা, অতিক্ষুদ্র অনুজীব যেমন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া পর্যন্ত পরিশুদ্ধ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি ধাপে পানিকে ১০০% বিশুদ্ধ করা হয়। এটিতে প্রথমেই থাকে বড় কণাগুলো ফাদে ফেলে পানি বিশুদ্ধ করার জন্য পলি-ফিল্টার তারপর ছোট কণাগুলো পরিষ্কার করার জন্য ক্ষুদ্র পলি ফিল্টার তারপর জৈব রাসায়নিক পরিস্কার করার জন্য একটি কার্বন ফিল্টার এরপর রয়েছে একটি পাতলা ফিল্ম ঝিল্লি যা দূর করতে পারে যে কোন জীবানু বা অনুজীব তারপর সর্বশেষ একটি অতি ক্ষুদ্র কার্বন ফিল্টার। এক্ষেত্রে রিভার্স ওসমোসিস টেকনোলোজির ওয়াটার ফিল্টার পানির স্বাদ ও গন্ধ উভয় সঠিক গুণমান বজায় রাখে, যা ছোট শিশু ও বয়স্ক লোকদের জন্য উপযুক্ত পানি সরবারহ করে। RO ওয়াটার ফিল্টারের দাম প্রায় ৩,৫০০ টাকা কিন্তু RO ফিল্টারের দাম মূলত ফিল্টারিং পর্যায়ের সংখ্যা, মেমব্রেনের গুণমান এবং বিশুদ্ধতার জন্য অতিরিক্ত ফিল্টারিং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। কিছু RO ফিল্টার বক্স ডিজাইনের সাথে আসে যার মানে সমস্ত ফিল্টার বাক্সের ভিতরে থাকে এবং এই RO ফিল্টারের দাম ১৫,০০০ টাকার উপরে। বাংলাদেশে RO ফিল্টার এখন সবচেয়ে সাধারণ ফিল্টারিং সিস্টেম এবং এটি ঐতিহ্যগত বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন করছে।
  • আল্ট্রাফিল্ট্রেশন ফিল্টারঃ এই পানি ব্যবস্থায় আল্ট্রাফিল্ট্রেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য ইউএফ মেমব্রেন যা সহনশীল ক্লোরিন এবং পানির পিএস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই পদ্ধতিতে, পানি থেকে রাসায়নিক পরিষ্কার করা হয়। আল্ট্রাফিল্ট্রেশন ওয়াটার ফিল্টার মূলত পানির ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীবকে অবক্ষেপণের মাধ্যমে ধ্বংস করে এবং পরিষ্কার পানি সরবরাহ করে মাইক্রোফিল্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।  যাইহোক, এই পরিশোধন ব্যবস্থার জন্য নিয়মিত ফিল্টার পরিবর্তন করা খুবই প্রয়োজনীয়। আল্ট্রাফিল্ট্রেশন এর দাম খুবই সস্তা এবং এতে কোনও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না, তাই এটি গ্রামীণ মানুষ এবং কম বাজেটের ক্রেতাদের জন্য সেরা।
  • আল্ট্রাভায়োলেট ফিল্টারঃ  এই পদ্ধতিতে পানি থেকে খুব সহজেই অনুজীবন ধ্বংস করা যায়। এর জন্য প্রথমে পানির মাইক্রোবায়োলজিকাল বৃদ্ধি হ্রাস করা হয় তারপর ২৫৪ ন্যানোমিটারের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সাথে ইউভি বিকিরণ অণুজীবের ডিএনএ ধ্বংস করে পানিতে থাকা সকল প্রাকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, শেত্তলা এবং ছত্রাককে মেরে ফেলে। আল্ট্রাভায়োলেট সাধারণত একমাত্র পরিশোধন ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, এটি অন্যান্য প্রযুক্তির সাথে পরিশোধনের একটি অতিরিক্ত স্তর প্রদান করে। আল্ট্রাভায়োলেটের সাথে অতিরিক্ত পিপি কার্টিজ এবং কার্বন ফিল্টার ব্যবহার করা হয় তাই এই সিস্টেমটি একটু দামী যেমন বাংলাদেশে এই আল্ট্রাভায়োলেট ফিল্টারের দাম কমপক্ষে ৫,০০০ টাকা। 

ব্র্যান্ড নির্বাচন

আপনি যে ব্র্যান্ডেরই ওয়াটার ফিল্টার কিনুন না কেন, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি ১০০% মানসম্পন্ন পানি সরবরাহ করে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওয়াটার ফিল্টারই চাইনিজ ব্র্যান্ডের এবং বাংলাদেশে এই ওয়াটার ফিল্টারের দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিছু বাংলাদেশী নামী কোম্পানি এখন সুন্দর দেখতে রিজার্ভার এবং লাইটিং সহ ওয়াটার পিউরিফায়ার বিক্রি করছে। আপনি আপনার বাড়ির আকর্ষণ বাড়াতে এই ফিল্টারগুলি কিনতে পারেন এবং সহজেই ভালো মানের পানি পেতে পারেন। চাইনিজ ছাড়াও কিছু ফিল্টার পাওয়া যায় এবং এগুলো উচ্চমানের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। আপনি এগুলো থেকে ভালো সেবাও পেতে পারেন কিন্তু এখন বাংলাদেশের বাজারে এগুলো খুব কম। যদিও ব্র্যান্ডের ওয়াটার পিউরিফায়ারের দাম একটু বেশি, তবে এগুলো চমৎকার বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে।

বাজেট

পানির ফিল্টারের দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা কম দামের পানির পিউরিফায়ার এবং যে কোনও কলের সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে। ভালো মানের পিউরিফায়ারের দাম পড়বে ১০,০০০ টাকা যা স্টেজড ফিল্টারিং সিস্টেম ব্যবহার করে। তবে ওয়াটার পিউরিফায়ারের দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড, মডেল, ক্ষমতা, গরম এবং ঠান্ডা সিস্টেম, পরিশোধন প্রযুক্তি এবং ফিল্টার স্টেজের উপর। মনে রাখবেন, আপনি যে পানির ফিল্টার কিনুন না কেন নিশ্চিত করুন যে পানিতে সমস্ত খনিজ রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিছু পিউরিফায়ার খনিজগুলিকে ফিল্টার করে যা ননা-মিনারেল পানি তৈরি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, দুই ধরণের পানি পরিশোধক পাওয়া যায় যা বৈদ্যুতিক এবং গ্র্যাভিটি ভিত্তিক।

যে বৈশিষ্ট্যগুলি দেখতে হবে

বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা শিল্পকারখানায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহের জন্য উপযুক্ত ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বাজারে সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে অসংখ্য ওয়াটার ফিল্টার রয়েছে। তাই দাম বিবেচনার পাশাপাশি উল্ল্যেখযোগ্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে, সে সম্পর্কে জেনে নেয়ঃ

  • পানির কোয়ালিটিঃ ওয়াটার ফিল্টার বিভিন্ন টেকনোলোজি যেমন রিভার্স অসমোসিস, অতিবেগুনী, আল্ট্রাফিলারেশন, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং গ্র্যাভেটি বেসড সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি, যা পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জীবাণু মুক্ত করে এবং পানির গুণমান বজায় রাখে। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে পানির টিডিএস লেভেল বিবেচনা করতে হবে। সাধারণত ৫০০ টিডিএস মাত্রার পানি বিশুদ্ধ এবং ১০০০ টিডিএস মাত্রার পানি দূষিত পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • ফিল্টার ক্যাপাসিটিঃ বাসা, অফিস কিংবা শিল্প কারখানায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়াটার ফিল্টার। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে ব্যবহৃত স্থানে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার ক্যাপাসিটি সম্পন্ন ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করতে হবে। যদি বেশি পরিশোধন ক্ষমতার প্রয়োজন হয় তবে বাংলাদেশে পানির পিউরিফায়ারের  দাম একটু বেশি হবে।
  • পানির ফ্লো রেটঃ ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে পানির ফ্লো রেট বিবেচনা করতে হবে। ফিল্টারটি কত দ্রুত পানি বিশুদ্ধ করতে পারে, তা নির্ভর করে মূলত ওয়াটার ফিল্টারের ফ্লো রেট এর উপর। তাই, পানির চাহিদা অনুযায়ী ওয়াটার ফ্লো রেট যথাযথ রয়েছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
  • মাইক্রোন রেটিংঃ দূষিত পানিতে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষুদ্র জীবাণু থাকে, যা শিশু থেকে বয়স্ক প্রায় সকল বয়সের মানুষের স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে অবশ্যই ওয়াটার ফিল্টারের মাইক্রোন রেটিং যাচাই করতে হবে। কম মাইক্রোন রেটিং সম্পন্ন ওয়াটার ফিল্টার অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্রুত অপসারণ করতে পারে।
  • ফিল্টারের স্থায়িত্ব এবং প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাঃ ওয়াটার ফিল্টারের ভিতরের ফিল্টার কার্টিজের কার্যকারিতা, ব্যবহারের সময়কাল এবং সহজেই প্রতিস্থাপন করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী ফিল্টার কার্টিজ বিবেচনা করতে হবে, ফলে খরচ সাশ্রয় হবে।
  • জলাধারঃ বেশিরভাগ পানির ফিল্টারে জলাধার থাকে তাই আপনার পরিবারের জন্য উপযুক্ত আকার নির্বাচন করুন। সাধারণত ৮ লিটার জলাধার বৈদ্যুতিক পানির ফিল্টার সিস্টেমের সাথে আসে।
  • ফিল্টার প্রতিস্থাপন সতর্কতাঃ এটি একটি ভাল বৈশিষ্ট্য এবং অনেক আধুনিক বৈদ্যুতিক ফিল্টারিং সিস্টেম এই বৈশিষ্ট্যটি অন্তর্ভুক্ত করে।
  • গরম এবং ঠান্ডাঃ কিছু পানির ফিল্টার গরম এবং ঠান্ডা সুবিধার সাথে আসে এবং কিছু শুধুমাত্র ঠান্ডা সুবিধার সাথে আসে। তাই আপনার প্রয়োজন অনুসারে সঠিকটি বেছে নিন। বাংলাদেশে গরম ও ঠান্ডা পানির পিউরিফায়ারের দাম ২০,০০০ টাকার মধ্যে এবং এর চেয়ে ভালোটির দাম প্রায় ৪০,০০০ টাকার কাছাকাছি হতে পারে।
  • ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবাঃ ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে অবশ্যই ওয়ারেন্টি বিবেচনা করতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টি যুক্ত ওয়াটার ফিল্টার ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এছাড়াও, ওয়াটার ফিল্টার কেনার পর কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
  • সার্টিফিকেশনঃ এনএসএফ ইন্টারন্যাশনাল বা ওয়াটার কোয়ালিটি অ্যাসোসিয়েশনের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেশন রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন মূলত ওয়াটার ফিল্টারটি পরীক্ষিত এবং দূষিত পদার্থ অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মক্ষমতা মান পূরণের সক্ষমতা রয়েছে তার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
  • অন্যান্য ফিচারসঃ ডিজিটাল ডিসপ্লে, স্মার্ট ওয়াটার ট্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি ওয়াটার ফিল্টার সাশ্রয়ী দামে বাংলাদেশে সচারাচর পাওয়া যায়। তাই স্মার্ট ফিচারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করা উচিত।

নিরাপদ পানির জন্য কিছু সতর্কতা

  • ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিল্টার কার্টিজ পরিবর্তন করতে হবে, যার ফলে সবসময় সঠিক ফিল্ট্রেশন সিস্টেম বজায় থাকবে। মনে রাখবেন, বাংলাদেশে সাধারণত কলের পানিতে অনেক জায়গায় প্রচুর আয়রন থাকে তাই ফিল্টার প্রত্যাশিত সময়ের আগে পরিবর্তন করতে হতে পারে।
  • ওয়াটার ফিল্টারের ভেতরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ময়লা জমা হয় যা নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার করতে হবে।
  • এছাড়াও, ওয়াটার ফিল্টারের বাইরের দিকে ধুলো, ময়লা যেন জমে না থাকে, সেজন্য নরম স্পঞ্জের কাপড়ে দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে ওয়াটার ফিল্টারের বাইরের দিক পরিষ্কার করতে হবে।
  • প্রতিনিয়ত ব্যবহার করার পাশাপাশি ফিল্টারে কোনো ধরণের লিকেজ রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে এবং প্রয়োজনে লিকেজ বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অনেকদিন টানা ব্যবহারের ফলে ওয়াটার ফিল্টারের ভিতরে ময়লা, ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া জমে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ফিল্টারের স্টেজ গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর স্যানিটাইজ করা উত্তম।
  • ওয়াটার ফিল্টারের সাথে পানি ধরে রাখার জন্য নির্দিষ্ট পাত্র থাকে, যাতে পানি ফিল্টার হওয়ার পর জমা হয়। পানি জমাকৃত পাত্রটি যাতে ভাইরাস ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ না হয়, তার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি ভালো ভাবে ঢেকে রাখতে হবে।
  • ওয়াটার ফিল্টারের পানিতে দূষিত পদার্থ সঠিকভাবে অপসারণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য পানির টিডিএস মাত্রা যাচাই করতে হবে।
  • ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহারে পানির প্রবাহ ঠিক ঠাক হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। যদি পানির প্রবাহ ধীর গতির হয় সেক্ষেত্রে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ফিল্টার কার্টিজ পরিবর্তন করতে হবে।
  • তাছাড়া, ব্র্যান্ড ও মডেল ভেদে ওয়াটার ফিল্টারের সাথে নিজস্ব প্রস্তুতকারকের ম্যানুয়াল মেইন্ট্যানেন্স গাইড সরবারহ করে। তাই ওয়াটার ফিল্টার রক্ষনাবেক্ষনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা সমূহ অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্র্যান্ডের সার্ভিস পয়েন্টে যোগাযোগ করতে হবে। 

পানির ফিল্টার সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

বিডিস্টলের ক্রেতাদের প্রায়শই জিজ্ঞাসিত ৫টি প্রশ্ন এবং ওয়াটার পিউরিফায়ার কেনার আগে আপনার এগুলো জানা উচিত।

বিডিস্টলের ক্রেতাদের জিজ্ঞাসিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং ওয়াটার পিউরিফায়ার কেনার আগে আপনার এগুলো জানা উচিত।

এটি কি নোনতা পানি ফিল্টার করতে পারে?

হ্যাঁ তবে এটি ফিল্টারটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। রিভার্স অসমোসিস (RO) লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধ করতে একটি জনপ্রিয় ফিল্টার।

ওয়াটার ফিল্টার কি বিদ্যুত ছাড়াই চলতে পারে?

সব ধরনের ফিল্টারে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না যেমন সাধারণ পানির ফিল্টার। তবে RO ওয়াটার পিউরিফায়ারের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন এবং বিদ্যুত বন্ধ হয়ে গেলে ফিল্টারিং বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেশিরভাগ আরও সিস্টেমে পানি সংরক্ষণের জন্য একটি সংরক্ষিত ট্যাংক রয়েছে এবং ট্যাঙ্কটি খালি না হওয়া পর্যন্ত ট্যাঙ্কের চাপ ব্যবহার করে পানি সরবরাহ চালিয়ে যায়। এই কারণেই এই সংরক্ষিত ট্যাঙ্কটিকে কখনও কখনও প্রেসার ট্যাঙ্ক বলা হয়।

ফিল্টারের পরে পিএইচ কী হয়?

পানির স্ট্যান্ডার্ড পিএইচ ৬-৮ হয়। ফিল্টারের পরে, জলের পিএইচ ৬-৭ হয় যা খুব নিরাপদ। কিছু ফিল্টারেশন প্রযুক্তিতে আপনি অতিরিক্ত কারটিজ ব্যবহার করে পানিকে আরও ক্ষারযুক্ত করতে পারেন। আপনি পিএইচ মিটার ব্যবহার করে পানির পিএইচ স্তরও পরীক্ষা করতে পারেন।

ফিল্টারের পরে টিডিএস কী হয়?

৫০০ মিলিগ্রাম / এল যে কোনও ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য একটি নিরাপদ টিডিএস। আপনি টিডিএস মিটার ব্যবহার করে এটি পরীক্ষা করতে পারেন।

আমি কি কম পানির চাপে গ্র্যাভিটি ফিল্টার ব্যবহার করতে পারি?

হ্যাঁ আপনি পারেন তবে ফিল্টার করা পানির পরিমাণ কম হবে তাই এটি সময়সাপেক্ষ হবে।

কত দিন দিন পর ওয়াটার ফিল্টার কার্তুজ পরিবর্তন করা উচিত?

ফিল্টার কার্তুজ পরিবর্তনের সময়কাল মূলত ফিল্টারের ধরণ, পানির গুণমান এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। সাধারণত প্রতি ৬-১২ মাস অন্তর ওয়াটার ফিল্টারের কার্তুজ পরিবর্তন করা উচিত।

বাচ্চাদের জন্য কি এটি নিরাপদ?

হ্যাঁ, বিশেষ করে রিভার্স অসমোসিস এবং আলট্রা ভায়োলেট ওয়াটার ফিল্টারের পানি নিরাপদ। কারণ এই ধরণের ওয়াটার ফিল্টার কার্যকরভাবে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস অপসারণ করে।

বাংলাদেশের সেরা পানির ফিল্টার এর মূল্য তালিকা June, 2025

2024 & June, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা পানির ফিল্টার এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের পানির ফিল্টার ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা পানির ফিল্টার এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

পানির ফিল্টার মডেল বাংলাদেশে দাম
Drinkit Water Purifier Blue ৳ ৩,৫০০
Unilever Pure Ultima Mineral RO + UV + MF ৳ ২৭,৯১০
Pureit Wave 6 Liter RO + MF Mineral Water Purifier ৳ ১৪,৫০০
Water Purifier Iron Filter Set for Tap / Shower ৳ ১,০৫০
Pureit Marina Plus 6 Liter Water Purifier ৳ ১৭,৯৯৯
Vision RO Water Purifier Special Edition ৳ ৮,৯০০
Vision RO Hot & Cold Water Filtering System ৳ ১৮,৯৯০
UF 5-Stage Water Purifier ৳ ৫,২০০
SWS Hi-Tech Ceramic Cartridge Water Purifier ৳ ৫৯০
Pureit Classic Mineral RO + MF ৳ ১৬,৯৯০