বিশুদ্ধ পানি কেন পান করা উচিত?
একসময় বলা হতো পানির অপর নাম জীবন কিন্তু বর্তমানে সেটা কিছুটা পরিবর্তন হয়ে হয়েছে বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। কারণ বর্তমানে নানানভিদ পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে ক্রমান্নয়ে পানিও দূষিত হয়ে পরছে। মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিশুদ্ধ পানি অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু বিশুদ্ধ পানি পাওয়া এখন অনেকটাই দুর্লব হয়ে পড়েছে। কারণ বর্তমান বেশিরভাগ স্থানের পানিতেই থাকে বিভিন্ন দূষিত খনিজ পদার্থ যেমন সীসা, ক্লোরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ এছাড়াও রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থাকে অতিমাত্রায় যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই সনাতন পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি কিন্তু পানির এসকল ক্ষতিকর পদার্থ ফুটিয়ে বা নিম্নমানের ফিল্টারিং করে সবসময় দূর করা সম্ভব হয় না এর জন্য দরকার হয় আধুনিক ফিল্টারিং সিস্টেম।
বাংলাদেশে ওয়াটার ফিল্টারের দাম
বাংলাদেশে যেসকল ওয়াটার ফিল্টার বাসাবাড়িতে ব্যবহার হয় তার বেশিরভাগই আল্ট্রা প্রযুক্তির ওয়াটার ফিল্টার। সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রাথমিক ভাবে এই ধরণের পিউরিফায়ার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। আল্ট্রা প্রযুক্তির পানির ফিল্টার মেশিনের দাম ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা গ্র্যাভেটি বেজড, আল্ট্রা ফিল্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ ফিল্টারিং করতে পারে। কম দামের মধ্যে হওয়ায় বিডীতে আল্ট্রা প্রযুক্তির ওয়াটার ফিল্টার জনপ্রিয় বেশি।
পানিকে আরও ভাল বিশুদ্ধকরণের জন্য একটি RO পিউরিফায়িং সিস্টেম খুব ভাল কাজ করে. বর্তমানে ro water purifier বাংলাদেশে এর দাম শুরু হয় ১০,০০০ টাকা থেকে। বাংলাদেশে ওয়াটার ফিল্টারের দাম, ব্র্যান্ড, মডেল, পানি ধারণক্ষমতা, গরম ও ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা, ফিল্ট্রেশন সিস্টেম, ফিল্টার স্টেজ এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে.
বাংলাদেশে কোন কোন টেকনোলোজির ওয়াটার ফিল্টার পাওয়া যায় এবং দাম কত?
বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উন্নত টেকনোলোজি এবং ফিচারের সমন্বয়ে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের ওয়াটার ফিল্টার পাওয়া যায়। তবে, টেকনোলোজির ভিত্তিতে বাংলাদেশে ওয়াটার ফিল্টারের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
১। রিভার্স ওসমোসিসঃ পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য এটি একটি বহুল ব্যবহৃত প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে পানি থেকে যে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, অতিক্ষুদ্র কণা ও অনু, বৃহত্তম কণা, অতিক্ষুদ্র অনুজীব যেমন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া পর্যন্ত পরিশুদ্ধ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি ধাপে পানিকে পরিশুদ্ধ করা হয়। এটিতে প্রথমেই থাকে বড় কণাগুলো ফাদে ফেলে পানি বিশুদ্ধ করার জন্য পলি-ফিল্টার তারপর ছোট কণাগুলো পরিষ্কার করার জন্য ক্ষুদ্র পলি ফিল্টার তারপর জৈব রাসায়নিক পরিস্কার করার জন্য একটি কার্বন ফিল্টার এরপর রয়েছে একটি পাতলা ফিল্ম ঝিল্লি যা দূর করতে পারে যে কোন জীবানু বা অনুজীব তারপর সর্বশেষ একটি অতি ক্ষুদ্র কার্বন ফিল্টার। বাংলাদেশে সাধারণত ওয়াসার পানি সর্বাত্মক ব্যবহার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রিভার্স ওসমোসিস টেকনোলোজির ওয়াটার ফিল্টার পানির স্বাদ ও গন্ধ উভয় সঠিক গুণমান বজায় রাখে, যা ছোট শিশু ও বয়স্ক লোকদের জন্য উপযুক্ত পানি সরবারহ করে। বাংলাদেশে রিভার্স ওসমোসিস টেকনোলোজির ওয়াটার ফিল্টার ৪,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, বক্সড শেপের রিভার্স ওসমোসিস ওয়াটার ফিল্টারের দাম ১৫,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে।
২। আল্ট্রাভাওলেটঃ এই পদ্ধতিতে পানি থেকে খুব সহজেই অনুজীবন ধ্বংস করা যায়। এর জন্য প্রথমে পানির মাইক্রোবায়োলজিকাল বৃদ্ধি হ্রাস করা হয় তারপর ২৫৪ ন্যানোমিটারের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সাথে ইউভি বিকিরণ অণুজীবের ডিএনএ ধ্বংস করে পানিতে থাকা সকল প্রাকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, শেত্তলা এবং ছত্রাককে মেরে ফেলে। বাংলাদেশে আল্ট্রাভাওলেট সিস্টেম যুক্ত ওয়াটার ফিল্টার ৪,৫০০ টাকা ১২,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।
৩। আল্ট্রাফিল্ট্রেশনঃ এই পদ্ধতিতে পানি পরিশুধনের জন্য ইউএফ ঝিল্লি ব্যবহার করা হয় যা সহনশীল ক্লোরিন এবং পানির পিএস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহয়তা করে। এই পদ্ধতিতে পানি থেকে রাসায়নিক পদার্থ পরিষ্কার করা হয়। বাংলাদেশে আল্ট্রাফিল্ট্রেশন সিস্টেম যুক্ত ওয়াটার ফিল্টারের দাম ৪,০০০ টাকা থেকে ৫,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, ইকো ফ্রেশ আল্ট্রাফিল্ট্রেশন সিস্টেমের ওয়াটার ফিল্টারের দাম ৯,০০০ টাকা থেকে শুরু।
৪। গ্র্যাভেটি বেসডঃ গ্র্যাভেটি বেসড পানি বিশুদ্ধকরণ সিস্টেম খুবই সহজ প্রক্রিয়া, যা বিদ্যুৎ ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। গ্র্যাভেটি বেজড ওয়াটার ফিল্টার মূলত সেডিমেন্টেশন, এবং মাইক্রোফিল্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, অন্যান্য অণুজীব ধ্বংস করে বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করে। এছাড়াও, পানির স্বাদ ও গন্ধকে প্রভাবিত করার মত রাসায়নিক পদার্থ সহজেই অপসারণ করতে পারে। বাংলাদেশে সাধারনত ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে গ্র্যাভেটি বেজড ওয়াটার ফিল্টার পাওয়া যায়। তবে, পানির গুণমান বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করা অপরিহার্য।
ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে কি কি যাচাই করতে হবে?
বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা শিল্পকারখানায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহের জন্য উপযুক্ত ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বাজারে সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে অসংখ্য ওয়াটার ফিল্টার রয়েছে। তাই দাম বিবেচনার পাশাপাশি উল্ল্যেখযোগ্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে, সে সম্পর্কে জেনে নেয়ঃ
পানির কোয়ালিটিঃ ওয়াটার ফিল্টার বিভিন্ন টেকনোলোজি যেমন রিভার্স অসমোসিস, অতিবেগুনী, আল্ট্রাফিলারেশন, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং গ্র্যাভেটি বেসড সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি, যা পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জীবাণু মুক্ত করে এবং পানির গুণমান বজায় রাখে। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে পানির টিডিএস লেভেল বিবেচনা করতে হবে। সাধারণত ৫০০ টিডিএস মাত্রার পানি বিশুদ্ধ এবং ১০০০ টিডিএস মাত্রার পানি দূষিত পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে নির্দিষ্ট এরিয়ার পানির কোয়ালিটি কেমন তা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
ফিল্টার ক্যাপাসিটিঃ বাসা, অফিস কিংবা শিল্প কারখানায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়াটার ফিল্টার। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে ব্যবহৃত স্থানে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার ক্যাপাসিটি সম্পন্ন ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করতে হবে।
পানির ফ্লো রেটঃ ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে পানির ফ্লো রেট বিবেচনা করতে হবে। ফিল্টারটি কত দ্রুত পানি বিশুদ্ধ করতে পারে, তা নির্ভর করে মূলত ওয়াটার ফিল্টারের ফ্লো রেট এর উপর। তাই, পানির চাহিদা অনুযায়ী ওয়াটার ফ্লো রেট যথাযথ রয়েছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
মাইক্রোন রেটিংঃ দূষিত পানিতে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষুদ্র জীবাণু থাকে, যা শিশু থেকে বয়স্ক প্রায় সকল বয়সের মানুষের স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে অবশ্যই ওয়াটার ফিল্টারের মাইক্রোন রেটিং যাচাই করতে হবে। কম মাইক্রোন রেটিং সম্পন্ন ওয়াটার ফিল্টার অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্রুত অপসারণ করতে পারে।
ফিল্টারের স্থায়িত্ব এবং প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাঃ ওয়াটার ফিল্টারের ভিতরের ফিল্টার কার্টিজের কার্যকারিতা, ব্যবহারের সময়কাল এবং সহজেই প্রতিস্থাপন করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। তাই ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী ফিল্টার কার্টিজ বিবেচনা করতে হবে, ফলে খরচ সাশ্রয় হবে।
ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবাঃ ওয়াটার ফিল্টার কেনার আগে অবশ্যই ওয়ারেন্টি বিবেচনা করতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টি যুক্ত ওয়াটার ফিল্টার ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এছাড়াও, ওয়াটার ফিল্টার কেনার পর কোনো প্রকার ত্রুটির জন্য বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
অন্যান্য ফিচারসঃ ডিজিটাল ডিসপ্লে, স্মার্ট ওয়াটার ট্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি ওয়াটার ফিল্টার সাশ্রয়ী দামে বাংলাদেশে সচারাচর পাওয়া যায়। তাই স্মার্ট ফিচারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ওয়াটার ফিল্টার বিবেচনা করা উচিত।
সার্টিফিকেশনঃ এনএসএফ ইন্টারন্যাশনাল বা ওয়াটার কোয়ালিটি অ্যাসোসিয়েশনের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেশন রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন মূলত ওয়াটার ফিল্টারটি পরীক্ষিত এবং দূষিত পদার্থ অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মক্ষমতা মান পূরণের সক্ষমতা রয়েছে তার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
ওয়াটার ফিল্টার রক্ষণাবেক্ষনের কিছু টিপস
১। ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিল্টার কার্টিজ পরিবর্তন করতে হবে, যার ফলে সবসময় সঠিক ফিল্ট্রেশন সিস্টেম বজায় থাকবে।
২। ওয়াটার ফিল্টারের ভেতরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ময়লা জমা হয় যা নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার করতে হবে।
৩। এছাড়াও, ওয়াটার ফিল্টারের বাইরের দিকে ধুলো, ময়লা যেন জমে না থাকে, সেজন্য নরম স্পঞ্জের কাপড়ে দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে ওয়াটার ফিল্টারের বাইরের দিক পরিষ্কার করতে হবে।
৪। প্রতিনিয়ত ব্যবহার করার পাশাপাশি ফিল্টারে কোনো ধরণের লিকেজ রয়েছে কিনা তা দেখতে হবে এবং প্রয়োজনে লিকেজ বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। অনেকদিন টানা ব্যবহারের ফলে ওয়াটার ফিল্টারের ভিতরে ময়লা, ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া জমে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ফিল্টারের স্টেজ গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর স্যানিটাইজ করা উত্তম।
৬। ওয়াটার ফিল্টারের সাথে পানি ধরে রাখার জন্য নির্দিষ্ট পাত্র থাকে, যাতে পানি ফিল্টার হওয়ার পর জমা হয়। পানি জমাকৃত পাত্রটি যাতে ভাইরাস ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ না হয়, তার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি ভালো ভাবে ঢেকে রাখতে হবে।
৭। ওয়াটার ফিল্টারের পানিতে দূষিত পদার্থ সঠিকভাবে অপসারণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য পানির টিডিএস মাত্রা যাচাই করতে হবে।
৮। ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহারে পানির প্রবাহ ঠিক ঠাক হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। যদি পানির প্রবাহ ধীর গতির হয় সেক্ষেত্রে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ফিল্টার কার্টিজ পরিবর্তন করতে হবে।
তাছাড়া, ব্র্যান্ড ও মডেল ভেদে ওয়াটার ফিল্টারের সাথে নিজস্ব প্রস্তুতকারকের ম্যানুয়াল মেইন্ট্যানেন্স গাইড সরবারহ করে। তাই ওয়াটার ফিল্টার রক্ষনাবেক্ষনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা সমূহ অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্র্যান্ডের সার্ভিস পয়েন্টে যোগাযোগ করতে হবে।
ওয়াটার ফিল্টার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রশ্নাবলী
এটি কি নোনতা জল ফিল্টার করতে পারে?
হ্যাঁ তবে এটি ফিল্টারটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। রিভার্স অসমোসিস (RO) লবণাক্ত জল বিশুদ্ধ করতে একটি জনপ্রিয় ফিল্টার।
এটি কি বিদ্যুত ছাড়াই চলতে পারে?
সব ধরনের ফিল্টারে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না যেমন সাধারণ পানির ফিল্টার। তবে RO ওয়াটার পিউরিফায়ারের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন এবং বিদ্যুত বন্ধ হয়ে গেলে ফিল্টারিং বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেশিরভাগ আরও সিস্টেমে পানি সংরক্ষণের জন্য একটি সংরক্ষিত ট্যাংক রয়েছে এবং ট্যাঙ্কটি খালি না হওয়া পর্যন্ত ট্যাঙ্কের চাপ ব্যবহার করে পানি সরবরাহ চালিয়ে যায়। এই কারণেই এই সংরক্ষিত ট্যাঙ্কটিকে কখনও কখনও প্রেসার ট্যাঙ্ক বলা হয়।
ফিল্টারের পরে পিএইচ কী হয়?
জলের স্ট্যান্ডার্ড পিএইচ ৬-৮ হয়। ফিল্টারের পরে, জলের পিএইচ ৬-৭ হয় যা খুব নিরাপদ। কিছু ফিল্টারেশন প্রযুক্তিতে আপনি অতিরিক্ত কারটিজ ব্যবহার করে পানিকে আরও ক্ষারযুক্ত করতে পারেন।
ফিল্টারের পরে টিডিএস কী হয়?
৫০০ মিলিগ্রাম / এল যে কোনও ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য একটি নিরাপদ টিডিএস। আপনাকে আপনার জলের টিডিএস এর মান টিডিএস মিটার দিয়ে নির্ণয় করতে হবে।
পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন কিনতে ন্যূনতম বাজেট কত হওয়া উচিত?
ন্যূনতম বাজেট হওয়া উচিত যা প্রায় ১০০% বিশুদ্ধ জল উত্পাদন করে কারণ মূল লক্ষ্য আমাদের সুস্থ থাকা। বাংলাদেশে ওয়াটার পিউরিফায়ার অপরিহার্য কারণ দেশটি গরম এবং আর্দ্র তাই আমাদের প্রচুর পানি পান করতে হয়।