bdstall.com

হিয়ারিং এইডস কীভাবে ব্যবহার করবেন

শ্রবণশক্তি হ্রাস একটি ব্যাপক সমস্যা, যা ছোট শিশু এবং বয়স্ক উভয়কেই বেশি প্রভাবিত করে। এই ধরণের সমস্যা স্বাভাবিক কাজকর্ম, যোগাযোগ সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। আর, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে হিয়ারিং এইড, যা আপনাকে ভালো শোনতে এবং চারপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নতুন হিয়ারিং এইড কিনতে বা আপগ্রেড করতে চান তাহলে আমাদের এই ব্লগ আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।

 

তাহলে চলুন হিয়ারিং এইড এর যাবতীয় বিষয় যেমন হিয়ারিং এইডস কি, কিভাবে হিয়ারিং এইডস কাজ করে, বাংলাদেশে কি কি ধরণের হিয়ারিং এইডস পাওয়া যায়। ধরণ অনুযায়ী হিয়ারিং এইডস এর ব্যবহার এবং সুবিধা ও অসুবিধা সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

 

হিয়ারিং এইড কি?

হিয়ারিং এইডস হচ্ছে ছোট ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, যা মাইক্রোফোনের সাহায্যে বাইরের শব্দ ক্যাপচার করে, প্রসারিত করে এবং স্পিকারের মাধ্যমে কানে পৌঁছে দেয়। এর ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্পষ্টভাবে শুনতে সহজ হয়। এছাড়া, হালকা থেকে গুরুতর শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। এই ধরণের কানের মেশিন সামগ্রিকভাবে শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি করে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে স্বাভাবিক জীবন প্রদান করে।
 

বাংলাদেশে সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে হিয়ারিং এইডস বেশ সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এটি স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে এবং উন্নত যোগাযোগ সুবিধা উপভোগ করতে সহায়তা করে।

 

হিয়ারিং এইড এর ধরণ

হিয়ারিং এইডস কেনার আগে তাদের ধরণ সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রবন সমস্যার উপর নির্ভর করে প্রতিটি হিয়ারিং এইডের নির্দিষ্ট শ্রবণ চাহিদা এবং ডিজাইন সরবারহ করে।

বিহাইন্ড দা ইয়ার বা বিটিই হিয়ারিং এইডস

নাম থেকেই মূলত বোঝা যাচ্ছে, বিটিই হিয়ারিং এইডস কানের পিছনে থাকে। এটি টিউব ডিভাইসটিকে একটি ইয়ারমোল্ডের সাথে সংযুক্ত করে যা কানের খালের ভিতরে ফিট থাকে। এই ধরণের হিয়ারিং এইডস শক্তিশালী এবং হালকা থেকে গুরুতর শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত। এটি বাইরে থেকে দেখা যায়, তবে চমৎকার শব্দ গুণমান এবং আরাম প্রদান করে। বাংলাদেশে কানের পিছনের বিটিই হিয়ারিং এর দাম ৬,৫০০ টাকা ৪৯৯,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

ইন-দ্য-ইয়ার বা আইটিই হিয়ারিং এইডস

আইটিই হিয়ারিং এইডস কানের ভিতরে আরামদায়ক ভাবে ফিট হয়ে থাকে। তবে, এই ধরণের কানের মেশিন বিটিই মডেলের হিয়ারিং এইডের তুলনায় কম দেখা যায়। বাংলাদেশে আইটিই হিয়ারিং এইডস ১২,০০০ টাকা থেকে ৫৫০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়, যা মিড রেঞ্জের বাজেটে কিনতে পারবেন। মাঝারি শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য আইটিই হিয়ারিং এইডস আদর্শ। ডিভাইসটি কানের সাথে যেন স্বাভাবিক ভাবে ফিট হয়, তার জন্য কাস্টমাইজড ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে, দীর্ঘস্থায়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য বেশ আরামদায়ক হয়ে থাকে।

ইন-দ্য-ক্যানাল আইটিসি এবং কমপ্লিটলি-ইন-দ্য-ক্যানাল সিআইসি হিয়ারিং এইডস

এই ধরণের হিয়ারিং এইডস ডিভাইস আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কানের ভিতরে ফিট হয়ে থাকে। আইটিসি এবং সিআইসি হিয়ারিং এইডগুলো আইটিই এবং বিটিই মডেলের তুলনায় ছোট এবং কম লক্ষণীয়, যা তাদের কাছে একটি জনপ্রিয় পছন্দ করে তোলে যারা আরও বিচক্ষণ বিকল্প পছন্দ করেন। এই ধরণের হিয়ারিং বাংলাদেশে ৩৪,০০০ টাকা থেকে ১,০৫০,০০০ টাকায় কিনতে পারবেন। যদিও এগুলো হালকা থেকে মাঝারি শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে এমন ব্যাক্তিদের জন্য সেরা, তবে গুরুতর শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে এমন ব্যাক্তি বা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামপ্লিফিকেশন প্রদান নাও করতে পারে।

রিসিভার-ইন-ক্যানাল বা আরআইসি হিয়ারিং এইডস

আরআইসি হিয়ারিং এইডগুলো বিটিই এবং আইটিই উভয় মডেলের হেয়ারিং এইড ডিজাইন একত্রিত করে তৈরি। এই ধরণের কানের মেশিনে শব্দ বৃদ্ধিকারী রিসিভারটি কানের খালে থাকে, যখন বাকি ডিভাইসটি কানের পিছনে থাকে। আরআইসি হিয়ারিং এইডগুলো আকারে ছোট এবং উচ্চ শব্দ মান প্রদান করায়, অনেকের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে আরআইসি হিয়ারিং এইড ২৪,০০০ টাকা থেকে ৯০,০০০ টাকার মধ্যে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

ধরণ অনুযায়ী হিয়ারিং এইড এর কাজ

প্রতিটি ধরণের হিয়ারিং এইডের নিজস্ব কাজ করার পদ্ধতি রয়েছে, যা এর ডিজাইন অনুসারে তৈরি করা হয়েছে-

  • বিটিই (কানের পিছনে)ঃ এই হিয়ারিং এইডগুলি গুরুতর শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত। এগুলি কানের পিছনে অবস্থিত মাইক্রোফোন এবং স্পিকার ব্যবহার করে শব্দকে প্রশস্ত করে। কিছু মডেল এমনকি ব্লুটুথ ক্ষমতা সহ আসে, যা স্মার্টফোনের সাথে মসৃণ সংযোগ সুবিধা প্রদান করে।
  • আইটিই (ইন-দ্য-ইয়ার)ঃ আইটিই হিয়ারিং এইডগুলো কানের ভেতরে আরামে ফিট করার জন্য তৈরি করা হয়। এগুলি হালকা থেকে মাঝারি শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আরও স্পষ্টভাবে শুনতে সাহায্য করে এবং বিটিই মডেলের তুলনায় কম লক্ষণীয়।
  • আইটিসি এবং সিআইসি (ইন-দ্য-ক্যানাল)ঃ হিয়ারিং এইডগুলো কানের খালের ভেতরে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ফিট হয়ে থাকে, যার ফলে এগুলো আরও কম দৃশ্যমান হয়। এগুলো হালকা শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য দুর্দান্ত এবং যারা বিচক্ষণ শ্রবণ সমাধান খুঁজছেন এমন যে কারও জন্য আদর্শ। ছোট আকারের হলেও এই ধরণের হেয়ারিং এইডগুলো গুণমান সম্পন্ন এবং চমৎকার শব্দ প্রদান করে।
  • আরআইসি (রিসিভার-ইন-ক্যানাল)ঃ আরআইসি (রিসিভার-ইন-ক্যানাল) হিয়ারিং এইডগুলো আইটিই (ইন-দ্য-ইয়ার) হিয়ারিং এইডগুলো আরামদায়ক এবং ছোট আকারকে বিটিই (বিহাইন্ড দ্য ইয়ার) মডেলের শক্তির সাথে মিলিয়ে তৈরি করা হয়। এই হিয়ারিং এইডগুলো কানের খালের ভিতরে থাকা রিসিভারটিতে উচ্চমানের শব্দ সরবরাহ করে, যা ব্যবহারকারীদের শ্রবণশক্তি হ্রাসের  সমাধান প্রদান করে। এই কারণে, আরআইসি হিয়ারিং এইডগুলো বিশেষভাবে সেইসব মানুষের জন্য উপযুক্ত, যাদের শ্রবণশক্তি অনেক কমে গেছে।

হিয়ারিং এইড ব্যবহারের নিয়মাবলী

আপনার হিয়ারিং এইডস যেন কার্যকরভাবে কাজ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী ভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য নিচের মৌলিক নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করবেন-

  • কানের মেশিনের ক্ষতি এড়াতে সর্বদা আপনার কানে হিয়ারিং এইড আলতো করে ঢোকাবেন এবং অপসারণ করবেন। যদি আপনি বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই সঠিক নির্দেশনার জন্য অডিওলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উত্তম।
  • কানের ময়লা জমা হওয়া রোধ করার জন্য প্রতিদিন আপনার হেয়ারিং এইড ডিভাইস পরিষ্কার করবেন। অডিওলজিস্ট যে নরম কাপড় সরবারহ করেন তা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন যাতে ডিভাইস ভালো থাকে। কারণ নিয়মিত পরিষ্কার আপনার হিয়ারিং এইডের স্থায়িত্ব বাড়াবে।
  • হিয়ারিং এইডের জন্য আর্দ্রতাই প্রধান হুমকি। বৃষ্টিতে বা ভারী শারীরিক পরিশ্রমের সময় এই ধরণের ডিভাইস ব্যবহার করবেন না। আর, যখন কানের মেশিন ব্যবহার করবেন না, তখন এগুলো শুষ্ক, নিরাপদ স্থানে রাখবেন।
  • হিয়ারিং এইড ব্যাটারি সাধারণত ঘন ঘন প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। তাই, সর্বদা হাতের কাছে অতিরিক্ত ব্যাটারি রাখবেন। এছাড়া, যদি আপনার ডিভাইসটি রিচার্জেবল হলে চার্জ করা হচ্ছে কিনা নিয়মিত তা খেয়াল রাখবেন। চার্জহীন ব্যাটারি আপনাকে স্পষ্টভাবে শুনতে বাধা দিতে পারে, যা হতাশাজনক এবং অসুবিধাজনক।
  • বছরে অন্তত একবার বা দুইবার আপনার হেয়ারিং এইডস অডিওলজিস্ট দিয়ে পরীক্ষা করা অপরিহার্য বিষয়। যার মাধ্যমে আপনি আপনার কানের মেশিনের কার্যকর ক্ষমতা জানতে পারবেন এবং আপনার শ্রবণশক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি সামঞ্জস্য করার প্রয়োজন হয় তাও করতে পারবেন।

হিয়ারিং এইডস ব্যবহারের সময় সতর্কতা

হিয়ারিং এইড ব্যবহারে আপনার শ্রবণ অভিজ্ঞতাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ-

  • হিয়ারিং এইডস কানের ভেতরে খুব বেশি ঠেলে দিলে অস্বস্তি বা ক্ষতি হতে পারে। সঠিক ব্যবহারের জন্য সর্বদা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী অনুসরণ করবেন।
  • যদি আপনি কোনও অস্বস্তি, জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে ডিভাইসটি কান থেকে বের করে নিবেন এবং পরামর্শের জন্য আপনার অডিওলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করবেন। যদি দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি ডিভাইসটি সামঞ্জস্য করে নিবেন।
  • এই ধরণের ডিভাইস শিশু এবং পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখবেন। অনেক সময় হিয়ারিং এইড শ্বাসরোধের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যখন ব্যবহার করবেন না তখন অবশ্যই নিরাপদ স্থানে রাখবেন।

 

হিয়ারিং এইডস সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১। হিয়ারিং এইডস কীভাবে কাজ করে?

হিয়ারিং এইডস বাইরে থেকে শব্দ ক্যাপচার করে, প্রশস্ত করে এবং স্পিকারের মাধ্যমে কানে পৌঁছে দেয়। এগুলি শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আরও স্পষ্টভাবে শুনতে সাহায্য করে।

২। হিয়ারিং এইডের ব্যাটারি কতক্ষণ স্থায়ী হয়?

ব্যাটারির স্থায়িত্ব মূলত টাইপ এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় তবে সাধারণত ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়। রিচার্জেবল হিয়ারিং এইডস সাধারণত বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।

৩। বৃষ্টিতে আমি কি হিয়ারিং এইডস পরতে পারবো?

বৃষ্টিতে হিয়ারিং এইডস না পরাই ভালো কারণ আর্দ্রতা ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি প্রবল বৃষ্টিতে আটকা পড়েন, তাহলে সুরক্ষার জন্য একটি জলরোধী কভার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৪। আমার হিয়ারিং এইড কতবার পরিষ্কার করা উচিত?

ময়লা জমা হওয়া রোধ করতে এবং সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন আপনার হিয়ারিং এইড পরিষ্কার করা অপরিহার্য। পরিষ্কার করার সময় নরম কাপড় এবং ব্রাশ ব্যবহার করবেন।

৫। বাংলাদেশে হিয়ারিং এইডের গড় দাম কত?

বাংলাদেশে হিয়ারিং এইডের গড় দাম প্রায় ৬,৫০০ থেকে ১,০৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা ব্র্যান্ড, মডেল, ডিজাইন এবং ফিচার অনুযায়ী পরিবর্তন হয়ে থাকে।

৬। বিডিস্টলে কোন কোন ব্র্যান্ডের হিয়ারিং এইডস পাওয়া যায়?

বিডিস্টলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হিয়ারিং এইড পাওয়া যায়, যেমন অটিকন, স্টারকি, ইউনিট্রন সিমেন্স, ওয়াইডেক্স, এন্ডএম, সিগনিয়া, রিসাউন্ড, ফোনক সহ অন্যান্য।

৭। হিয়ারিং এইড কেনার ক্ষেত্রে কি আমার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগবে?

হিয়ারিং এইড কেনার আগে ইএনটি স্পেশিয়ালাইজড ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সাধারণত হিয়ারিং এইড কেনার ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন লাগবে না, তবে অডিওলজিস্টের পরীক্ষা করানো জুরুরি।

৮। রিচার্জেবল এবং ব্যাটারিচালিত এইডের মধ্যে কোনটি কিনব?

রিচার্জেবল হিয়ারিং এইড ব্যবহার করা সহজ এবং পরিবেশবান্ধব, কিন্তু ব্যাটারিচালিত হিয়ারিং এইড সাধারণত সস্তা এবং সহজে পাওয়া যায়।

 

তাই, প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে হিয়ারিং এইড সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। তবে, উন্নত হিয়ারিং এইডস কেনার ক্ষেত্রে একজন প্রফেশনাল অডিওলজিস্টের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাহলে, কানের শোনার সঠিক লেভেল যাচাই করার পাশাপাশি সঠিক হিয়ারিং এইড কেনা সহজ হবে, যা সত্যিকার অর্থে আপনার জীবন বদলে দিবে।

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: August 02, 2025
Reviews (0) Write a Review