bdstall.com

আইপিএস কেনার টিপস

আইপিএস এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইন্ট্রিগেটেড পাওয়ার সাপ্লাই অথবা সমন্বিত বিদ্যুৎ সরবরাহক। এটি মূলত ব্যাটারি ও ইনভার্টারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ জমা করে এবং লোড শেডিং হলে  পুনঃরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বিশ্বে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানী ব্যবহার হয় বর্তমানে সেটার দাম অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশে পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলো থেকে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবারহ করতে পারছে না। বিদ্যুৎহীন সময়কে কাজে লাগানোর জন্য বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা কল-কারখানাতআইপিএসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বিডিস্টলে কমদামে আইপিএস পাওয়া যায়।

 

আইপিএসের ধরণঃ

আইপিএস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যার মধ্যে একটি ইলেক্ট্রিক আইপিএস এবং অন্যটি সোলার সিস্টেম আইপিএস।

 

১। ইলেক্ট্রিক আইপিএসঃ  ইলেক্ট্রিক আইপিএস হচ্ছে সরাসরি বিদ্যুৎ থেকে চার্জ গ্রহণ করে ব্যাটারিতে স্টোরেজ করে এবং পরবর্তিতে লোড শেডিং অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।

 

২। সোলার আইপিএসঃ  সোলার আইপিএস হচ্ছে সরাসরি সৌরবিদ্যুৎ থেকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ গ্রহণ করে ব্যাটারিতে জমা করে। সোলার আইপিএস প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে আমাদের দেশের বাজারে ইলেক্ট্রিক আইপিএসের চেয়ে সোলার আইপিএস তুলনামূলক দাম বেশি। সোলার আইপিএস মূলত বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

আইপিএস কেনার আগে কিছু টিপসঃ

আমাদের দেশে বিশেষ করে গরমকালে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর ফলে পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা যায় ফলে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে বিদ্যুৎ এর সাপ্লাই দিতে পারছে না। বিদ্যুৎ ঘাটতিকে সামাল দিতে দেশজুড়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর লোড শেডিং সৃষ্টি করে যার ফলে জন জীবনে অস্বস্তি দেখা যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকরা আইপিএস কিনে থাকেন। আইপিএস কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে সে সম্পর্কে  জেনে নেওয়া যাকঃ

 

ওয়াটঃ আইপিএসের কেনার আগে  ওয়াট সম্পর্কে জানাটা জরুরী, কারণ ওয়াট এর উপর ভিত্তি করে আইপিএস কর্ম ক্ষমতা নির্ভর করে। আইপিএস এর ক্ষমতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যাটারির উপরে। ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার যত বেশি হবে এর আইপিএস এর ক্ষমতা তত বেশি হবে।

 

ভোল্টেজঃ আইপিএস এর ভোল্টেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কারণ সকল ধরনের আইপিএস এর ভোল্টেজ ইনপুট ও আউটপুট ক্যাপাসিটি এক হয় না। আইপিএস এর স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজের মাত্রা ১০০ ভোল্ট থেকে ৩০০ ভোল্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাসার কিংবা অফিসের বিদ্যুতের ভোল্টেজ এর চেয়ে বেশি না হয়।

 

ব্যাটারিঃ আইপিএস এর মুল অংশই হচ্ছে ব্যাটারি। এটি ছাড়া আইপিএস অসম্ভব। ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর চাহিদার উপরে। প্রয়োজন যত বেশি হবে ব্যাটারির সংখ্যা তত বাড়াতে হবে।

 

চার্জ নিয়ন্ত্রণঃ ইনভার্টার আইপিএস এর চার্জ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ভিতরে থাকা রিলে এবং সিলিকন কন্ট্রোল্ড রেক্টিফায়ার রয়েছে। রিলের চেয়ে আধুনিক সিস্টেম হচ্ছে সিলিকন কন্ট্রোল্ড রেক্টিফায়ার।

 

আইপিএস ব্যবহারে সতর্কতাঃ

  • আইপিএস স্থাপন করার পূর্বে শুষ্ক ও কম চলাচলের জায়গা নির্বাচন করতে হবে। 
  • বাসা বাড়িতে, অফিসে কিংবা কারখানাতে আইপিএস সংযোগ দেওয়ার পূর্বে ভালো ইঞ্জিনিয়ার/ইলেকট্রেশিয়ান দ্বারা ওয়ারিং চেক করে নিতে হবে।
  • আইপিএস সংযোগ বাসাবাড়িতে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে তার ভোল্টেজ চেক করে নিতে হবে।  
  • ব্যাটারিতে এসিড পরিমানমত আছে কিনা তা চেক করতে প্রায় চেক দিতে হবে। 
  • ব্যাটারিতে এসিডের সাথে পানির পরিমান কমে গেলে পুণঃরায় পানি দিতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।
  • আইপিএস ইনভার্টার সাথে ব্যাটারির সংযোগ ঠিক আছে কিনা প্রায়ই চেক করে দেখতে হবে। 
  • ব্যাটারি ও আইপিএসের মধ্যে সংযোগ তারে কার্বন জমেছে কিনা দেখে পরিষ্কার রাখতে হবে। 
  • আইপিএসের লোড পাওয়ার বিবেচনায় নিয়ে ইলেক্ট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। 
  • প্রয়োজন ছাড়া লাইট, ফ্যান কিংবা অন্য কোনো ইলেক্ট্রিক পন্য অহেতুক চালিয়ে রাখা যাবে না। 
  • শিশুদেরকে আইপিএস স্থাপন করা জায়গায় যাতায়াত করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
  • আবহাওয়া খারাপ থাকলে বিশেষ করে ঝড় কিংবা বজ্রপাতের সময় আইপিএস বন্ধ রাখতে হবে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: March 18, 2023
Reviews (0) Write a Review