স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, অফিস এবং যে কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ফটোকপি মেশিন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট। খুব দ্রুত এবং অল্প সময়ে যে কোন দরকারি ফাইল বা ডকুমেন্টস কপি করে রাখার জন্য অথবা অনেক গুলো কপি বানানোর জন্য ফটোকপি মেশিনের কোন বিকল্প নেই। এজন্য ফটোকপি মেশিন কেনার আগে প্রয়োজন বুঝে এবং কাজের উপর ভিত্তি করে কোনটা কিনবেন তা নির্বাচন করা উচিত। তার সাথে বাজেটের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। ফটোকপি মেশিনের দাম সাধারনত নির্ভর করে মেশিনের কাজের ধরন এবং কনফিগারেশনের উপর। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ফটোকপি মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের বাজারে ডিজিটাল মিনি ফটোকপিয়ার মেশিনগুলো আকারে ছোট এবং বেশ সস্তা।
বাংলাদেশে কোন ফটোকপিয়ার ব্র্যান্ড সেরা?
সর্বাধিক জনপ্রিয় কপিয়ার ব্র্যান্ড হল তোশিবা। অন্যান্য ব্র্যান্ড বাজারে পাওয়া যায় যেমন ক্যানন, শার্প, কিওসেরা এবং রিকো।
কিনতে কত বাজেট লাগবে?
বাংলাদেশে ফটোকপি মেশিনের দাম ৪৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা এক দিকে কপি করতে পারে এবং ডুপ্লেক্স সাইড কপিয়ার ৫৯,৯০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এই মেশিনগুলি শুধুমাত্র কালো এবং সাদা কপি করতে পারে। রঙিন ফটোকপি মেশিনের দাম অটো ডুপ্লেক্সিং সহ ১২২,০০০ টাকা থেকে শুরু। এই সমস্ত মেশিনগুলি ইনটেক্ট এবং একেবারে নতুন। যাইহোক, দাম ব্র্যান্ড এবং স্পেসিফিকেশনের উপরও নির্ভর করে তাই সর্বনিম্ন দাম পেতে বিডি স্টল কপিয়ার বিভাগে দাম তুলনা করুন।
কালার নাকি সাদাকালো কপিয়ার?
কালার ফটোকপি মেশিন ভাল কারণ রঙিন ডকুমেন্ট কপি করতে পারে সাথে সাদাকালো। শিল্প এবং ব্যবসার জন্য কালার ফটোকপি মেশিন আদর্শ। তবে ছোট দোকান যেখানে বেশিরভাগ একরঙা কপি প্রয়োজন, সাদাকালো ফটোকপিয়ার উত্তম।
সিঙ্গেল ফটোকপিয়ার নাকি ডুপ্লেক্স ফটোকপিয়ার?
সিঙ্গেল ফটোকপিয়ারে একসাথে একপৃষ্ঠা কপি করা আর ডুপ্লেক্স ফটোকপিয়ারের সাহায্যে একসাথে উভয়পৃষ্ঠা কপি করা যায়। ফলে সময় বাঁচে এবং কপির ক্ষেত্রে কাগজের খরচ কমায়। মূলত ডুপ্লেক্স ফটোকপিয়ার নাকি সিঙ্গেল ফটোকপিয়ার এটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কাজের ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে। যদি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক পৃষ্ঠা কপি করতে লাগে তাহলে সিঙ্গেল কপিয়ার নির্বাচন করা ভালো করেন এটি দামে সাশ্রয় হবে। আবার যদি একসাথে যদি দুই পৃষ্ঠা ফটোকপি করতে হয় তাহলে ডুপ্লেক্স ফটোকপিয়ার নির্বাচন করতে হবে।
ফটোকপিয়ার মেশিন কি স্ক্যানিং এবং প্রিন্টিং করতে সক্ষম?
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক রকমের ফটোকপিয়ার দেখতে পাওয়া যায়। এই ফটোকপিয়ারগুলো যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন প্রযুক্তিদ্বারা আনছে অনেক রকমের বিশেষত্বের ছোঁয়া। আর এর প্রযুক্তির কল্যাণে ফটোকপিয়ার মেশিন দিয়ে উচ্চ রেজুলেশনে স্ক্যানিং এবং প্রিন্টিং করতে পারা যায়। কিছু ফটোকপিয়ার আইডি কার্ডের মতো দরকারি জিনিসকে সুক্ষ্ম ভাবে প্রিন্ট করতে পারে।
মোবাইল থেকে এটি কি কপি করতে পারে?
কিছু ফটোকপিয়ার ওয়াইফাই প্রযুক্তির সাহায্যে মোবাইল থেকে কপি বা প্রিন্ট করার সুবিধা প্রদান করে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্রান্ডের এপস ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট ফটোকপিয়ার কানেক্ট করা যায় ফলে মোবাইল থেকে প্রিন্ট বা কপি করা যায় সহজেই।
আর কি বিষয় জেনে নেয়া ভাল?
কপি স্পিডঃ সাধারণ কাজের জন্য যেকোন ধরনের স্পিড হলে চলবে তবে ব্যবসার জন্য বেশি স্পিড এর ফটোকপিয়ার ভাল কারন কম সময়ে অনেক কপি করা যাবে। সাথে ফার্স্ট কপি টাইম আউট জানে নেয়া উচিত এবং এটি যত কম হবে তত বেশি ভাল। এতে বিদ্যুৎ যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি সময় কম লাগবে।
পেপার সাইজঃ সব ফটোকপিয়ার এ৪ কাগজ সমর্থন করে। তবে এ৩ পেপারের সমর্থনযুক্ত ফটোকপি মেশিন হলে ভাল কারন সবধরনের কাগজ ব্যবহার করা যাবে।
জুম ক্যপাবিলিটিঃ ফটোকপিয়ার মেশিনে জুম সুবিধা থাকলে ভাল কারন এতে অনেক বড় সাইজের ডকুমেন্ট ছোট করে কপি করা যায়।
কালির খরচঃ ফটোকপিয়ারের সাথে একটি বেসিক টোনার দেয়া থাকে। পরবর্তীতে অরিজিনাল কালির দাম কত হবে জেনে নিন এবং প্রতি কপিতে কত খরচ পড়বে হিসাব করে নিন। ব্যবসার জন্য কপিয়ার কিনলে এটি খুব জরুরি বিষয়। আর অন্য কোম্পানির কমপ্যাটিবল কালি সাপোর্ট করে কিনা জানেন নিন।
পেপার ট্রেঃ সাধারণত ২০০ শিটের পেপার ট্রে থাকে তাই জেনে নেয়া ভাল এটি কত সাপোর্ট করে। সাথে বাইপাস ট্রে কত পেপার সাপোর্ট করে এটিও জানা থাকা দরকার এবং অতিরিক্ত আরও কত ট্রে সংযুক্ত করা যায় জেনে নিন।
ডিউটি সাইকেলঃ প্রতিটি ফটোকপিয়ারের একটি নিদৃস্ট সময় এর পর রক্ষনাবেক্ষন করতে হয় তাই জেনে নেয়া দরকার এর ডিউটি সাইকেল।