কম্পিউটারের, মোবাইল বা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটিং ডিভাইসে একাকি শুনার জন্য হেডফোন খুব প্রয়োজনীয়। তাছাড়া অনলাইন ক্লাস, মিটিং, লাইভ কনফারেন্স, জুম মিটিং, গুগল মিটিং, এবং রিলাক্স করে কিছু শুনার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেডফোন পাওয়া যায়। তবে প্রথমে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে হেডফোন আপনি কোন ধরনের ডিভাইসে ব্যবহার করবেন। যদি পিসির জন্য হেডফোন কিনেন তাহলে এগুলো সাধারণত ওভারএয়ার হয়ে থাকে। মোবাইলের জন্য হেডফোনগুলো এয়ারবাড হয়ে থাকে এবং সাথে মাইক্রোফোন থাকে। পিসিতে কমিউনিকেশন করতে গেলে হেডফোনের সাথে মাইক্রোফোন আছে এমন কিনবেন। বাংলাদেশে হেডফোন কিনার কিছু টিপস জেনে রাখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে কি স্টাইলের হেডফোন পাওয়া যায়?
এয়ারবাডঃ এয়ারবাড ধরনের হেডফোনগুলো সাধারণত মোবাইলে বা ছোট ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কারণ এগুলো সাইজে খুব ছোট হয়ে থাকে এবং যে কোন স্থানে সহজেই বহন করা যায়।
ওভার-এয়ারঃ আর ওভার-এয়ার ধরনের হেডফোনগুলো মূলত ইনডোরের জন্য উপযুক্ত কারণ এগুলোর সাইজ তুলনামূলক অনেক বড় হয়ে থাকে তবে এটার সাউন্ড কোয়ালিটি এবং বেজ এয়ারবাড থেকে উন্নত হয়ে থাকে। সাধারণত পিসিতে এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে কত ধরণের হেডফোন পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে ২ রকমের হেডফোন পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
- তারযুক্ত হেডফোন
- তারবিহীন হেডফোন
হেডফোনের কি থাকলে ভালো হয়?
কানেক্টিভিটিঃ হেডফোনের সাথে ডিভাইসের সংযোগের জন্য বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে তারমধ্যে হচ্ছে ৩.৫ মিলিমিটার, ইউএসবি, এবং ওয়ারলেস। কেনার আগে জেনে নিন কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য। তা না হলে কনভারটের ব্যবহার করতে হবে। তবে ব্লুটুথ হেডফোন আরামে ব্যবহার করা যায় এবং তারের ঝামেলা দূর করে।
ইম্পিড্যান্সঃ প্রথমেই দেখতে হবে হেডফোনের ইম্পিড্যান্স। এটি সাধারণত ৩৫ ওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইম্পিড্যান্স সর্বনিম্ন ১২ ওহম হওয়া উচিত।
সেন্সিটিভিটিঃ হেডফোন কতটুকু জোরালো সাউন্ড তৈরি করতে পারবে সেন্সিটিভিটি তা নির্ধারণ করে থাকে। ১০০ ডিবি / এমডাব্লু এর হেডফোনগুলোই আদর্শ।
ফ্রিকোয়েন্সিঃ ২০ থেকে ২০০০০ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সি সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড বলে ধরা হয়। তবে ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হলেই ভাল হবে এমন নয়।
বেজঃ এটি সাধারণত বিট তৈরি করে থাকে এবং ভারি সাউন্ড প্রদান করে।
নয়েজ ক্যান্সেলিংঃ হেডফোনের নয়েজ ক্যান্সেলিং বিশেষত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যা বাইরের আওয়াজকে কমিয়ে দেয় ফলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড থাকে না যেকোনো অডিও শোনা যায় স্পষ্ট ভাবে।
গেমিং হেডফোনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?
- গেমিং হেডফোনের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- গেমিং হেডফোন গুলো অন্যান্য হেডফোনের তুলনায় একটু বেশি শক্তিশালী হয়
- অডিও কোয়ালিটি ভালো মানের থাকে গেমিং হেডফোন গুলোতে
- অ্যাকশন সাউন্ড গুলোর জন্য বেস ভালো মানের পাওয়া যায়
- লাইভ স্ট্রীম করার জন্যও গেমিং হেডফোন গুলো সেরা
- অনেক গেমিং হেডফোনগুলোতে লাইটিং সুবিধাও থাকে ফলে এই হেডফোন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে
- ভাল মানের গেমিং হেডফোনে সারাউন্ড সাউন্ড পাওয়া যায়
তারযুক্ত হেডফোন নাকি তারবিহীন হেডফোন ভালো?
তারযুক্ত হেডফোন এবং তারবিহীন হেডফোন নিজ নিজ বৈশিষ্টের দিক থেকেই ভালো। তবে এর সঠিক গুণাগুণ পেতে হলে অবশ্যই ব্যবহারের ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে। অ্যাকশন সাউন্ড বা কলিং এর সময়ে স্পষ্ট অডিও শুনতে চাইলে তারযুক্ত হেডফন গুলোই সেরা। কিন্তু সাধারণ ব্যবহার বা ট্রাভেলিং এর দিক থেকে তারবিহীন হেডফোন সর্বসেরা। তাই ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে তারযুক্ত হেডফোন কেনা ভাল নাকি তারবিহীন হেডফোন কেনা ভাল।
বিডিতে হেডফোনের দাম কত?
বিডিতে হেডফোনের দাম সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪,৫০০ টাকার মধ্যে বা তার বেশিও পাওয়া যায়। সর্বনিম্ন দামের হেডফোনটি দিয়ে ভাল মানের কথা শোনা যাবে যেটি অনলাইন ক্লাস, খবর শোনার জন্য খুব ভাল। সর্বোচ্চ দামের হেডফোনে অনেক রকমের সুবিধা রয়েছে যেমন গেমিং ফিচার, উন্নত মানের ফ্রিকোয়েন্সি, ক্লিয়ার অডিও এবং সর্বেশষ প্রযুক্তির উন্নত মানের মাইক্রফোন যার সাহায্যে ভয়েস রেকর্ডিং সহ কলিং এর মাধ্যমে কথা বলা যাবে। তাই বাজেট অনুযায়ী এবং কাজের ধরন অনুযায়ী হেডফোন ক্রয় করা উচিত।
একটি হেডফোনের অডিও কোয়ালিটি কেমন সেটি কীভাবে যাচাই করতে হয়?
একটি হেডফোনের অডিও কোয়ালিটি কেমন সেটি যাচাই করতে হলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হয়। এগুলো হলোঃ
- হেডফোনটি নয়েজ ক্যান্সেলিং কি না সেটি দেখে নিন
- হেডফোনের অডিও ফ্রিকোয়েন্সি দেখে নিতে হবে
- হেডফোনের মধ্যে থাকা ছোট স্পীকারের ডিবি কত সেটি জেনে নিন
- পছন্দের হেডফোনের পাশাপাশি অন্যান্য হেডফোন ব্যবহার করেও দেখে নিতে পারেন কোনটির কর্মদক্ষতা বেশি
- আর সর্বশেষ নিজেই এটি চালিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন