bdstall.com

টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ির দাম

আইটেম ১-১১ এর ১১

গাড়ি কেনাকাটা

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গাড়ী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা পরিবেশ বান্ধব ও নির্ভরযোগ্য গাড়ী হিসেবে ২০১১ সালে অ্যাকোয়া সিরিজের গাড়ী বাজারজাত শুরু করে। টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীটি মূলত দক্ষ হাইব্রিড টেকনোলোজি এবং কমপ্যাক্ট ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে যা গাড়ী ব্যবহারকারী ও পরিবেশ সচেতন ব্যাক্তিদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশে টয়োটা অ্যাকোয়া সাধারণত টয়োটা প্রায়াস সি নামে পরিচিত। এছাড়াও কম কার্বন নিঃসরণ, রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম, বৈদ্যুতিক মোটরের সাথে পেট্রোল ইঞ্জিন থাকায় যানজটপূর্ণ রাস্তায় চমৎকার জ্বালানী দক্ষতা প্রদান করে। বর্তমানে টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী পরিবেশ বান্ধব, জ্বালানি দক্ষ এবং সাশ্রয়ী দামের হওয়ায় বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীর দাম কত?

বাংলাদেশে ব্যবহৃত এবং রিকন্ডিশন উভয় ধরনের টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ি পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে টয়োটা অ্যাকোয়াগাড়ির দাম ১২,০০,০০০ টাকা থেকে শুরু যার ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১৫০০ সিসি হয় এবং ব্যবহৃত কন্ডিশনে হয়ে থাকে। এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তি যেমন- টিভি ন্যাভিগেশন সিস্টেম, ডিজিটাল মাইলেজ, এবিএস, এয়ারব্যাগ সহ উন্নত ডিজাইন, মডেল, হাইব্রিড ইঞ্জিন এবং অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেম ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিডিতে টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ির দামের পার্থক্য হয়ে থাকে।

টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীর বিশেষত্ব কি?

টয়োটা অ্যাকোয়াগাড়ীর উন্নত প্রযুক্তির পাশাপাশি বিশেষ কিছু ফিচার রয়েছে, যা উন্নত ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। অ্যাকোয়া গাড়ীর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ

১। অ্যাকোয়া গাড়ী উন্নত প্রযুক্তির হাইব্রিড সিনার্জি ড্রাইভ সিস্টেম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। যা সাধারণত বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের সমন্বয়ে তৈরি। এই ধরণের হাইব্রিড প্রযুক্তির অ্যাকোয়া গাড়ী উন্নত জ্বালানী দক্ষতা, কম কার্বন নিঃসরণ করে। পাশাপাশি দুটি ইঞ্জিনের মধ্যে সহজেই পরিবর্তন করে বিরামহীন ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

২।  টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী কমপ্যাক্ট ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে আঁটসাঁট জায়গায় পার্কিং করা এবং যানজটপূর্ণ রাস্তায় সহজে ড্রাইভ করার সুবিধা পাওয়া যায়।

৩। অ্যাকোয়া গাড়ীতে ৫ আসন বিশিষ্ট আরামদায়ক সিটের ব্যবস্থা রয়েছে, পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্টোরেজ কম্পার্টমেন্ট, কাপ হোল্ডার, পাওয়ার উইন্ডো এবং পাওয়ার-অ্যাডজাস্টেবল সাইড মিররের মতো উন্নত ব্যবস্থা যুক্ত রয়েছে।

৪। বৈদ্যুতিক মোটর কিংবা ফুয়েল ব্যবহারে কি পরিমান জ্বালানী অথবা শক্তি খরচ হচ্ছে তা মনিটরিং করার সুব্যবস্থা রয়েছে টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীতে।  এছাড়াও দৈনিক ড্রাইভিংয়ে কি পরিমান এনার্জি খরচ হচ্ছে তার বিস্তর তথ্য পাওয়া যায়।

৫। রিজেনারেটিভ ব্রেকিং টেকনোলজি ব্যবহার করে টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী, যা ব্রেকিংয়ের সময় উৎপন্ন শক্তি ক্যাপচার করে এবং সঞ্চয় করে। যা হাইব্রিড ব্যাটারি রিচার্জ করে জ্বালানি দক্ষতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

৬। ড্রাইভিংয়ে দুটি মোড যেমন ইকো মোড এবং পাওয়ার মোডে চালানো যায় টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী। যার মধ্যে ইকো মোড ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে জ্বালানী অপ্টিমাইজ করে এবং পাওয়ার মোড সাধারণত স্পিরিট ড্রাইভিংয়ে উন্নত কর্ম ক্ষমতা প্রদান করে থাকে।

৭। অ্যাকোয়া গাড়ীতে হেডলাইট এবং টেললাইটে সাধারণত এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। যা হ্যালোজেন লাইটের তুলনায় উন্নত আলো প্রদান করে। তাছাড়া, এলইডি লাইট ব্যবহারের ফলে ঘন ঘন বাল্ব প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় না।

এছাড়াও টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীতে অডিও কন্ট্রোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, নেভিগেশন এবং স্মার্টফোন ইন্টিগ্রেশনের মতো বিভিন্ন ফাংশনে যুক্ত রয়েছে। যা টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী ড্রাইভিংয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

চাবি ছাড়া কি টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী ব্যবহার করা যায়?

প্রায়ই ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে ভুল বশত চাবি নিয়ে বিড়োম্বনায় পড়তে হয়। আর এই সমস্যা সমাধানে টয়োটা অ্যাকোয়া অনেক গাড়ীতে স্মার্ট কী সিস্টেমযুক্ত রয়েছে, যার ফলে চাবি ছাড়াই গাড়ীতে প্রবেশ এবং স্টার্ট করা যাবে।

অ্যাকোয়া গাড়ী ব্যবহারে কেমন মাইলেজ পাওয়া যাবে?

টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী মূলত হাইব্রিড ইঞ্জিনে তৈরি, যা দক্ষ জ্বালানী শক্তি প্রদান করে। অ্যাকোয়া গাড়ী বাংলাদেশে যানজটযুক্ত রাস্তায় ব্যবহারে প্রতি লিটারে প্রায় ২২-২৪ কি.মি.মাইলেজ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও হাইওয়ে প্রায় প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ৩৪ কি.মি. পার লিটার মাইলেজ প্রদান করে থাকে।

টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীতে কি ধরনের নিরপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে?

বর্তমানে টয়োটা কোম্পানি অ্যাকোয়া সিরিজের গাড়ী তৈরিতে ব্যবহারকারীকে যথেষ্ট নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত করেছে। যেমন - অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ব্রেক-ফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন, ভেহিকল স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, একাধিক এয়ারব্যাগ এবং রিয়ারভিউ ক্যামেরা যুক্ত রয়েছে টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ীতে, যা ব্যবহারকারী সর্তক ও নিরাপদ থাকতে যথেষ্ট কার্যকর।

বাংলাদেশে কি কি কালারের টয়োটা অ্যাকোয়া গাড়ী পাওয়া যায়? 

বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে টয়োটা অ্যাকোয়া সাধারণত কালো, লাল, সিলভার, পপ অরেঞ্জ ক্রিস্টাল শাইন সহ অন্যান্য জনপ্রিয় কালারে পাওয়া যায়। তবে কেউ যদি নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী রঙ পরিবর্তন করতে চান, সেক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে গাড়ীর রঙ পরিবর্তন করতে হবে।

বাংলাদেশের সেরা অ্যাকোয়া গাড়ি এর মূল্য তালিকা September, 2024

September, 2024-এর বাংলাদেশের সেরা অ্যাকোয়া গাড়ি এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের অ্যাকোয়া গাড়ি ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা অ্যাকোয়া গাড়ি এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

অ্যাকোয়া গাড়ি মডেল বাংলাদেশে দাম
Toyota Aqua G 2013 ৳ ১,৩২৫,০০০
Toyota Aqua 2012 ৳ ১,৩০০,০০০
Toyota Aqua 2013 ৳ ১,২৫০,০০০
Toyota Aqua 2013 ৳ ১,৩৯০,০০০
Toyota Aqua 2013 Bright Grey ৳ ১,৩০০,০০০
Toyota Aqua 2013 Black ৳ ১,৩২৫,০০০
Toyota Aqua 2014 Hybrid Car ৳ ১,৩৫০,০০০
Toyota Aqua S-Style Black Mica Blue 2019 ৳ ১,৮৮০,০০০
Toyota Aqua 2013 ৳ ১,৩৫০,০০০
Toyota Aqua S Style Black 2019 ৳ ১,৭১০,০০০