bdstall.com

গাড়ি দাম ২০২৩ - নতুন, পুরাতন, রিকন্ডিশন কার

আইটেম ১-২০ এর ৪২৫
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এর দাম

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যাতায়তের জন্য গাড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিলাসবহুল পরিবহন নিশ্চিত করতে এবং অনেক সময় বাঁচাতে বাংলাদেশে বিশেষ করে গাড়ি খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশে স্বল্প থেকে উচ্চ বাজেটের গাড়ি পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে বেশি চাহিদার গাড়ি হল ব্যবহৃত গাড়ি যাকে সেকেন্ড হ্যান্ড কারও বলা হয়। তবে বিশেষভাবে ব্যবহৃত গাড়ি কেনার আগে গাড়ি কেনার টিপস জেনে নেওয়া উচিত। কিন্তু আপনি যদি একেবারে নতুন গাড়ি কেনেন যার মানে ০ মাইলেজ, তাহলে শুধু আপনার পছন্দের ডিজাইনটি বেছে নিন। আর ব্যবহৃত গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে শুধু নিশ্চিত করুন নিম্নলিখিত অংশগুলি পরীক্ষা করেছেন।

১। ইঞ্জিন এবং গিয়ার বক্স

২। গাড়ির এসি

৩। টায়ারের অবস্থা

৪। ব্লু বই

৫। গাড়ী কাগজ আপডেট তারিখ

৬। কার বডি

৭। গাড়ির মাইলেজ

১০ লক্ষে টাকার মধ্যে কোন গাড়ি সবচেয়ে ভাল?

আপনি ১০ লক্ষে কিছু ভাল মডেল পাবেন কারন বিভিন্ন ব্রান্ড স্বল্প মূল্যের কিছু গাড়ি বাজারে ছাড়ে আর বাংলাদেশে এগুলো রিকন্ডিশন আকারে পাওয়া যায়। আর তাছাড়া ব্যবহৃত বা পুরাতন গাড়ী পেতে পারেন যার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় মডেল হল টয়োটা একোয়া, এক্স করোল্লা, প্রোবক্স, টি ক্যারিনা, করোনার প্রিমিও।

ম্যানুয়াল বা স্বয়ংক্রিয়- আপনার জন্য কোনটি ভাল?

ম্যানুয়াল এবং স্বয়ংক্রিয় উভয় সিস্টেম জনপ্রিয়। যদি আপনি খেলা এবং রেসিংয়ের জন্য গাড়ি ক্রয় করে থাকেন তবে আপনার ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের জন্য যাওয়া উচিত। এছাড়াও পার্বত্য রাস্তা এবং অফ-রোডিংয়ের জন্য ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন প্রয়োজন। আর সাধারণ ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনে যেতে পারেন। স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনে শিখতে এবং চালানো সহজ বিধায় সবার মধ্যে জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গাড়ির রঙ কী?

বাংলাদেশে গাড়ির জনপ্রিয় রঙ হল সিলভার, হোয়াইট এবং পার্ল। শুকনো এবং শীত মৌসুমের সময় গাড়ীর বডিতে প্রচুর ধূলিকণা পড়ে এবং এই রঙগুলি ধূলিকণার দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং সমস্ত পরিবেশে মার্জিত দেখায়।

কোন ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের সেরা?

টয়োটা এমন একটি ব্র্যান্ড গাড়ি যা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রাস্তায় দেখা যায়। এটি জাপানের একটি গাড়ি প্রস্তুতকারকের সদর দফতর। এটি একটি জাপানি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান যার সদর দপ্তর জাপানেই অবস্থিত। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি একমাত্র টয়োটাই প্রদান করতে পারে তাই নিসন্দেহে এটিই বাংলাদেশের সেরা কার ব্রান্ড।

বাংলাদেশে সাধারণত কোন দেশের গাড়ি পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে জাপানিজ রিকন্ডিশন বা ব্যবহৃত গাড়ি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কারন এগুলো খুব টেকসই হয় এবং বহুদিন ব্যবহার করা যায়। তবে ভারত থেকে কিছু ব্রান্ড নিউ গাড়ি আমদানি হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তৈরি হচ্ছে "বাংলা কার" নামের একটি গাড়ি এবং ১৫০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৮ কালারে পাওয়া যায়।

গাড়ি কেনার জন্য আমার বাজেট কি হওয়া উচিত?

যদি  নতুন গাড়ি কেনেন তবে বাজেট অনেক বেশি লাগবে কারণ এটি দীর্ঘ সময় কোনও ত্রুটি ছাড়াই ভাল সেবা দিবে ফলে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি একটি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনেন তাহলে বাংলাদেশে গাড়ির দাম হবে কমপক্ষে ১,০০০,০০০ টাকা এবং আপনি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং মডেলের একটি মিড-রেঞ্জ মানের গাড়ি কিনতে পারবেন। আরও কম দামের গাড়ি বাংলাদেশে পাওয়া যায় এবং কখনও কখনও এই গাড়িগুলো বাজেট ক্রেতাদের জন্য বেশ ভাল এবং দেশে ৫০০,০০০ টাকারও কম দামে গাড়ি কিনতে পারবেন। মনে রাখবেন গাড়ির দাম রঙ, অবস্থা, ব্র্যান্ড, মডেল এবং তৈরির বছরের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও দেশে যে গাড়িটি কিনতে যাচ্ছেন তার রিসেল ভ্যালু বিবেচনা করুন। যদি একজন গাড়ি ফ্যাশিন প্রেমী হন তবে সাম্প্রতিকতম মডেলগুলি নির্বাচন করুন এবং দাম ২,৫০০,০০০ টাকা থেকে শুরু হবে এবং এই গাড়িগুলি মানের দিক থেকে অসম্ভব ভাল আর এগুলো সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত যা বাংলাদেশে বেশি প্রয়োজন।

হাইব্রিড গাড়ির সুবিধা কি?

হাইব্রিড গাড়ি ১ লিটার তেল দিয়ে ২৫-৩০ কিলোমিটার যেতে পারে। হাইব্রিড গাড়িতে ২টি ইঞ্জিন রয়েছে। একটি বৈদ্যুতিক এবং ১টি তেল ইঞ্জিন। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয় এবং এই ব্যাটারি তেল ইঞ্জিনে চলার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়।

বাংলাদেশে কি 4WD গাড়ি পাওয়া যায়?

4WD গাড়ি ৪-হুইল ড্রাইভ গাড়ি নামেও পরিচিত, মূলত বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় বেশি দেখা যায়। নামটি বোঝায় যে সমস্ত ৪টি চাকারই ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই, এই ধরনের গাড়ি কর্দমাক্ত রাস্তায়ও খুব উপযোগী এবং বাংলাদেশী রাস্তার জন্য বিশেষভাবে সুবিধা প্রদান করে। তবে কিছু শৌখিন গাড়ি এবং স্পোর্টস গাড়িতেও 4WD সুবিধা রয়েছে। এই গাড়িগুলি ব্যবহৃত অবস্থায় ১৫ লক্ষ টাকার কমেও কেনা যাবে এবং নতুন কন্ডিশন ২৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কেনা যাবে৷

ব্যবহৃত প্রাইভেট কার কি প্রথমবার ক্রেতাদের জন্য ভালো?

এটি যদি প্রথম গাড়ি কেনা হয় তবে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি সবচেয়ে স্মার্ট পছন্দ নাও হতে পারে কারণ আপনাকে অনেক রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় যেতে হতে পারে। যাইহোক, যদি আপনার বাজেট কম থাকে কিন্তু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের গাড়ি পেতে আগ্রহী হন তাহলে এটাই একমাত্র বিকল্প। মনে রাখবেন, আপনি যদি এটি সরাসরি গাড়ির মালিকের কাছ থেকে কিনতে পারেন তবে এটি অনেক সাশ্রয় করবে। এই গাড়িগুলোকে বাংলাদেশে প্রায়ই প্রাইভেট কার বলা হয়। কিন্তু আপনি যদি শোরুম থেকে এটি কিনতে পারেন তবে এটি আপনাকে অনেক মেরামত ঝামেলা থেকেও রক্ষা করবে কারণ তারা সাধারণত এই পুরানো প্রাইভেট কার বিক্রি করার আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত মেরামত করে।

বাংলাদেশের সেরা গাড়ি এর মূল্য তালিকা December, 2023

গাড়ি মডেল বাংলাদেশে দাম
Toyota Premio 2019 ৳ ৩,৫০০,০০০
Nissan X-trail Hybrid Mode Premier 2015 ৳ ২,৫০০,০০০
Toyota Premio F 2020 ৳ ২,৬৫০,০০০
Toyota Aqua 2013 ৳ ১,৪০০,০০০
Toyota Premio F 2002 ৳ ১,২০০,০০০
Toyota Allion 2007 ৳ ১,৬২০,০০০
Toyota Probox 2003 ৳ ৬৮০,০০০
Toyota Axio 2010 Private Car ৳ ১,৪১০,০০০
Toyota Axio 2013 Silver ৳ ১,৮৯৫,০০০
Toyota Axio X HID LTD 2010 ৳ ১,৫৫০,০০০