bdstall.com

আইফোন এর দাম ২০২৩

পৃথিবীর সব দেশেই আইফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অনেক সাথে বাংলাদেশেও আইফোনের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। আর আইফোনের কিছু বিশেষত্বের কারণে আইফোন সবার মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। নতুন মডেলের আইফোন সবার জন্য কেনা সহজ না তবে বাংলাদেশে এখন ব্যবহৃত কিছু মডেলের আইফোন পাওয়া যাচ্ছে। যারা আইফোন প্রেমী কিন্তু কম বাজেট তারা আইফোনের একটি স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন।   

বাংলাদেশে আইফোনের দাম কতো?

বাংলাদেশে আইফোনের দাম শুরু ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং এগুলো নতুন মডেলের আইফোন সাথে উন্নত সব প্রযুক্তি রয়েছে। তবে যাদের বাজেট কম তারা একটু কম দামের আইফোন দেখতে পারেন। বাংলাদেশে ব্যবহৃত আইফোনের দাম ৫,৮০০ টাকা থেকে শুরু হয় যেগুলো পরিষ্কার কল করা, ইন্টারনেট ব্রাওজিং, চ্যাটিং, ভিডিও কল, এবং ছবি তুলার জন্য বেশ ভাল। বাংলাদেশে এখন আইফোন-১ থেকে শুরু করে নুতন মডেলও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সকল আইফোনের দাম তুলনা করে আপনার বাজেটের সাথে মিলিয়ে সেরাটি বেছে নিন।      

কেন আইফোন কিনবেন?
 
আইফোনের কিছু বৈশিষ্ট্যগুলো যা অন্য মোবাইল থেকে কিছুটা আলাদা এখানে তুলে ধরা হল:

১। প্রতিটি আইফোনই ক্যামেরার জন্য সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। আইফোনের ক্যামেরাগুলো অধিক পরিষ্কার, ভাইব্রেন্ট, প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল ছবি প্রদান করে। বাংলদেশেও আইফোন ব্যবহারকারীরা যেকোন মডেলের আইফোন থেকে সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন তাই এক্সট্রা কোন ক্যামেরা কেনার প্রয়োজন নেই।

২। আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস খুব শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম হওয়ার কারণে আইফোন হ্যাঙ করে না বরং খুব দ্রুত গতীতে চলে। আর  আইফোনের আরেকটি উল্লেখ্যোগ্য বৈশিষ্ট হল এর নতুন আপডেট সব মডেলের জন্য রিলিজ করা হয় যা অন্য কোন ব্রান্ডের মোবাইলে পাওয়া যায় না। ফলে পুরাতন আইফোন কিনেও নতুন সব বৈশিষ্ট পাওয়া যায়।
 
৩। আইফোনে রয়েছে উচ্চ মানের স্পীকার যা সুন্দর ও পরিষ্কার সাউন্ড প্রদান করে। আইফোনে সাধারণত একাধিক স্পিকার থাকে তাই এটি লাউড স্পিকার হিসাবেও বেশ ভাল। আর আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে ওয়াইডার সাউন্ড প্রযুক্তি আছে বিধায় ডুয়াল স্পিকার সম্পূর্ণ স্টেরিও সাউন্ড প্রদান করে।  
 
৪। আইফোনের বেশিরভাগ মডেল মেটাল বডি দিয়ে নির্মিত এবং বেশ স্টাইলিশ। আইফোনের লক বাটন, ভলিউম বাটন গুলোও মেটালের হয়ে থাকে। কিন্তু মেটাল হওয়ার পরেও এতে কোনো প্রকার মরিচা ধরে না কারণ এতে ব্যবহার করা হয় খুব উচ্চ মানের মেটাল।
 
৫। আইফোনের ডিজাইন ও অ্যাপল লোগো মূলত আইফোনের সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করে। একমাত্র এই লোগোই আইফোনকে আরও জনপ্রীয় করে তুলেছে। এর ইউনিক লোগোটি সর্বকালের সেরা লোগো ব্যবহারকারীদের মাঝে।
 
৬। উন্নতমানের ফিঙ্গার সেন্সর ব্যবহার করা হয়ে থাকে আইফোনের সকল মোবাইলে যা অধিক কার্যকরি। এটি দিয়ে দ্রুত আনলক করা যায়। কিছু মডেলের আইফোনের সামনের দিকে মাঝাখানে একটি গোলাকার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে। আবার নতুন মডেলের আইফোনে এই সেন্সরটি ডিসপ্লের মধ্যেই আছে।

৭। অন্যান্য ফোন থেকে আইফোন নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই শক্তিশালী। আইফোনকে হ্যাক করা খুবই কঠিন এবং হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে এটি খুঁজে পেতে সময় লাগে খুব কম কারন উচ্চ-প্রযুক্তির জিপিএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে আইফোনে যা বাংলাদেশে খুব প্রয়োজন। সর্বোপরি বলা যায় আইফোনের মতো নিরাপত্তা আর কোনো ফোন প্রদান করে না। তাই সব ধরনের ব্যবহারকারীরা আইফোন ব্যবহার করতে বেশি নিরাপদ অনুভব করে।
 
৮। অন্যান্য সকল মোবাইলগুলো থেকে আইফোনের স্টোরেজ অধিক দেয়া হয় ফলে ব্যবহারকারীরা অনেক তথ্য আইফোনে জমা করতে পারে। আর আইফোনে অনেক বড় ফাইলও সহজে ওপেন হয়। তাই আইফোন ব্যবহারকারীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে আইফোন ব্যবহার করতে পারে।

৯। নতুন মডেলের আইফোনগুলোতে ডকুমেন্ট স্ক্যানিং বৈশিষ্ট্য আছে যা দ্বারা যেকোনো নথিকে ইচ্ছামতো ক্রপ বা কেটে নেয়া যায়, ঘোড়ানো  যায়। প্রয়োজনে নথিকে পিডিএফ ফাইলেও রূপান্তর করা যায় তাই তথ্য সংরক্ষণ ও প্রেরণ করতে সুবিধা হয়।

১০। আইফোনে উন্নতমানের ৬৪ বিট প্রসেসর ব্যবহার করা হয় যা অন্য কোন কোম্পানির ডিজাইনে পাওয়া যায় না। আইফোন প্রতিনিয়ত এর চিপকে উন্নত করছে বিধায় সব থেকে সেরা পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সেরা অ্যাপল মোবাইল এর মূল্য তালিকা September, 2023

অ্যাপল মোবাইল মডেল বাংলাদেশে দাম
Apple iPhone X ৳ ৩৪,৯০০
iPhone 5s ৳ ৬,৬৭৯
iPhone 6 ৳ ৯,৯৬৯
iPhone 5 ৳ ৫,৫৪৯
Apple iPhone 5C 1GB / 32GB ৳ ৫,০৯৯
Apple iPhone 6s Plus ৳ ১৮,৮৮৯
Apple iPhone 7 Plus ৳ ২৬,১০০
Apple iPhone 7 ৳ ১৬,৩০০
Apple iPhone 6 Plus ৳ ১৬,১০০
Apple iPhone 11 Pro Max ৳ ১৪৪,৯৯৯