স্যামসাং মোবাইল ব্র্যান্ড হল দক্ষিন কোরিয়ার একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের মার্কেট দখল করে আছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্যামসাং অন্যতম। স্যামসাং এর বহু ইলেট্রোনিক্স পন্য বাজারে থাকলেও স্যামসাং এর স্মার্টফোন গোটা বিশ্বের বাজার দখল করে রেখেছে।
স্যামসাং এর স্মার্টফোন কেন জনপ্রিয়?
স্যামসাং একমাত্র বিশ্বের প্রতিষ্ঠান যে নিজের প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট ফোন তৈরি করে। অন্যান্য স্মার্ট ফোনের চেয়ে একেবারে সম্পূর্ণ আলাদা প্রযুক্তি থাকে স্যামসাং এর স্মার্টফোনগুলোতে। স্যামসাং এর রয়েছে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম, প্রসেসর, ডিসপ্লে, গড়িলা গ্লাসসহ আর অনেক কিছু।
স্যামসাঙ মোবাইলে কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়?
স্যামসাং সেপ্টেম্বর ২০০৮ এর প্রথম দিকে পারথমিক ভাবে বাণিজ্যিক অ্যানড্রয়েড ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করে ইনকর্পোরেট। ২০১৯ সালের দিকে স্যামসাং এর এক্সোনিস নামক একটি অপারেটিং সিস্টেম রিলিজ করে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া সকল প্রকার ওএস যেমন, ওরিও, ললিপপ, মার্শম্যালো ইত্যাদি এই স্মার্টফোন গুলোতে ব্যবহার হয়।
স্যামসাং কোন ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহার করে?
স্যামসাং স্মার্টফোনে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তৈরি করা আধুনিক ডিসপ্লে ব্যবহার করে। স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে গুলো হলো আমোলেড, সুপার আমোলেড এবং সর্বশেষ সুপার আমোলেড প্লাস। এই ডিসপ্লেগুলো ফুল এইচডি ও ৪কে ভিডিও অসাধারণ ভাবে প্রদর্শিত করতে পারে। এ ধরনের ডিসপ্লে গুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পিক্সেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় রাতে এবং দিনের আলোতে সমান ভাবে দেখা যায়। যা অন্যান্য মোবাইলের তুলনায় অনেক ভালো।
কেন কিনবেন স্যামসাং?
স্যামসাং হচ্ছে একটি আদর্শ ব্র্যান্ড। এর সকল ফোনের সাথে যেমন থাকছে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি তেমনি উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরাও ব্যবহার করছে প্রত্যেকটি স্মার্টফোনে। যা দিয়ে অসাধারণ ছবি তোলা বা ভিডিও করা যায়। এজন্য আলাদা ভাবে ডিএসএলআর এর প্রয়োজন হয় না। প্রত্যেকটি ফোনের আছে স্ট্রং ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং বর্তমান সকল স্মার্টফনের সাথে থাকছে ফাস্ট চার্জিং চার্জার।