বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ পিসি ব্যবহার করে থাকে থাকে সাশ্রয়ীয় দামে উন্নতমানের হার্ডওয়ারের জন্য। যেকোনো প্রচলিত পিসি থেকে ব্র্যান্ডের পিসি অবশ্যই ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। গ্রাহকদের ভালো সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড পিসি অফিশিয়াল গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি নির্ধারণ করে থাকে। তাই গ্রাহক সেবার দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্র্যান্ড পিসি বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। ব্র্যান্ড পিসির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য বাংলাদেশের গ্রাহকেরা ব্র্যান্ড পিসি কিনে থাকে। তাছাড়া অনেক অফিস এবং গুরুত্তপুর্ন কাজের জন্যও ব্র্যান্ড পিসি বেশি ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ড পিসির দাম কত?
বাংলাদেশে ব্র্যান্ড পিসির দাম বেশ কম ৩০,০০০ টাকার ভিতর কেনা যাবে যেগুলো মনিটর ছাড়া এবং মনিটর সহ প্রায় ৫০,০০০ টাকার কিছু বেশি হতে পারে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু ব্যবহৃত ব্র্যান্ড পিসি পাওয়া যায় যেগুলো ১০,০০০ টাকার ভিতর কেনা যাবে সাথে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার পাবেন।
ব্র্যান্ড পিসি কেনার আগে যা যা জেনে নেয়া আবশ্যকঃ
বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ব্র্যান্ড পিসি আছে। বাংলাদেশে বহুল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড গুলো হলো এইচপি, ডেল, অ্যাপল, লেনোভো ইত্যাদি। যেহেতু ব্র্যান্ড পিসিতে সব আনুষাঙ্গিক একসাথে থাকে সেক্ষেত্রে সঠিক পিসি বেছে নেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু নিচে দেয়া পরামর্শ গুলো মনে রাখলে কাজ অনুযায়ী সঠিক ব্র্যান্ড পিসি পাওয়া সম্ভব। নিচে পরামর্শ গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
১। যারা মৌলিক ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি সাধারণ কাজ করে থাকেন তাদের জন্য সাধারণ কনফিগারেশনের ব্র্যান্ড পিসি ভাল কাজ করবে এবং বাজেটও কম লাগবে।
২। অনেকেই মৌলিক কাজের পাশাপাশি অফিসের কাজ গুলো করতে চান তারা একটু ভালো মানের প্রসেসরের ব্র্যান্ড পিসি নিতে পারেন। ভালো প্রসেসরের সাথে ৪ জিবি র্যাম এবং স্টোরেজ এর জন্য ১ টেরাবাইট এইচডিডি অথবা ১২৮ জিবির এসএসডি এই ধরনের কাজ করার জন্য যথেষ্ট। এই কনফিগারের মধ্যে যেসকল ব্র্যান্ড পিসি গুলো আছে তার সবগুলো দিয়েই অফিসের যেকোনো কাজ করা যাবে খুব সহজেই।
৩। বাংলাদেশে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। তাদের মধ্যে অনেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের কাজ করে থাকে। তাদের দরকার একটি উচ্চ মানের ব্র্যান্ড পিসি। উচ্চ মানের প্রসেসর, অধিক র্যাম, ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড, ভালো মনিটর ইত্যাদি সকল শক্তিশালী জিনিসের দরকার।
৪। ব্যবহৃত ব্র্যান্ড পিসি কেনার আগে অবশ্যই প্রতিটি যন্ত্রাংশ পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে। গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে।
৫। ব্র্যান্ড পিসি যে ব্র্যান্ডের হউক না কেন অবশ্যই এর সিপিউতে কয়টি পোর্ট আছে এবং ব্যবহারকারীর কাজের সবগুলো পোর্ট বিদ্যমান আছে কি না তা ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে।
৬। অনেক ব্র্যান্ড পিসিতে কি-বোর্ড, মাউস সাথে থাকে। তাই ব্র্যান্ড পিসি নেয়ার সময় অবশ্যই কি-বোর্ড এবং মাউস আছে কিনা জেনে নেয়া জরুরি।
৭। ব্র্যান্ড পিসিতে সাউন্ড স্পীকার অন্তর্নির্মিত ভাবে থাকে। তাই স্পীকারের মান কেমন এটাও পর্যবেক্ষন করা জরুরি।
