bdstall.com

CPAP / BiPAP মাস্কের দাম ২০২৪

আইটেম ১-২০ এর ২২

সিপিএপি মাস্ক বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার মাস্ক মূলত ঘুমের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা নিরাময়ে স্লিপ অ্যাপনিয়া মেশিনের সাথে ব্যবহৃত কার্যকর মেডিকেল ডিভাইস। এই ধরণের মাস্ক মূলত সিপিএপি/বিআইপিএপি মেশিন থেকে চাপযুক্ত বাতাস কার্যকরভাবে ব্যবহারকারীর শ্বাসনালীতে পৌঁছাতে ব্যবহার করা হয়। সিপিএপি মাস্ক সাধারণত সিলিকন,জেল সহ অন্যান্য নমনীয় উপকরণে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীর জন্য আরামদায়ক হয়ে থাকে। বর্তমানে, গ্রাহক চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের আকর্ষণীয় ডিজাইনে তৈরি সিপিএপি মাস্ক বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে কি কি ধরণের সিপিএপি মাস্ক পাওয়া যায়?

নাসাল মাস্কঃ এই ধরনের মাস্ক শুধুমাত্র নাকে ব্যবহৃত মাস্ক। নাসাল মাস্কে এক ধরণের স্ট্রিপ থাকে, যা ব্যবহারকারীর নাকের সাথে যুক্ত করে মাথার পিছনের দিকে আটকে রাখা যায়। এই ধরণের মাস্ক নাকে আরামদায়কভাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

ফুল ফেস মাস্কঃ এই ধরনের মাস্ক সাধারনত নাক ও মুখ উভয় ডেকে নিরাপদ শ্বাস-প্রশ্বাসের সুবিধা প্রদান করে। তাছাড়া, ফুল ফেস মাস্ক ব্যবহার করে নাক এবং মুখ উভয় দিয়ে শ্বাস নেওয়া যায়। বাংলাদেশে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের কাছে ফুল ফেস মাস্ক চাহিদা অনেক।

নাসাল পিলো মাস্কঃ এই ধরনের মাস্ক ছোট সাইজের হওয়ার পাশাপাশি কুশনযুক্ত থাকে, যা সরাসরি নাকের ছিদ্রে ফিট করা যায়। ফলে নাসাল পিলো মাস্ক ব্যবহারে ব্যবহারকারীর মুখোশের প্রয়োজনীয়তা দূর করে। এছাড়া, এই ধরণের মাস্ক হালকা ওজনের হওয়ায় যেকোনো বয়সের ব্যবহারকারীর জন্য আদর্শ সিপিএপি মাস্ক।

কেন সিপিএপি মাস্ক ব্যবহার করবেন?

১। শ্বাস কষ্ট জনিত রোগীদের জন্য সিপিএপি/বিআইপিএপি মেশিন থেকে সিপিএপি মাস্ক যথাযথ অক্সিজেন সরবরাহ করে।

২। ব্যবহারকারীর শ্বাসনালীকে খোলা রাখতে সাহায্য করে, বাধা প্রতিরোধ করে এবং ঘুমের সময় নিরবচ্ছিন্ন শ্বাস-প্রশ্বাসের সুবিধা প্রদান করে।

৩। এই ধরণের মাস্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবারহ করায় ব্যবহারকারীর ঘুমের মান উন্নত করে।

৪। এছাড়াও, স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ যেমন- জোরে নাক ডাকা, মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।

৫। পাশাপাশি সিপিএপি মাস্ক ব্যবহারের ফলে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের স্ট্রেন কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপ কমায় যার ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মত জটিল রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

সিপিএপি মাস্ক এর দাম কত?

বাংলাদেশে সিপিএপি মাস্ক এর দাম ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু, যা নন-ভেন্টেড মাস্ক এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের ধারাবাহিক, দক্ষতার সাথে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশে সিপিএপি মাস্কের দাম ব্র্যান্ড, মডেল, সামঞ্জস্যযোগ্য হেডগিয়ার, আরামদায়ক কুশন, নয়েস রিডাকশন টেকনোলোজি এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। আরামদায়ক কুশনযুক্ত এবং শুধুমাত্র নাকে ব্যবহার উপযোগী নাসাল পিলো সিপিএপি মাস্ক ৭,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, বাংলাদেশে ফুল ফেস সিপিএপি মাস্ক ৮,০০০ টাকা থেকে ১৭,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।

সিপিএপি মাস্ক কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

আরামদায়ক ফিটিংঃ সিপিএপি মাস্ক কেনার আগে অবশ্যই আরামদায়কভাবে ফিট হবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ঘুমের সময়  যেন অসুবিধা না হয় সেজন্য সামঞ্জস্যযোগ্য স্ট্র্যাপ, কুশনিং রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।

সিপিএপি মাস্কের ধরণঃ বর্তমানে জনপ্রিয় অনলাইন মারকেটপ্লেস বিডিস্টল.কম এ কম দামে নাসাল মাস্ক, ফুল ফেস মাস্ক এবং নাসাল পিলো মাস্ক সহ আকর্ষণীয় ডিজাইনের সিপিএপি মাস্ক পাওয়া যায়। তাই, কেনার আগে অবশ্যই চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সিপিএপি মাস্ক যাচাই করতে হবে।

মাস্কের সাইজঃ সিপিএপি মাস্কে কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর মুখ মন্ডলের সাইজ অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি হেডগিয়ার, নাকের কুশন এবং মাথার সাথে আটকানোর জন্য মাস্কের স্ট্র্যাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা যাচাই করতে হবে।

মাস্কের লিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ সিপিএপি মাস্ক দিয়ে অক্সিজেন সরবারহের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার লিকেজ রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। তাছাড়া, ঘুমের সময় ত্রুটি মুক্ত অক্সিজেন সরবারহের জন্য সিপিএপি/বিআইপিএপি মাস্কে যথাযথ সীল রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।

ম্যাইন্ট্যানেন্সঃ সিপিএপি মাস্কে ব্যবহারের পাশাপাশি সহজে পরিষ্কার করা যাবে না কিনা তা যাচাই করতে হবে।
উপরোক্ত বিষয় সমূহ পর্যালোচনা করার পাশাপাশি সিপিএপি মাস্ক কেনার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।