bdstall.com

অপূর্ব সুন্দর কেওড়া বনের নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি অপূর্ব সুন্দর দর্শনীয় স্থান। নিঝুম দ্বীপকে আগে চর-ওসমান নামে ডাকা হত। ওসমান নামের একজন বাথানিয়া প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসবাস শুরু করেছিলেন। তার নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো।

 পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে নিঝুম দ্বীপ রাখা হয়। প্রায় ১৪০৫০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত দ্বীপটি ১৯৫০ সালের দিকে জেগে ওঠে। নিঝুম দ্বীপ হরিণের অভয়ারণ্য। এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মেঘনা নদী আর বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে কেওড়া বনের এই চমৎকার দ্বীপে শীতকালে হাজারো পাখির দেখা মেলে।

 প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে এই দ্বীপে। চারদিকে নানান রঙের পাখির উড়াউড়ি দ্বীপটিকে যেন আরো প্রাণবন্ত করে তুলে। এখানকার পাখিদের অন্যতম খাবার জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মারসৃপারি নামের বিশেষ একধরনের মাছ আছে এই দ্বীপে যাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়ে থাকে। এই মাচ লম্বায় 

সাধারণত ৬-৯ ইঞ্চি হয়। বর্ষা মৌসুমে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায় নিঝুম দ্বীপে। প্রায় ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম এবং ২১ প্রজাতির বিভিন্ন গাছ পাওয়া যায় এই দ্বীপে। যেদিকেই চোখ যায় শুধুই সবুজ কেওড়া বন। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আছে পলিমাটির চর। আমাদের শহুরে কাজের যান্ত্রিক জীবন অনেক সময়ই একঘেয়ে হয়ে যায়।
 এই একঘেয়েমি ভাবটা দূর করার জন্য একবার ঘুরে আসতে পারেন নিঝুম দ্বীপে। নিঃসন্দেহে বলা চলে নিঝুম দ্বীপ আপনাকে একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। তবে হ্যা যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার ক্যামেরাটি সাথে নিতে ভুলবেন না।ভাগ্য ভালো থাকলে হরিণের দলের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। তখন হয়তো দূর থেকেই একটি সেলফি নিয়ে নিতে পারবেন। আপনার ব্যস্ত জীবনে কাজের ফাকে কোন একসময় ছবিটি ঠোটে এক চিলতে হাসি এনে দিতে পারে।

ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একটি লঞ্চ হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সকাল সাতটা-আটটার দিকে সেটি তমরদি ঘাটে গিয়ে পৌঁছে। সেখানে নেমে ট্রলারে করে সোজা নিঝুম দ্বীপে চলে যেতে পারবেন। তমরদি ঘাট থেকে প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বরোটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে একটি লঞ্চ ছাড়ে।

যেখানে থাকবেনঃ নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের জন্য আছে অবকাশ পর্যটনের নিঝুম রির্সোট। রুম ভাড়া করে আপনি সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। সেখানে আছে সাপ্লাই পানি এবং জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুত ব্যবস্থা। এছাড়াও খাবারের জন্য আছে স্থানীয় হোটেল। বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় সেখানে।

বিঃদ্রঃ ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: May 05, 2015
Reviews (0) Write a Review