bdstall.com

ষাট গম্বুজ মসজিদ

বাংলাদেশের পর্যটক আকর্ষণ ও শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম একটি নিদর্শন হচ্ছে ষাট গম্বুজ মসজিদ। বাংলাদেশের প্রাচীনতম এই মসজিদটি খুলনার বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। অনন্য স্থাপত্য শিল্পের কারনে মসজিদটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

ষাট গম্বুজ মসজিদটি তুগলক স্টাইলে নির্মাণ করা হয়েছিল। ৬০টি স্তম্ভের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। মসজিদটিতে ৭টি ৪ বাহুবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় গম্বুজ আছে। এই মসজিদের দেয়াল ৬ ফুট পুরু এবং এই ফাপা ও বৃত্তাকার দেয়ালের উপর সামান্য মোমবাতি রয়েছে। খান জাহান আলী মসজিদটি সমাবেশ কক্ষ, মাদ্রাসা ও নামাজ পরার স্থান হিসেবে ব্যবহার করতেন। এই মসজিদের ৪টি মিনার আছে। ছাদের উপরে ৭৭টি এবং মিনারের চার কোনে ৪টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। মিনারে গম্বুজের সংখ্যা ৪ টি। সব মিলিয়ে গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৮১টি। আযান দেয়ার জন্য ২টি মিনার ব্যবহৃত হতো। সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষে পূর্ব দিকে ১১টি ও উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ৭টি করে নমিত প্রবেশপথ আছে। এই দরজাগুলো বাতাস ও আলো চলাচলের মাধ্যম। এখানে আরও আছে পাথর দ্বারা নির্মিত কলাম। কলামগুলো বাকা খিলানগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালটি পাথর ও পোড়ামাটি এবং মেঝে ইট দ্বারা সজ্জিত। এখানে ১১টি মিহরাব আছে। পুরো মসজিদটি ১৫ শতকের একটি চমৎকার প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্য।

ঐতিহাসিকরা মনে করেন, ৭টি সারিবদ্ধ গম্বুজ সারি আছে বলে এ মসজিদ সাত গম্বুজ এবং তা থেকে ষাটগম্বুজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০ টি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই নাম ষাটগম্বুজ হয়েছে। মসজিদটির ক্ষতির অধিকাংশই ত্রুটিমুক্ত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ঐতিহাসিক মসজিদ।     

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: January 28, 2016
Reviews (0) Write a Review