bdstall.com

জেনারেটরের দাম | ডিজেল জেনারেটর

আইটেম ১-৪০ এর ১৫৭
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট জেনারেটর এর দাম

কোন ধরনের জেনারেটর কিনব?

বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে তিন ধরণের জ্বালানীর জেনারেটর পাওয়া যায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে ডিজেল জেনারেটর অন্যটি দুটি হচ্ছে গ্যাসোলিন এবং গ্যাস জেনারেটর।

ডিজেল জেনারেটরঃ এই ধরনের জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জ্বালানী হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় এবং অন্যান্য জেনারেটরের তুলনায় অনেক বেশি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। জেনারেটরের পাওয়ার যত বেশি হবে জ্বালানী তত বেশি লাগবে। সাধারণত ৬ লিটার ডিজেল দিয়ে ৮ থেকে ১০কেভিএ জেনারেটর ১ ঘন্টা চালানো যায়।

গ্যাসোলিন জেনারেটরঃ এই ধরনের জেনারেটরে পেট্রোল বা গ্যাসোলিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। গ্যাসোলিন জেনারেটর অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চালানো যায়। প্রায় ৮ ঘন্টা চলে ১ গ্যালন পেট্রোল দিয়ে।

গ্যাস জেনারেটরঃ এলপিজি বা সিএনজিতে এই জেনারেটরগুলো চলে বিধায় এর জ্বালানি খরচ অনেক কম।  

কত ক্ষমতার জেনারেটর দরকার?

জেনারেটরের ক্ষমতাকে কেভিএ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। জেনারেটরের কেভিএ যত বেশি হবে এর কার্ক্ষমতাও তত বেশি হবে। কেভিএ হচ্ছে কিলোভোল্ট আম্পিয়ার যা ১০০০ ভোল্টের সমান।  

কোন কাজের জন্য কি ধরনের জেনারেটর?

হোম জেনারেটর বা মিনি জেনারেটরঃ মিনি জেনারেটর ছোট প্রতিষ্ঠান, অফিসে বা বাসা বাড়ির জন্য ভাল। ১ থেকে ১০ কেভিএর এই জেনারেটরগুলো ছোট ছোট অফিস, দোকান বা বাসার জন্য যথেষ্ট। এগুলোকে পোর্টেবল জেনারেটরও বলা হয়ে থাকে। সিঙ্গেল ফেজ ২২০-২৪০ ভোল্টেজ এর হয়ে থাকে এই ছোট জেনারেটরগুলো। বাংলাদেশে এই জেনারেটরগুলোর দাম অনেক কম।
শিল্প কারখানার জন্যঃ কারখানার জন্য প্রয়োজন হয় বৃহৎ আকারের জেনারেটর। এগুলো অনেক শক্তিশালী বিধায় ৩ ফেজের বিদ্যুৎ ৪০০-৪৪০ ভোল্টেজ প্রয়োজন হয় এবং ৫০০ কেভিএ পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া বড় মেশিন যেমন লিফট, এস্কেলেটরের এবং হাসপাতালের জরুরি বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় মেশিন চালানোর জন্য এই ধরনের জেনারেটর প্রয়োজন।

কত বাজেট রাখতে হবে?

বাংলাদেশে জেনারেটরের দাম প্রায় ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যাকে মিনি জেনারেটরও বলা হয় এবং এতে ১ কিলোওয়াট বা তার কম শক্তি রয়েছে। এই ধরনের জেনারেটর ছোট দোকানের জন্য আদর্শ কারণ এটি অল্প জায়গা নেয়। শিল্প বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য, জেনারেটরের দাম হবে ১ লাখ বা তার বেশি যা আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করবে। জেনারেটরের দাম সাধারণত এর আউটপুট পাওয়ার, জ্বালানি প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে এবং ইনস্টলেশন, ক্যানোপি এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মতো কিছু অতিরিক্ত খরচ যোগ করতে হতে পারে।

আর কি ফিচার দেখা উচিৎ?

অটমেটিক সিও শাট-অফঃ জেনারেটরের অটোমেটিক সিও শাট-অফ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা। এটি জেনারেটরের অভ্যন্তরে সেন্সরের মাধ্যমে যুক্ত করা থাকে ফলে মারাত্মক দূর্ঘটনা এটি শনাক্ত করে অটোমেটিক জেনারেটরের ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেয়।
অটোমেটিক স্টার্টঃ জেনারেটরকে অটোমেটিক স্টার্ট করার জন্য এক ধরনের পুশ স্টার্টিং সুইচ ব্যবহার করা হয় যা চার্জার ব্যাটারী দিয়ে পরিচালিত হয়।  

ফুয়েল গজঃ ছোট জেনারেটর বা পোর্টেবল জেনারেটরে জ্বালানী পরিক্ষা করার জন্য এতি ব্যবহার করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে জেনারেটরে কত জ্বালানী রয়েছে তা পরিক্ষা করা যায়।

লো-অয়েল শাট অফঃ বেশির ভাগ জেনারেটরে জ্বালানী হিসেবে ডিজেল বা পেট্রোল ব্যবহার করা হয়। জেনারেটর ব্যবহার করার ফলে যদি তেল ন্যূনতম স্তরের নীচে পড়ে যায় তাহলে জেনারেটরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন তেল ন্যূনতম স্তরের নীচে চলে আসে তখন জেনারেটরের ইঞ্জিনের ক্ষতি রোধ করতে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।

ক্যানোপিঃ বাংলাদেশে জেনারেটর ক্যানোপি সহ বা ক্যানোপি ছাড়া বিক্রি করা হয়। ক্যানোপি ছাড়া জেনারেটরকে ওপেন জেনারেটর বলা হয় এবং সাধারণত দাম কম হয়। ক্যানোপি সাধারণত জেনারেটরকে পরিবেশগত কারণ থেকে রক্ষা করে এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করে। ক্যানোপি শব্দ কমাতে এবং পরিবেশকে সবার জন্য আরামদায়ক করতেও সাহায্য করে।

বাংলাদেশের সেরা জেনারেটর এর মূল্য তালিকা May, 2024

জেনারেটর মডেল বাংলাদেশে দাম
200 kVA Cummins Diesel Engine Open Frame Generator ৳ ১,৯৯৫,০০০
Automatic Transfer Switch ৳ ২৫,০০০
Golden Power 10kVA Canopy Diesel Generator ৳ ২২০,০০০
Ricardo 80 KVA Generator ৳ ৬৮৮,০০০
Ricardo 30 kVA Canopy Diesel Generator ৳ ৩৭৬,০০০
Perkins 100 kVA Industrial Diesel Generator ৳ ১,৯৯৫,০০০
British Ricardo Series 62.5 kVA Diesel Engine Generator ৳ ৫৭০,০০০
Ricardo 50 kVA Canopy Diesel Generator ৳ ৫০০,০০০
Ricardo 60KVA Canopy Type 3 Phase Diesel Generator ৳ ৫৮০,০০০
Ricardo 30 KVA 3 Phase 1500 RPM Speed Diesel Generator ৳ ৪২০,০০০