অনেকে একত্রে একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ভাগ করে ব্যবহার করার জন্য রাউটার একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। তবে প্রযুক্তির কারনে রাউটারের দাম হ্রাস পেয়েছে তাই এখন একটি রাউটার কেনা খুব সহজ। দেশে রাউটার কেনার কিছু টিপস নীচে দেওয়া হলঃ
১। রাউটারের ধরনঃ তারযুক্ত রাউটারগুলি সরাসরি তারের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলিতে সংযোগ দেয়। এটি স্থিতিশীল সংযোগ সরবরাহ করে। ওয়্যারলেস রাউটার ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ দেয় তাই ক্যাবল সংযোগের প্রয়োজন হয় না। এটি সেটআপ করা খুব সহজ এবং ক্যাবল ছাড়া কনফিগার করা যায়। সাধারণত ওয়্যারলেস রাউটার ২.৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে তবে কিছু আধুনিক রাউটার ডুয়াল ব্যান্ড সমর্থন করে যার অর্থ একই সাথে ২.৪ গিগাহার্টজ এবং ৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিচালনা করতে পারে। কিছু ওয়াই-ফাই রাউটার আকারে ছোট, ব্যাটারি চালিত এবং ৩জি / ৪জি সিম স্লট রয়েছে।
২। রাউটারের রেঞ্জঃ তারযুক্ত রাউটারের রেঞ্জ ৩০০ মিটার। ওয়াইফাই রাউটারের সিগনাল উন্মুক্ত স্থানে ৩০০ ফুট এবং ইনডোরে ১৫০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
৩। রাউটারের গতিঃ হোম রাউটারের গতি ১৫০ এমবিপিএস থেকে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। আরও উচ্চ গতির রাউটার বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় যেমন গিগাবিট রাউটার প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবিট পর্যন্ত গতি সরবরাহ করতে পারে।
৪। গেমিংঃ গেমিং রাউটার হইয়া উচিৎ দ্রুত গতির, কম লেটেন্সির যা কিছু অনলাইন গেমের জন্য আবশ্যক। এক্ষেত্রে তারযুক্ত রাউটার ভাল কাজ করবে।
৫। অ্যান্টেনাঃ আজকাল, বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া রাউটারগুলির একাধিক অ্যান্টেনা রয়েছে এবং খুব কম দামে পাওয়া যায়। যত বেশি অ্যান্টেনা থাকবে রাউটার তত বেশি কানেকশান একযোগে নিখুঁতভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে। বর্তমানে ১টি অ্যান্টেনা থেকে শুরু করে ৮টি পর্যন্ত অ্যান্টেনার রাউটার পাওয়া যায়।
৬। কানেকশানঃ তারযুক্ত রাউটার সাধারণত যতগুলো পোর্ট থাকে ততগুলো কানেকশান একত্রে সমর্থন করে। তাই তারযুক্ত রাউটার কিনলে যতগুলো কানেকশান লাগবে তত পোর্টের রাউটার কিনবেন। একটিতে কাভার না হলে একাধিক কিনতে হবে। আর ওয়াইফাই রাউটার সাধারণত প্রতিটি ব্যান্ডের জন্য ৩২টি ডিভাইস সমর্থন করে তাই ডুয়াল ব্যান্ডের জন্য এটি ৬৪টি ডিভাইস সমর্থন করবে।
৭। বাজেটঃ শুধু ইন্টারনেট শেয়ার করার জন্য বিডিতে রাউটারের দাম শুরু হয় ১,০০০ টাকা থেকে যেটিতে সাধারণত এক বা দুটি অ্যান্টেনা থাকে। তিন থেকে চারটি অ্যান্টিনা বাংলাদেশে রাউটারের দাম শুরু হয় ১,৫০০ টাকা থেকে যা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য ভালো। গেমিং রাউটারে সাধারণত উচ্চ গতি থাকে তাই এটির দাম একটু বেশি। আর কিছু তারযুক্ত রাউটার আছে যেগুলো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।
৮। স্ট্যান্ডার্ডঃ এটা কি ধরনের স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে ভালভাবে চেক করুন। কারন বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করলে একাধিক রাউটার একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করবে।
৯। ব্যান্ডউইডথ শেয়ারিংঃ একটি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইডথ সমান ভাবে ভাগ করা যায় কিনা দেখে নিন তাহলে সবাই সুন্দরভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু রাউটারে ব্যান্ডউইডথ প্রতিটি কানেকশনের জন্য আলাদাভাবে কাস্টমাইজ করে নেয়া যায়।
১০। পেরেন্টাল কন্ট্রোলঃ বাসায় ছোট বচ্চা থাকলে ছোটরা নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। এটি দিয়ে অনাকাঙ্খিত ওয়েবপেজ বন্ধ করে রাখা যায়।